আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি কে হবেন, তা আগে থেকে বলা প্রায় অসম্ভব। কারণ, অতি গোপনীয় পোপ নির্বাচনে কার্ডিনালদের অবস্থান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। এমনকি কেউ কেউ নিজেদের পছন্দের বা অপছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে নানা কৌশলও নেন।
২০১৩ সালের শেষ নির্বাচনে খুব কম লোকেই ভেবেছিলেন যে, জর্জ মারিও বার্গোলিও পোপ নির্বাচিত হবেন। পরে তিনিই হন পোপ ফ্রান্সিস। বর্তমানে তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় আসছে, তারা হলেন—
পিয়েত্রো পারোলিন, ৭০, ইতালি
পিয়েত্রে পারোলিনকে ‘কন্টিন্যুয়িটি ক্যান্ডিডেট’ বা ‘ধারাবাহিকতার প্রার্থী’ হিসেবে দেখা হয়। তিনি পোপ ফ্রান্সিসের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি ভ্যাটিকানের সেক্রেটারি অব স্টেট। কূটনৈতিক বিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এর মধ্যে চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সংবেদনশীল আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত। ধর্মনিরপেক্ষ কূটনীতিকেরা তাঁকে পোপের নির্ভরযোগ্য প্রতিনিধি মনে করেন।
২০১৮ সালে চীন সরকারের সঙ্গে বিশপ নিয়োগ নিয়ে একটি বিতর্কিত চুক্তিতে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। কেউ কেউ এই চুক্তিকে কমিউনিস্ট সরকারের কাছে ‘বিকিয়ে দেওয়া’ বলে সমালোচনা করেন। পারোলিনের সমালোচকেরা তাঁকে আধুনিক এবং বাস্তববাদী বলে মনে করেন। তাদের মতে, তিনি বিশ্বাসের কঠিন সত্যের চেয়ে আদর্শ ও কূটনৈতিক সমাধানকে বেশি গুরুত্ব দেন। তাঁর সমর্থকেরা তাঁকে সাহসী আদর্শবাদী ও শান্তির দৃঢ় প্রবক্তা বলেন।
লুইস আন্তোনিও টাগলে, ৬৭, ফিলিপাইন
ম্যানিলার সাবেক আর্চবিশপ টাগলে নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন প্রথম এশীয় পোপ। বিগত কয়েক দশক ধরে এশিয়াতেই ক্যাথলিক জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। একসময় টাগলেকে ফ্রান্সিসের পছন্দের উত্তরসূরি মনে করা হতো। তিনি পোপের প্রগতিশীল ধারা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শক্তিশালী প্রার্থীও ছিলেন। তবে সম্প্রতি তাঁর প্রভাব কিছুটা কমেছে বলে মনে হয়। তিনি মনে করেন, সমকামী ও বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া দম্পতিদের প্রতি ক্যাথলিক চার্চের অবস্থান খুব কঠোর। তবে ফিলিপাইনে তিনি গর্ভপাতের অধিকারের বিরোধিতা করেছেন।
পিটার টার্কসন, ৭৬, ঘানা
টার্কসন নির্বাচিত হলে কয়েক শতাব্দীর মধ্যে তিনিই হবেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পোপ। তিনি জলবায়ু সংকট, দারিদ্র্য এবং অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের মতো বিষয়ে স্পষ্টভাষী। একই সঙ্গে তিনি পুরোহিত নিয়োগ, বিয়ে (শুধুমাত্র পুরুষ ও নারীর মধ্যে) এবং সমকামিতা নিয়ে চার্চের ঐতিহ্যবাহী অবস্থানের সমর্থক। তবে শেষের বিষয়টি নিয়ে তাঁর মতামত কিছুটা নরম হয়েছে। তিনি মনে করেন, অনেক আফ্রিকান দেশের আইন এ বিষয়ে খুব কঠোর। তিনি দুর্নীতি ও মানবাধিকার নিয়েও কথা বলেছেন।
রবার্ট ফ্রান্সিস প্রেভস্ট, ৬৯, যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব পরাশক্তি অবস্থান এবং ধর্মনিরপেক্ষ বৈশ্বিক প্রভাবের কারণে ভ্যাটিকান ঐতিহ্যগতভাবে কোনো মার্কিনিকে পোপের জায়গায় দেখার ধারণার বিরোধিতা করে আসছে। তা সত্ত্বেও শিকাগোতে জন্ম নেওয়া মধ্যপন্থী প্রেভস্টকে নজরে রাখা হচ্ছে। ফ্রান্সিস ২০২৩ সালে তাঁকে কার্ডিনাল করেন।
রবার্ট ফ্রান্সিস অগাস্টিনীয় ব্যবস্থার সাবেক প্রধান। ফ্রান্সিস তাঁকে শক্তিশালী বিশপ মনোনয়ন বিভাগের প্রধানও করেছিলেন। এই বিভাগ বিশ্বজুড়ে নতুন বিশপ নির্বাচন দেখাশোনা করে। এই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো এবং পেরুতে তাঁর উল্লেখযোগ্য মিশনারি অভিজ্ঞতা (তিনি চিক্লায়ো শহরের বিশপ ছিলেন) হয়তো তাঁকে মার্কিন পোপের ধারণার বিরোধী কার্ডিনালদের কাছে কিছুটা গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে।
পিটার এরদো, ৭২, হাঙ্গেরি
এরদো পোপ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান রক্ষণশীল প্রার্থী। এরদো ঐতিহ্যবাহী ক্যাথলিক শিক্ষা ও মতবাদের দৃঢ় সমর্থক। তিনি নির্বাচিত হলে ফ্রান্সিসের পদ্ধতির থেকে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। তাঁকে একজন মহান বুদ্ধিমান এবং সংস্কৃতিমান ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রয়াত কার্ডিনাল জর্জ পেল তাঁকে পছন্দ করতেন। পেল বিশ্বাস করতেন, এরদো পোপ ফ্রান্সিসের পরের ভ্যাটিকানে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনবেন।
২০১৫ সালে এরদো হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে সুর মিলিয়েছিলেন। সে সময় তিনি অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য পোপ ফ্রান্সিসের আহ্বানকে সমর্থন করেননি।
মাত্তেও জুপ্পি, ৬৯, ইতালি
পোপ ফ্রান্সিস তাঁকে ২০১৯ সালে কার্ডিনাল করেন। জুপ্পিকে চার্চের প্রগতিশীল ধারার অনুসারী মনে করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ফ্রান্সিসের উত্তরাধিকার এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তিনিও দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ফ্রান্সিসের মতো উদ্বিগ্ন। সমলিঙ্গ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি (আপেক্ষিকভাবে) উদারপন্থী। দুই বছর আগে ফ্রান্সিস তাঁকে ইউক্রেনের জন্য ভ্যাটিকানের শান্তি দূত করেন। এই ভূমিকায় তিনি মস্কো সফর করেন ‘মানবতার নিদর্শনকে উৎসাহিত করতে’। সেখানে তিনি রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের প্রধান এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র প্যাট্রিয়ার্ক সঙ্গে দেখা করেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও দেখা করেছেন।
জোসে টোলেন্টিনো কালাকা দে মেন্ডোনকা, ৫৯, পর্তুগাল
টোলেন্টিনো ফ্রান্সিসের সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের মধ্যে অন্যতম তরুণ। এটি হয়তো তাঁর বিপক্ষে যেতে পারে। উচ্চাকাঙ্ক্ষী কার্ডিনালরা হয়তো পরবর্তী সুযোগের জন্য আরও ২০ বা ৩০ বছর অপেক্ষা করতে চাইবেন না। সমলিঙ্গের সম্পর্কের প্রতি সহনশীলতার দৃষ্টিভঙ্গি এবং নারীদের ধর্মযাজক হওয়ার পক্ষে থাকা এক নারীবাদী সন্ন্যাসিনীর প্রতি সহানুভূতি দেখানোয় তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন। তিনি ফ্রান্সিসের বেশির ভাগ নীতির ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি মনে করেন, চার্চকে আধুনিক সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।
