ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ অবশেষে ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার’ গড়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এই লক্ষ্যে জোটের দেশগুলো নয়া দিল্লিতে ১০ দফার ঘোষণা দিয়েছে। যেটিকে বলা হয়েছে ‘নয়াদিল্লি ঘোষণা’। জোটের বর্তমান সভাপতি দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নয়াদিল্লি ঘোষণার প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, এই একমাত্র পৃথিবীতে আমরা একটি পরিবার এবং আমাদের ভবিষ্যৎও একই। প্রস্তাবনা অনুসারে এবারের জি-২০ সম্মেলনের থিম ছিল ‘বাসুধৈব কুটুম্বাকম’ বা ‘বাসুদেবের পরিবার’। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, বাসুদেব দেবতাদের পিতা এবং তাঁর থেকেই মানবজাতির সূত্রপাত।
এই ঘোষণায় মোট ১০টি দফার কথা বলা হয়েছে। প্রথমেই বৈশ্বিক অর্থনীতির শক্তিশালী, টেকসই, ভারসাম্যপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার কথা বলা হয়েছে। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ‘গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্যাক্টের’ কথা বলা হয়েছে তৃতীয় দফায়। এই দফার মূলত কথা পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করে উন্নয়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
চতুর্থ দফায় বলা হয়েছে, ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বহুপক্ষীয় বা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে বহুপক্ষীয় ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার এবং নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর ঋণের বোঝা নিয়ে নতুন করে ভাবার আহ্বান জানানো হয়েছে এই দফায়।
পঞ্চম দফায় প্রযুক্তিগত রূপান্তর এবং ডিজিটাল জন-অবকাঠামোর বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এই দফায় ডিজিটাল অবকাঠামো এমনভাবে গড়ে তোলার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে যেখানে সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে এবং তাদের অধিকার, তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। পাশাপাশি তাদের তথ্যের অধিকারও নিশ্চিত হবে। এই দফায় ডিজিটাল অর্থনীতির বিষয়ে মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরির বিষয়টি এসেছে। ক্রিপ্টো বাণিজ্যেও প্রয়োজনীয় নতুন নীতিমালা ও বিধিবিধানের কথা বলা হয়েছে এই দফায়। এ ছাড়া, ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে উৎসাহিত করা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে ডিজিটাল মুদ্রায় লেনদেন এবং সবার কল্যাণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার কথা বলা হয়েছে।
ষষ্ঠ দফায় বলা হয়েছে, ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী উপযুক্ত, ন্যায্য, টেকসই ও আধুনিক আন্তর্জাতিক কর ব্যবস্থার প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে জি-২০ভুক্ত দেশগুলো। সপ্তম দফায় লিঙ্গ সমতা, নারী ও কন্যাশিশুদের মৌলিক গুরুত্ব এবং সব নারীর ক্ষমতায়নে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জি-২০ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বলেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছেন জোটের নেতারা।
অষ্টম দফায় বৈশ্বিক অর্থনীতির বিভিন্ন ইস্যু বিশেষ করে আসন্ন সংকট মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও অর্থপাচার রোধে একযোগে কাজ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে নবম দফায়। শেষ দফায় আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি বিশ্ব গড়ার ব্যাপারে জি-২০ভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ অবশেষে ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার’ গড়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এই লক্ষ্যে জোটের দেশগুলো নয়া দিল্লিতে ১০ দফার ঘোষণা দিয়েছে। যেটিকে বলা হয়েছে ‘নয়াদিল্লি ঘোষণা’। জোটের বর্তমান সভাপতি দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নয়াদিল্লি ঘোষণার প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, এই একমাত্র পৃথিবীতে আমরা একটি পরিবার এবং আমাদের ভবিষ্যৎও একই। প্রস্তাবনা অনুসারে এবারের জি-২০ সম্মেলনের থিম ছিল ‘বাসুধৈব কুটুম্বাকম’ বা ‘বাসুদেবের পরিবার’। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, বাসুদেব দেবতাদের পিতা এবং তাঁর থেকেই মানবজাতির সূত্রপাত।
এই ঘোষণায় মোট ১০টি দফার কথা বলা হয়েছে। প্রথমেই বৈশ্বিক অর্থনীতির শক্তিশালী, টেকসই, ভারসাম্যপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার কথা বলা হয়েছে। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ‘গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্যাক্টের’ কথা বলা হয়েছে তৃতীয় দফায়। এই দফার মূলত কথা পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করে উন্নয়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
চতুর্থ দফায় বলা হয়েছে, ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বহুপক্ষীয় বা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে বহুপক্ষীয় ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার এবং নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর ঋণের বোঝা নিয়ে নতুন করে ভাবার আহ্বান জানানো হয়েছে এই দফায়।
পঞ্চম দফায় প্রযুক্তিগত রূপান্তর এবং ডিজিটাল জন-অবকাঠামোর বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এই দফায় ডিজিটাল অবকাঠামো এমনভাবে গড়ে তোলার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে যেখানে সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে এবং তাদের অধিকার, তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। পাশাপাশি তাদের তথ্যের অধিকারও নিশ্চিত হবে। এই দফায় ডিজিটাল অর্থনীতির বিষয়ে মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরির বিষয়টি এসেছে। ক্রিপ্টো বাণিজ্যেও প্রয়োজনীয় নতুন নীতিমালা ও বিধিবিধানের কথা বলা হয়েছে এই দফায়। এ ছাড়া, ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে উৎসাহিত করা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে ডিজিটাল মুদ্রায় লেনদেন এবং সবার কল্যাণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার কথা বলা হয়েছে।
ষষ্ঠ দফায় বলা হয়েছে, ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী উপযুক্ত, ন্যায্য, টেকসই ও আধুনিক আন্তর্জাতিক কর ব্যবস্থার প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে জি-২০ভুক্ত দেশগুলো। সপ্তম দফায় লিঙ্গ সমতা, নারী ও কন্যাশিশুদের মৌলিক গুরুত্ব এবং সব নারীর ক্ষমতায়নে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জি-২০ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বলেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছেন জোটের নেতারা।
অষ্টম দফায় বৈশ্বিক অর্থনীতির বিভিন্ন ইস্যু বিশেষ করে আসন্ন সংকট মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও অর্থপাচার রোধে একযোগে কাজ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে নবম দফায়। শেষ দফায় আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি বিশ্ব গড়ার ব্যাপারে জি-২০ভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিতর্কিত এক মার্কিন বাইকার গ্যাংয়ের সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে বিবিসির এক অনুসন্ধানে জানা গেছে। এই গ্যাংটির নাম ‘ইনফিডেলস মোটরসাইকেল ক্লাব’। অতীতে এই ক্লাবের ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের ইতিহাস রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনেপালের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও জ্বালানি মন্ত্রী টপ বাহাদুর রায়মাঝি আবারও শিরোনাম হলেন। তবে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কস ও লেনিনপন্থী) এই নেতা এবার শিরোনাম হয়েছেন দেশে বিশৃঙ্খলার সুযোগে কারাগার থেকে পলায়ন করে।
২ ঘণ্টা আগেনেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার সকাল কিছুটা শান্ত মনে হলেও পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ। ভোর থেকে এই শহরের প্রধান মোড়গুলোতে ব্যারিকেড বসিয়ে ভেতরের রাস্তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে সেনারা।
৩ ঘণ্টা আগেহিমালয়কন্যা নেপালে সরকারের দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এরই মধ্যে অন্তত ২৯ জনের প্রাণ ঝরেছে। এরপর নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করায় সরকারেরও পতন হয়েছে। দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী।
৪ ঘণ্টা আগে