মারিও গ্রেচ, ৬৮, মাল্টা
গ্রেচকে একসময় ঐতিহ্যবাদী হিসেবে দেখা হতো। তবে ২০১৩ সালে ফ্রান্সিস পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আরও প্রগতিশীল ধারণা গ্রহণ করতে শুরু করেন। তাঁর সমর্থকেরা বলেন, তাঁর পরিবর্তিত মতামত উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ক্ষমতা দেখায়। তিনি এনজিও জাহাজগুলোর কার্যক্রম সীমিত করতে চাওয়া ইউরোপীয় রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা করেছেন। তিনি নারী ডিকনদের প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন।
পিয়েরবাতিস্তা পিজ্জাবাল্লা, ৬০, ইতালি
২০২০ সাল থেকে পিজ্জাবাল্লা জেরুজালেমের ল্যাটিন প্যাট্রিয়ার্ক। এই পবিত্র ভূমিতে খ্রিষ্টান সংখ্যালঘুদের পক্ষে কথা বলার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর পিজ্জাবাল্লা গাজায় হামাসের হাতে বন্দী শিশুদের বিনিময়ে নিজেকে জিম্মি হিসেবে প্রস্তাব করেন। কয়েক মাস আলোচনার পর ২০২৪ সালের মে মাসে তিনি গাজা সফর করেন। আশা করা হচ্ছে, তিনি ফ্রান্সিসের নেতৃত্বের কিছু দিক চালিয়ে যাবেন। তবে বিতর্কিত বিষয়ে তিনি খুব বেশি জনসমক্ষে মন্তব্য করেননি।
রবার্ট সারাহ, ৭৯, গিনি
সারাহ একজন ঐতিহ্যবাহী, অর্থোডক্স কার্ডিনাল। এক ভ্যাটিকান পর্যবেক্ষকের মতে, তিনি একসময় নিজেকে ফ্রান্সিসের ‘সমান্তরাল কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। ২০২০ সালে তিনি তৎকালীন অবসরপ্রাপ্ত পোপ বেনেডিক্টের সঙ্গে পুরোহিতদের ব্রহ্মচর্য রক্ষা করে একটি বই লেখেন। এটিকে ফ্রান্সিসের কর্তৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হয়েছিল। তিনি ‘লিঙ্গ মতাদর্শকে’ সমাজের জন্য হুমকি বলে নিন্দা করেছেন। তিনি ইসলামিক মৌলবাদের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন। টার্কসনের মতো তিনিও নির্বাচিত হলে কয়েক শতাব্দীর মধ্যে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পোপ হিসেবে ইতিহাস গড়তে পারেন।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি কে হবেন, তা আগে থেকে বলা প্রায় অসম্ভব। কারণ, অতি গোপনীয় পোপ নির্বাচনে কার্ডিনালদের অবস্থান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। এমনকি কেউ কেউ নিজেদের পছন্দের বা অপছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে নানা কৌশলও নেন।
২০১৩ সালের শেষ নির্বাচনে খুব কম লোকেই ভেবেছিলেন যে, জর্জ মারিও বার্গোলিও পোপ নির্বাচিত হবেন। পরে তিনিই হন পোপ ফ্রান্সিস। বর্তমানে তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় আসছে, তারা হলেন—
পিয়েত্রো পারোলিন, ৭০, ইতালি
পিয়েত্রে পারোলিনকে ‘কন্টিন্যুয়িটি ক্যান্ডিডেট’ বা ‘ধারাবাহিকতার প্রার্থী’ হিসেবে দেখা হয়। তিনি পোপ ফ্রান্সিসের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি ভ্যাটিকানের সেক্রেটারি অব স্টেট। কূটনৈতিক বিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এর মধ্যে চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সংবেদনশীল আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত। ধর্মনিরপেক্ষ কূটনীতিকেরা তাঁকে পোপের নির্ভরযোগ্য প্রতিনিধি মনে করেন।
২০১৮ সালে চীন সরকারের সঙ্গে বিশপ নিয়োগ নিয়ে একটি বিতর্কিত চুক্তিতে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। কেউ কেউ এই চুক্তিকে কমিউনিস্ট সরকারের কাছে ‘বিকিয়ে দেওয়া’ বলে সমালোচনা করেন। পারোলিনের সমালোচকেরা তাঁকে আধুনিক এবং বাস্তববাদী বলে মনে করেন। তাদের মতে, তিনি বিশ্বাসের কঠিন সত্যের চেয়ে আদর্শ ও কূটনৈতিক সমাধানকে বেশি গুরুত্ব দেন। তাঁর সমর্থকেরা তাঁকে সাহসী আদর্শবাদী ও শান্তির দৃঢ় প্রবক্তা বলেন।
লুইস আন্তোনিও টাগলে, ৬৭, ফিলিপাইন
ম্যানিলার সাবেক আর্চবিশপ টাগলে নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন প্রথম এশীয় পোপ। বিগত কয়েক দশক ধরে এশিয়াতেই ক্যাথলিক জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। একসময় টাগলেকে ফ্রান্সিসের পছন্দের উত্তরসূরি মনে করা হতো। তিনি পোপের প্রগতিশীল ধারা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শক্তিশালী প্রার্থীও ছিলেন। তবে সম্প্রতি তাঁর প্রভাব কিছুটা কমেছে বলে মনে হয়। তিনি মনে করেন, সমকামী ও বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া দম্পতিদের প্রতি ক্যাথলিক চার্চের অবস্থান খুব কঠোর। তবে ফিলিপাইনে তিনি গর্ভপাতের অধিকারের বিরোধিতা করেছেন।
পিটার টার্কসন, ৭৬, ঘানা
টার্কসন নির্বাচিত হলে কয়েক শতাব্দীর মধ্যে তিনিই হবেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পোপ। তিনি জলবায়ু সংকট, দারিদ্র্য এবং অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের মতো বিষয়ে স্পষ্টভাষী। একই সঙ্গে তিনি পুরোহিত নিয়োগ, বিয়ে (শুধুমাত্র পুরুষ ও নারীর মধ্যে) এবং সমকামিতা নিয়ে চার্চের ঐতিহ্যবাহী অবস্থানের সমর্থক। তবে শেষের বিষয়টি নিয়ে তাঁর মতামত কিছুটা নরম হয়েছে। তিনি মনে করেন, অনেক আফ্রিকান দেশের আইন এ বিষয়ে খুব কঠোর। তিনি দুর্নীতি ও মানবাধিকার নিয়েও কথা বলেছেন।
রবার্ট ফ্রান্সিস প্রেভস্ট, ৬৯, যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব পরাশক্তি অবস্থান এবং ধর্মনিরপেক্ষ বৈশ্বিক প্রভাবের কারণে ভ্যাটিকান ঐতিহ্যগতভাবে কোনো মার্কিনিকে পোপের জায়গায় দেখার ধারণার বিরোধিতা করে আসছে। তা সত্ত্বেও শিকাগোতে জন্ম নেওয়া মধ্যপন্থী প্রেভস্টকে নজরে রাখা হচ্ছে। ফ্রান্সিস ২০২৩ সালে তাঁকে কার্ডিনাল করেন।
রবার্ট ফ্রান্সিস অগাস্টিনীয় ব্যবস্থার সাবেক প্রধান। ফ্রান্সিস তাঁকে শক্তিশালী বিশপ মনোনয়ন বিভাগের প্রধানও করেছিলেন। এই বিভাগ বিশ্বজুড়ে নতুন বিশপ নির্বাচন দেখাশোনা করে। এই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো এবং পেরুতে তাঁর উল্লেখযোগ্য মিশনারি অভিজ্ঞতা (তিনি চিক্লায়ো শহরের বিশপ ছিলেন) হয়তো তাঁকে মার্কিন পোপের ধারণার বিরোধী কার্ডিনালদের কাছে কিছুটা গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে।
পিটার এরদো, ৭২, হাঙ্গেরি
এরদো পোপ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান রক্ষণশীল প্রার্থী। এরদো ঐতিহ্যবাহী ক্যাথলিক শিক্ষা ও মতবাদের দৃঢ় সমর্থক। তিনি নির্বাচিত হলে ফ্রান্সিসের পদ্ধতির থেকে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। তাঁকে একজন মহান বুদ্ধিমান এবং সংস্কৃতিমান ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রয়াত কার্ডিনাল জর্জ পেল তাঁকে পছন্দ করতেন। পেল বিশ্বাস করতেন, এরদো পোপ ফ্রান্সিসের পরের ভ্যাটিকানে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনবেন।
২০১৫ সালে এরদো হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে সুর মিলিয়েছিলেন। সে সময় তিনি অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য পোপ ফ্রান্সিসের আহ্বানকে সমর্থন করেননি।
মাত্তেও জুপ্পি, ৬৯, ইতালি
পোপ ফ্রান্সিস তাঁকে ২০১৯ সালে কার্ডিনাল করেন। জুপ্পিকে চার্চের প্রগতিশীল ধারার অনুসারী মনে করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ফ্রান্সিসের উত্তরাধিকার এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তিনিও দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ফ্রান্সিসের মতো উদ্বিগ্ন। সমলিঙ্গ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি (আপেক্ষিকভাবে) উদারপন্থী। দুই বছর আগে ফ্রান্সিস তাঁকে ইউক্রেনের জন্য ভ্যাটিকানের শান্তি দূত করেন। এই ভূমিকায় তিনি মস্কো সফর করেন ‘মানবতার নিদর্শনকে উৎসাহিত করতে’। সেখানে তিনি রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের প্রধান এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র প্যাট্রিয়ার্ক সঙ্গে দেখা করেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও দেখা করেছেন।
জোসে টোলেন্টিনো কালাকা দে মেন্ডোনকা, ৫৯, পর্তুগাল
টোলেন্টিনো ফ্রান্সিসের সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের মধ্যে অন্যতম তরুণ। এটি হয়তো তাঁর বিপক্ষে যেতে পারে। উচ্চাকাঙ্ক্ষী কার্ডিনালরা হয়তো পরবর্তী সুযোগের জন্য আরও ২০ বা ৩০ বছর অপেক্ষা করতে চাইবেন না। সমলিঙ্গের সম্পর্কের প্রতি সহনশীলতার দৃষ্টিভঙ্গি এবং নারীদের ধর্মযাজক হওয়ার পক্ষে থাকা এক নারীবাদী সন্ন্যাসিনীর প্রতি সহানুভূতি দেখানোয় তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন। তিনি ফ্রান্সিসের বেশির ভাগ নীতির ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি মনে করেন, চার্চকে আধুনিক সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।
মারিও গ্রেচ, ৬৮, মাল্টা
গ্রেচকে একসময় ঐতিহ্যবাদী হিসেবে দেখা হতো। তবে ২০১৩ সালে ফ্রান্সিস পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আরও প্রগতিশীল ধারণা গ্রহণ করতে শুরু করেন। তাঁর সমর্থকেরা বলেন, তাঁর পরিবর্তিত মতামত উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ক্ষমতা দেখায়। তিনি এনজিও জাহাজগুলোর কার্যক্রম সীমিত করতে চাওয়া ইউরোপীয় রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা করেছেন। তিনি নারী ডিকনদের প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন।
পিয়েরবাতিস্তা পিজ্জাবাল্লা, ৬০, ইতালি
২০২০ সাল থেকে পিজ্জাবাল্লা জেরুজালেমের ল্যাটিন প্যাট্রিয়ার্ক। এই পবিত্র ভূমিতে খ্রিষ্টান সংখ্যালঘুদের পক্ষে কথা বলার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর পিজ্জাবাল্লা গাজায় হামাসের হাতে বন্দী শিশুদের বিনিময়ে নিজেকে জিম্মি হিসেবে প্রস্তাব করেন। কয়েক মাস আলোচনার পর ২০২৪ সালের মে মাসে তিনি গাজা সফর করেন। আশা করা হচ্ছে, তিনি ফ্রান্সিসের নেতৃত্বের কিছু দিক চালিয়ে যাবেন। তবে বিতর্কিত বিষয়ে তিনি খুব বেশি জনসমক্ষে মন্তব্য করেননি।
রবার্ট সারাহ, ৭৯, গিনি
সারাহ একজন ঐতিহ্যবাহী, অর্থোডক্স কার্ডিনাল। এক ভ্যাটিকান পর্যবেক্ষকের মতে, তিনি একসময় নিজেকে ফ্রান্সিসের ‘সমান্তরাল কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। ২০২০ সালে তিনি তৎকালীন অবসরপ্রাপ্ত পোপ বেনেডিক্টের সঙ্গে পুরোহিতদের ব্রহ্মচর্য রক্ষা করে একটি বই লেখেন। এটিকে ফ্রান্সিসের কর্তৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হয়েছিল। তিনি ‘লিঙ্গ মতাদর্শকে’ সমাজের জন্য হুমকি বলে নিন্দা করেছেন। তিনি ইসলামিক মৌলবাদের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন। টার্কসনের মতো তিনিও নির্বাচিত হলে কয়েক শতাব্দীর মধ্যে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পোপ হিসেবে ইতিহাস গড়তে পারেন।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক। এবং সংখ্যা ক্রম
২ ঘণ্টা আগে
জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক; এবং সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
তিমোফ। ইউক্রেনের ৩৬ বছর বয়সী এক অফিস সহায়ক। তাঁর হাতে ও আঙুলে এখনো বেগুনি রঙের ছোট ছোট বেশ কিছু ক্ষত রয়ে গেছে। ছয় মাস আগে সে একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে আসে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে। সে সময়ই হাতে এই ক্ষত তৈরি হয়। কিয়েভের এই যুবক জানান, গত এপ্রিলে তাকে জোর করে সেনাবাহিনীতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি পরপর দুবার পালিয়ে এসেছেন।
তিমোফ বলেন, সত্যিকারের লড়াইয়ের জন্য তাঁর প্রশিক্ষণ কতখানি অকার্যকর, তা বুঝেই তিনি পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বুঝতে পারেন, অনিবার্যভাবে তাঁকে ফ্রন্টলাইনের সৈন্য হতে হবে, যেখানে বেঁচে থাকার কোনো সুযোগ থাকবে না। তিমোফ বলেন, ‘কোনো প্রশিক্ষণই দেওয়া হয় না। আমি প্রথম আক্রমণেই মারা যাব, তাতে তাদের কিছু যায়-আসে না।’
তিনি দাবি করেন, তাঁর প্রশিক্ষকেরা বেশির ভাগ সময় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে যাতে কেউ পালাতে না পারে, সেই চিন্তায় মগ্ন থাকতেন। কেন্দ্রটি ছিল কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা একটি তিন মিটার প্রায় ১০ ফুট উঁচু কংক্রিটের দেয়াল দিয়ে সুরক্ষিত। তিমোফ বলেন, ‘একজন সৈনিক গুলি চালানো শিখল কি না, তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। তারা আমাকে একটি বন্দুক দিল, আমি লক্ষ্যের দিকে একটি গুলি ছুড়লাম, আর তারা আমার নামের পাশে একটি টিক চিহ্ন দিয়ে দিল।’ ব্যস প্রশিক্ষণ শেষ।
কর্তৃপক্ষের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকায় তিমোফে তাঁর পদবি এবং ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখতে অনুরোধ করে। তিনি দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো পলাতক বা অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ আনা হয়নি। তাঁর ব্যাখ্যা খুব সহজ, ‘দেশের অর্ধেক মানুষ এখন পালাচ্ছে’, আর সামরিক ও বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে এত সংখ্যক পলাতককে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা নেই।
অক্টোবরে ইউক্রেনীয় কৌঁসুলিরা জানান, রাশিয়া ২০২২ সালে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন এবং প্রায় ৫৪ হাজার সেনা পলায়ন করেছেন। গত বছর থেকে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি ১ লাখ ৭৬ হাজার এবং পলায়নের ২৫ হাজার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
ইউক্রেনীয় কমান্ডার ভ্যালেন্তিন মাঙ্কো শনিবার ইউক্রেনীয় প্রাভদাকে বলেন, ‘এমনকি রাশিয়ায়ও এত বেশি সৈন্য অনুমতি ছাড়া পালিয়ে যায়।’ পলায়নের এই সংকট ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ক্রমেই চলে যাওয়ার মধ্যে সেনাকর্মীর মারাত্মক অভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
নভেম্বরে রাশিয়ার বাহিনী প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নেয়, যার বেশির ভাগই পূর্ব ইউক্রেনে, আর ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা আবারও থমকে যায়। মাঙ্কো জানান, প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার পুরুষকে সেনাবাহিনীতে নেওয়া হয়, কিন্তু সব সামরিক ইউনিটকে ‘পুনরায় সচল’ করতে দরকার ৭০ হাজার সেনা।
যুদ্ধে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে, একজন সেনা সামরিক ইউনিট ছেড়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে পলায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন এবং তার ৫ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। আর অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতির শাস্তি ১০ বছর পর্যন্ত জেল। অনেকেই জেলকে বেছে নিচ্ছেন।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের সাবেক উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর রোমানেনকো বলেন, ‘আমাদের পলাতক সৈন্য এবং অনুমতি ছাড়া চলে যাওয়া সেনার সংখ্যা খুবই বেশি।’ তিনি বলেন, ‘তারা ভাবে—আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে ফ্রন্টলাইনে যাওয়ার চেয়ে জেলে যাওয়া সহজ।’ রোমানেনকো দীর্ঘদিন ধরে কঠোর যুদ্ধকালীন আইন চালু করার এবং পলাতক ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের জন্য কঠোর শাস্তির পক্ষে সওয়াল করছেন। তাঁর বিশ্বাস, তাদের জেলে না পাঠিয়ে ফ্রন্টলাইনে পাঠানো উচিত।
পলায়ন এবং অনুমতি ছাড়া চলে যাওয়ার মধ্যে আইনি পার্থক্য হলো ‘চিরতরে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য।’ তবে ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকার প্রথমবার পলায়নকারীদের জন্য ক্ষমা ঘোষণা করেছে। যার ফলে তারা কোনো শাস্তি ছাড়াই তাদের ইউনিটে ফিরে আসতে পারে। সামরিক কর্তৃপক্ষ এবং তাদের কমান্ডিং অফিসারদের দয়ার ওপর ভরসা করে প্রায় ৩০ হাজার সেনা ফিরে এসেছেন।
দক্ষিণ ইউক্রেনের একটি সামরিক ইউনিটের এক মনোবিজ্ঞানী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘তাদের প্রতি এখন আরও বেশি সহানুভূতি দেখানো হচ্ছে।’ তিনি বলেন, পলায়ন সব সময় মৃত্যুর ভয়ের কারণে হয় না, বরং বেশির ভাগ সময়েই মনোযোগহীন কমান্ডিং অফিসারদের কারণে হয়, যারা তাদের সেনাদের সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করেন। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলে, তাদের কমান্ডার তাদের ছুটিতে যেতে দেননি, তাদের অসুস্থ আত্মীয়দের দেখতে যেতে দেননি, এমনকি বিয়ে করতেও দেননি।’
এদিকে সামরিক পুলিশ বাহিনীতে লোকবলের মারাত্মক অভাব রয়েছে এবং আদালতের আদেশ ছাড়া তারা কোনো সেনাকে আটক করতে পারে না। ফলে অনুমতি ছাড়া সেনাবাহিনী ছেড়ে যাওয়া কিংবা পালিয়ে যাওয়া সেনারা খুব বেশি ধরাও পড়ছে না।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক; এবং সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
তিমোফ। ইউক্রেনের ৩৬ বছর বয়সী এক অফিস সহায়ক। তাঁর হাতে ও আঙুলে এখনো বেগুনি রঙের ছোট ছোট বেশ কিছু ক্ষত রয়ে গেছে। ছয় মাস আগে সে একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে আসে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে। সে সময়ই হাতে এই ক্ষত তৈরি হয়। কিয়েভের এই যুবক জানান, গত এপ্রিলে তাকে জোর করে সেনাবাহিনীতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি পরপর দুবার পালিয়ে এসেছেন।
তিমোফ বলেন, সত্যিকারের লড়াইয়ের জন্য তাঁর প্রশিক্ষণ কতখানি অকার্যকর, তা বুঝেই তিনি পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বুঝতে পারেন, অনিবার্যভাবে তাঁকে ফ্রন্টলাইনের সৈন্য হতে হবে, যেখানে বেঁচে থাকার কোনো সুযোগ থাকবে না। তিমোফ বলেন, ‘কোনো প্রশিক্ষণই দেওয়া হয় না। আমি প্রথম আক্রমণেই মারা যাব, তাতে তাদের কিছু যায়-আসে না।’
তিনি দাবি করেন, তাঁর প্রশিক্ষকেরা বেশির ভাগ সময় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে যাতে কেউ পালাতে না পারে, সেই চিন্তায় মগ্ন থাকতেন। কেন্দ্রটি ছিল কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা একটি তিন মিটার প্রায় ১০ ফুট উঁচু কংক্রিটের দেয়াল দিয়ে সুরক্ষিত। তিমোফ বলেন, ‘একজন সৈনিক গুলি চালানো শিখল কি না, তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। তারা আমাকে একটি বন্দুক দিল, আমি লক্ষ্যের দিকে একটি গুলি ছুড়লাম, আর তারা আমার নামের পাশে একটি টিক চিহ্ন দিয়ে দিল।’ ব্যস প্রশিক্ষণ শেষ।
কর্তৃপক্ষের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকায় তিমোফে তাঁর পদবি এবং ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখতে অনুরোধ করে। তিনি দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো পলাতক বা অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ আনা হয়নি। তাঁর ব্যাখ্যা খুব সহজ, ‘দেশের অর্ধেক মানুষ এখন পালাচ্ছে’, আর সামরিক ও বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে এত সংখ্যক পলাতককে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা নেই।
অক্টোবরে ইউক্রেনীয় কৌঁসুলিরা জানান, রাশিয়া ২০২২ সালে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন এবং প্রায় ৫৪ হাজার সেনা পলায়ন করেছেন। গত বছর থেকে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি ১ লাখ ৭৬ হাজার এবং পলায়নের ২৫ হাজার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
ইউক্রেনীয় কমান্ডার ভ্যালেন্তিন মাঙ্কো শনিবার ইউক্রেনীয় প্রাভদাকে বলেন, ‘এমনকি রাশিয়ায়ও এত বেশি সৈন্য অনুমতি ছাড়া পালিয়ে যায়।’ পলায়নের এই সংকট ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ক্রমেই চলে যাওয়ার মধ্যে সেনাকর্মীর মারাত্মক অভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
নভেম্বরে রাশিয়ার বাহিনী প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নেয়, যার বেশির ভাগই পূর্ব ইউক্রেনে, আর ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা আবারও থমকে যায়। মাঙ্কো জানান, প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার পুরুষকে সেনাবাহিনীতে নেওয়া হয়, কিন্তু সব সামরিক ইউনিটকে ‘পুনরায় সচল’ করতে দরকার ৭০ হাজার সেনা।
যুদ্ধে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে, একজন সেনা সামরিক ইউনিট ছেড়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে পলায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন এবং তার ৫ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। আর অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতির শাস্তি ১০ বছর পর্যন্ত জেল। অনেকেই জেলকে বেছে নিচ্ছেন।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের সাবেক উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর রোমানেনকো বলেন, ‘আমাদের পলাতক সৈন্য এবং অনুমতি ছাড়া চলে যাওয়া সেনার সংখ্যা খুবই বেশি।’ তিনি বলেন, ‘তারা ভাবে—আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে ফ্রন্টলাইনে যাওয়ার চেয়ে জেলে যাওয়া সহজ।’ রোমানেনকো দীর্ঘদিন ধরে কঠোর যুদ্ধকালীন আইন চালু করার এবং পলাতক ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের জন্য কঠোর শাস্তির পক্ষে সওয়াল করছেন। তাঁর বিশ্বাস, তাদের জেলে না পাঠিয়ে ফ্রন্টলাইনে পাঠানো উচিত।
পলায়ন এবং অনুমতি ছাড়া চলে যাওয়ার মধ্যে আইনি পার্থক্য হলো ‘চিরতরে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য।’ তবে ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকার প্রথমবার পলায়নকারীদের জন্য ক্ষমা ঘোষণা করেছে। যার ফলে তারা কোনো শাস্তি ছাড়াই তাদের ইউনিটে ফিরে আসতে পারে। সামরিক কর্তৃপক্ষ এবং তাদের কমান্ডিং অফিসারদের দয়ার ওপর ভরসা করে প্রায় ৩০ হাজার সেনা ফিরে এসেছেন।
দক্ষিণ ইউক্রেনের একটি সামরিক ইউনিটের এক মনোবিজ্ঞানী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘তাদের প্রতি এখন আরও বেশি সহানুভূতি দেখানো হচ্ছে।’ তিনি বলেন, পলায়ন সব সময় মৃত্যুর ভয়ের কারণে হয় না, বরং বেশির ভাগ সময়েই মনোযোগহীন কমান্ডিং অফিসারদের কারণে হয়, যারা তাদের সেনাদের সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করেন। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলে, তাদের কমান্ডার তাদের ছুটিতে যেতে দেননি, তাদের অসুস্থ আত্মীয়দের দেখতে যেতে দেননি, এমনকি বিয়ে করতেও দেননি।’
এদিকে সামরিক পুলিশ বাহিনীতে লোকবলের মারাত্মক অভাব রয়েছে এবং আদালতের আদেশ ছাড়া তারা কোনো সেনাকে আটক করতে পারে না। ফলে অনুমতি ছাড়া সেনাবাহিনী ছেড়ে যাওয়া কিংবা পালিয়ে যাওয়া সেনারা খুব বেশি ধরাও পড়ছে না।

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি কে হবেন, তা আগে থেকে বলা প্রায় অসম্ভব। কারণ, অতি গোপনীয় পোপ নির্বাচনে কার্ডিনালদের অবস্থান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। এমনকি কেউ কেউ নিজেদের পছন্দের বা অপছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে নানা কৌশলও নেন।
০৮ মে ২০২৫
জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। টোকিও এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আবহে এই ঘটনা ঘটল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুটি পারমাণবিক বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম টুপোলভ-৯৫ কৌশলগত বোমারু বিমান জাপান সাগর থেকে পূর্ব চীন সাগরের দিকে উড়ে যায় এবং সেখানে দুটি চীনা এইচ-৬ বোমারু বিমানের সঙ্গে মিলিত হয়। এরপর তারা প্রশান্ত মহাসাগরে একটি ‘দীর্ঘ দূরত্বের যৌথ উড্ডয়ন’ সম্পন্ন করে।
টোকিও আরও জানিয়েছে, বোমারু বিমানগুলো যখন জাপানের ওকিনাওয়া এবং মিয়াকো দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে দিয়ে চক্কর কেটে যাচ্ছিল, তখন চারটি চীনা জে-১৬ যুদ্ধবিমান তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এই দুটি দ্বীপের মধ্যবর্তী মিয়াকো প্রণালি আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে বিবেচিত। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, জাপান সাগরে একই সময়ে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর আরও কার্যকলাপ শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি আর্লি-ওয়ার্নিং বিমান এ-৫০ এবং দুটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান ছিল।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বুধবার এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘রাশিয়া ও চীনের যৌথ অভিযানগুলো স্পষ্টতই আমাদের জাতির বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে, যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।’ ইজুমি যোগ করেন, জাপানের যুদ্ধবিমানগুলো ‘আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ ব্যবস্থা কঠোরভাবে কার্যকর করেছে।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, জাপানের কাছে রাশিয়া-চীনের যৌথ এই উড্ডয়ন আট ঘণ্টা ধরে চলেছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীও মঙ্গলবার জানিয়েছে, সাতটি রুশ বিমান ও দুটি চীনা বিমান তাদের বিমান প্রতিরক্ষা সীমায় প্রবেশ করেছিল।
জাপান রোববার জানায়, এর আগের দিন চীনা বিমানবাহী জাহাজ থেকে উৎক্ষেপিত যুদ্ধবিমান জাপানি সামরিক বিমান লক্ষ্য করে রাডার তাক করেছিল; যদিও বেইজিং সেই দাবি অস্বীকার করেছে। গত মাসে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যের পর জাপানের কাছাকাছি বেইজিংয়ের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেল। সানায়ে বলেছিলেন, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনা সামরিক পদক্ষেপ যদি জাপানের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে, তবে টোকিও তার প্রত্যুত্তর দিতে পারে।
চীন ও রাশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্যান্য স্থানে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করছে। এর মধ্যে রুশ ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী প্রশিক্ষণ এবং দক্ষিণ চীন সাগরে লাইভ ফায়ার নৌ মহড়ার মতো যৌথ অভিযান অন্তর্ভুক্ত।

জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। টোকিও এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আবহে এই ঘটনা ঘটল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুটি পারমাণবিক বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম টুপোলভ-৯৫ কৌশলগত বোমারু বিমান জাপান সাগর থেকে পূর্ব চীন সাগরের দিকে উড়ে যায় এবং সেখানে দুটি চীনা এইচ-৬ বোমারু বিমানের সঙ্গে মিলিত হয়। এরপর তারা প্রশান্ত মহাসাগরে একটি ‘দীর্ঘ দূরত্বের যৌথ উড্ডয়ন’ সম্পন্ন করে।
টোকিও আরও জানিয়েছে, বোমারু বিমানগুলো যখন জাপানের ওকিনাওয়া এবং মিয়াকো দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে দিয়ে চক্কর কেটে যাচ্ছিল, তখন চারটি চীনা জে-১৬ যুদ্ধবিমান তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এই দুটি দ্বীপের মধ্যবর্তী মিয়াকো প্রণালি আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে বিবেচিত। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, জাপান সাগরে একই সময়ে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর আরও কার্যকলাপ শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি আর্লি-ওয়ার্নিং বিমান এ-৫০ এবং দুটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান ছিল।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বুধবার এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘রাশিয়া ও চীনের যৌথ অভিযানগুলো স্পষ্টতই আমাদের জাতির বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে, যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।’ ইজুমি যোগ করেন, জাপানের যুদ্ধবিমানগুলো ‘আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ ব্যবস্থা কঠোরভাবে কার্যকর করেছে।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, জাপানের কাছে রাশিয়া-চীনের যৌথ এই উড্ডয়ন আট ঘণ্টা ধরে চলেছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীও মঙ্গলবার জানিয়েছে, সাতটি রুশ বিমান ও দুটি চীনা বিমান তাদের বিমান প্রতিরক্ষা সীমায় প্রবেশ করেছিল।
জাপান রোববার জানায়, এর আগের দিন চীনা বিমানবাহী জাহাজ থেকে উৎক্ষেপিত যুদ্ধবিমান জাপানি সামরিক বিমান লক্ষ্য করে রাডার তাক করেছিল; যদিও বেইজিং সেই দাবি অস্বীকার করেছে। গত মাসে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যের পর জাপানের কাছাকাছি বেইজিংয়ের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেল। সানায়ে বলেছিলেন, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনা সামরিক পদক্ষেপ যদি জাপানের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে, তবে টোকিও তার প্রত্যুত্তর দিতে পারে।
চীন ও রাশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্যান্য স্থানে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করছে। এর মধ্যে রুশ ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী প্রশিক্ষণ এবং দক্ষিণ চীন সাগরে লাইভ ফায়ার নৌ মহড়ার মতো যৌথ অভিযান অন্তর্ভুক্ত।

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি কে হবেন, তা আগে থেকে বলা প্রায় অসম্ভব। কারণ, অতি গোপনীয় পোপ নির্বাচনে কার্ডিনালদের অবস্থান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। এমনকি কেউ কেউ নিজেদের পছন্দের বা অপছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে নানা কৌশলও নেন।
০৮ মে ২০২৫
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক। এবং সংখ্যা ক্রম
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে ট্রাম্প প্রশাসন এই ভিসাগুলো বাতিল করেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রায় অর্ধেক ভিসা বাতিলের অভিযোগ মাদক বা অন্য নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, আক্রমণ, এবং চুরির মতো অপরাধের কারণে হয়েছে। কর্মকর্তাটি আরও জানান, ভিসা বাতিলের এই সংখ্যাটি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের অধীনে গত বছরের সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি।
সাম্প্রতিককালে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে যে—তারা ডানপন্থী মার্কিন রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্কের মৃত্যু উদযাপনকারী কয়েকজনের ভিসা বাতিল করেছে।
বাতিল হওয়া ভিসাগুলোর প্রায় ১০ শতাংশ ছিল শিক্ষার্থীদের, যা সংখ্যায় ৮ হাজারের বেশি।
যাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, সেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের মতো বিষয়ে ক্যাম্পাসে তাদের সক্রিয়তার কারণে লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন।
২৯ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, এই ধরনের ‘বহিরাগত শিক্ষার্থীদের’ ইহুদি-বিরোধী হিসেবে দেখা হচ্ছে, এবং প্রয়োজন হলে, ‘এই বহিরাগতদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য’ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ফিলিস্তিনপন্থী কাজকর্মের জন্য যাদের বহিষ্কারের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, সেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন রঞ্জনি শ্রীনিবাসন এবং রুমেইসা ওজতুর্ক, সেইসাথে মাহমুদ খলিলের মতো শিক্ষার্থীরা, যারা স্থায়ী বৈধ বাসিন্দা ছিলেন।
সমালোচকরা বলেছেন, নিজের মতামত প্রকাশের জন্য বহিষ্কার করাটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সংশোধনীর লঙ্ঘন, এবং ফিলিস্তিন-পন্থী সক্রিয়তার জন্য লক্ষ্যবস্তু হওয়া অনেক শিক্ষার্থীই এর বিরুদ্ধে লড়াই করে সফল হয়েছেন।
আগস্ট মাসে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছিল, তারা ৬ হাজার ভিসা বাতিল করেছে, এবং বাতিল হওয়া ভিসাগুলোর দুই-তৃতীয়াংশ নাকি শিক্ষার্থীদের মার্কিন আইন লঙ্ঘনের কারণে হয়েছে, যার অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিল ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পরেও অবস্থান, চুরি, আক্রমণ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, এবং সন্ত্রাসবাদে সমর্থন।
তবে, কেবল দেশের অভ্যন্তরের বিদেশী নাগরিকরাই লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন না। জুন মাস থেকে, সম্ভাব্য ছাত্র ভিসার আবেদনকারীরা তাদের রাজনৈতিক মতামত যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান কঠোরতার সম্মুখীন হচ্ছেন।
মার্কিন সরকার এইচ১-বি ভিসা ধারীদের আরও বেশি করে যাচাই করার, বাইডেন প্রশাসনের অধীনে শরণার্থী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাওয়া ব্যক্তিদের পুনঃসাক্ষাৎকার নেওয়ার, এবং সম্পূর্ণ বা আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হওয়া দেশগুলোর তালিকা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
প্রশাসন এইচ১-বি ভিসার খরচও বাড়িয়েছে যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে চাওয়া বিদেশী নাগরিকদের কাছে এটি কম আকর্ষণীয় হয়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ এবং বর্তমান প্রেসিডেন্সির সময় তাঁর প্রধান এজেন্ডাগুলোর একটি ছিল অভিবাসীদের লক্ষ্য করা। ট্রাম্প তথাকথিত মুসলিম নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয়, আরও পরিমার্জিত সংস্করণ কার্যকর করেছিলেন এবং দেশে শরণার্থীদের প্রবেশাধিকারকে ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছেন।
মার্কিন সীমান্তে প্রবেশকারী মানুষের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমে গেছে এবং দেশের অভ্যন্তরে থাকা ‘অবৈধ’ অভিবাসীদের বহিষ্কার প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার চেষ্টা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন আফগান এবং সিরিয়ান নাগরিকদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু করে অস্থায়ী সুরক্ষিত মর্যাদা (টিপিএস) অপসারণের চেষ্টাও করেছে, যা গৃহযুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অস্থায়ীভাবে দেশে থাকার অনুমতিপ্রাপ্ত বিদেশী নাগরিকদের দেওয়া হয়েছিল।
মিডল ইস্ট আই স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত কোনো উত্তর পায়নি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে ট্রাম্প প্রশাসন এই ভিসাগুলো বাতিল করেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রায় অর্ধেক ভিসা বাতিলের অভিযোগ মাদক বা অন্য নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, আক্রমণ, এবং চুরির মতো অপরাধের কারণে হয়েছে। কর্মকর্তাটি আরও জানান, ভিসা বাতিলের এই সংখ্যাটি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের অধীনে গত বছরের সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি।
সাম্প্রতিককালে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে যে—তারা ডানপন্থী মার্কিন রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্কের মৃত্যু উদযাপনকারী কয়েকজনের ভিসা বাতিল করেছে।
বাতিল হওয়া ভিসাগুলোর প্রায় ১০ শতাংশ ছিল শিক্ষার্থীদের, যা সংখ্যায় ৮ হাজারের বেশি।
যাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, সেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের মতো বিষয়ে ক্যাম্পাসে তাদের সক্রিয়তার কারণে লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন।
২৯ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, এই ধরনের ‘বহিরাগত শিক্ষার্থীদের’ ইহুদি-বিরোধী হিসেবে দেখা হচ্ছে, এবং প্রয়োজন হলে, ‘এই বহিরাগতদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য’ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ফিলিস্তিনপন্থী কাজকর্মের জন্য যাদের বহিষ্কারের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, সেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন রঞ্জনি শ্রীনিবাসন এবং রুমেইসা ওজতুর্ক, সেইসাথে মাহমুদ খলিলের মতো শিক্ষার্থীরা, যারা স্থায়ী বৈধ বাসিন্দা ছিলেন।
সমালোচকরা বলেছেন, নিজের মতামত প্রকাশের জন্য বহিষ্কার করাটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সংশোধনীর লঙ্ঘন, এবং ফিলিস্তিন-পন্থী সক্রিয়তার জন্য লক্ষ্যবস্তু হওয়া অনেক শিক্ষার্থীই এর বিরুদ্ধে লড়াই করে সফল হয়েছেন।
আগস্ট মাসে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছিল, তারা ৬ হাজার ভিসা বাতিল করেছে, এবং বাতিল হওয়া ভিসাগুলোর দুই-তৃতীয়াংশ নাকি শিক্ষার্থীদের মার্কিন আইন লঙ্ঘনের কারণে হয়েছে, যার অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিল ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পরেও অবস্থান, চুরি, আক্রমণ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, এবং সন্ত্রাসবাদে সমর্থন।
তবে, কেবল দেশের অভ্যন্তরের বিদেশী নাগরিকরাই লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন না। জুন মাস থেকে, সম্ভাব্য ছাত্র ভিসার আবেদনকারীরা তাদের রাজনৈতিক মতামত যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান কঠোরতার সম্মুখীন হচ্ছেন।
মার্কিন সরকার এইচ১-বি ভিসা ধারীদের আরও বেশি করে যাচাই করার, বাইডেন প্রশাসনের অধীনে শরণার্থী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাওয়া ব্যক্তিদের পুনঃসাক্ষাৎকার নেওয়ার, এবং সম্পূর্ণ বা আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হওয়া দেশগুলোর তালিকা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
প্রশাসন এইচ১-বি ভিসার খরচও বাড়িয়েছে যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে চাওয়া বিদেশী নাগরিকদের কাছে এটি কম আকর্ষণীয় হয়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ এবং বর্তমান প্রেসিডেন্সির সময় তাঁর প্রধান এজেন্ডাগুলোর একটি ছিল অভিবাসীদের লক্ষ্য করা। ট্রাম্প তথাকথিত মুসলিম নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয়, আরও পরিমার্জিত সংস্করণ কার্যকর করেছিলেন এবং দেশে শরণার্থীদের প্রবেশাধিকারকে ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছেন।
মার্কিন সীমান্তে প্রবেশকারী মানুষের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমে গেছে এবং দেশের অভ্যন্তরে থাকা ‘অবৈধ’ অভিবাসীদের বহিষ্কার প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার চেষ্টা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন আফগান এবং সিরিয়ান নাগরিকদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু করে অস্থায়ী সুরক্ষিত মর্যাদা (টিপিএস) অপসারণের চেষ্টাও করেছে, যা গৃহযুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অস্থায়ীভাবে দেশে থাকার অনুমতিপ্রাপ্ত বিদেশী নাগরিকদের দেওয়া হয়েছিল।
মিডল ইস্ট আই স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত কোনো উত্তর পায়নি।

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি কে হবেন, তা আগে থেকে বলা প্রায় অসম্ভব। কারণ, অতি গোপনীয় পোপ নির্বাচনে কার্ডিনালদের অবস্থান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। এমনকি কেউ কেউ নিজেদের পছন্দের বা অপছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে নানা কৌশলও নেন।
০৮ মে ২০২৫
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক। এবং সংখ্যা ক্রম
২ ঘণ্টা আগে
জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচনার সঙ্গে পরিচিত এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আলোচনার সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে কায়রোতে মিসরীয়, কাতারি এবং তুর্কি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে এই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবটিকে তিনি হামাসের পক্ষ থেকে একটি সারগর্ভ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যার লক্ষ্য হলো—যুদ্ধবিরতি আলোচনার পরবর্তী ধাপে গতি আনা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রস্তাবটি পরিষ্কার। এর মাধ্যমে হামাস এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে কোনো অস্ত্র ছোড়া হবে না, এবং তারা অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলার মাধ্যমে তা করবে। তারা গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত থেকে দশ বছরের জন্য একটি হুদনা (ইসলামিক ঐতিহ্যে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দ) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে, এবং হামাস এই অস্ত্র ব্যবহার করবে না।’
ওই কর্মকর্তার মতে, মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্রগুলো এই হুদনার গ্যারান্টার হিসেবে কাজ করবে এবং এর সম্মতি নিশ্চিত করবে। তিনি জানান, অস্ত্রগুলো গোপন করা হবে এবং মধ্যস্থতাকারীরা সরাসরি হামাসের প্রতিশ্রুতিগুলো তত্ত্বাবধান করবেন। তিনি বলেন, ‘এই সময়ে গাজা নিজেই নিজের কাজে ব্যস্ত থাকবে।’ তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বিধ্বংসী যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি এবং অবরোধের পর পুনর্গঠন এবং অভ্যন্তরীণ শাসনের দিকে ইঙ্গিত করেন।
হামাস এখন পর্যন্ত একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্বের কর্তৃত্ব ছাড়া তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে অস্বীকার করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই আন্দোলন বারবার বলেছে যে, ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে দখলদারিত্ব শেষ হলেই কেবল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের সশস্ত্র অভিযান বন্ধ হবে।
তবে, এই নতুন প্রস্তাবটি নির্দিষ্টভাবে গাজা নিয়ে, এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামাসের সামরিক সক্ষমতা বা রাজনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়ে এতে কিছু বলা হয়নি, যেখানে গাজা যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, আঞ্চলিক কূটনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণেও এই প্রস্তাবটি তৈরি হয়েছে। তিনি মিসরকে বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, কায়রোর অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে এবং তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, মিসর সম্প্রতি জোর দিয়েছে যে, রাফা ক্রসিংয়ে উভয় দিকেই চলাচল অনুমোদন করতে হবে, যার মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তনও অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, ইসরায়েল কেবল গাজা থেকে প্রস্থান করার অনুমতি দিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে গাজার উত্তর ও মধ্যভাগের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক নবায়ন করেছে। হামাসও মধ্যস্থতায় অগ্রগতি খুঁজে পেয়েছে এবং অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। আন্দোলনটি সাধারণ অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য একটি বাস্তববাদী উপায়ে বিশ্বাস করে।’

গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচনার সঙ্গে পরিচিত এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আলোচনার সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে কায়রোতে মিসরীয়, কাতারি এবং তুর্কি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে এই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবটিকে তিনি হামাসের পক্ষ থেকে একটি সারগর্ভ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যার লক্ষ্য হলো—যুদ্ধবিরতি আলোচনার পরবর্তী ধাপে গতি আনা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রস্তাবটি পরিষ্কার। এর মাধ্যমে হামাস এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে কোনো অস্ত্র ছোড়া হবে না, এবং তারা অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলার মাধ্যমে তা করবে। তারা গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত থেকে দশ বছরের জন্য একটি হুদনা (ইসলামিক ঐতিহ্যে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দ) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে, এবং হামাস এই অস্ত্র ব্যবহার করবে না।’
ওই কর্মকর্তার মতে, মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্রগুলো এই হুদনার গ্যারান্টার হিসেবে কাজ করবে এবং এর সম্মতি নিশ্চিত করবে। তিনি জানান, অস্ত্রগুলো গোপন করা হবে এবং মধ্যস্থতাকারীরা সরাসরি হামাসের প্রতিশ্রুতিগুলো তত্ত্বাবধান করবেন। তিনি বলেন, ‘এই সময়ে গাজা নিজেই নিজের কাজে ব্যস্ত থাকবে।’ তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বিধ্বংসী যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি এবং অবরোধের পর পুনর্গঠন এবং অভ্যন্তরীণ শাসনের দিকে ইঙ্গিত করেন।
হামাস এখন পর্যন্ত একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্বের কর্তৃত্ব ছাড়া তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে অস্বীকার করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই আন্দোলন বারবার বলেছে যে, ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে দখলদারিত্ব শেষ হলেই কেবল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের সশস্ত্র অভিযান বন্ধ হবে।
তবে, এই নতুন প্রস্তাবটি নির্দিষ্টভাবে গাজা নিয়ে, এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামাসের সামরিক সক্ষমতা বা রাজনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়ে এতে কিছু বলা হয়নি, যেখানে গাজা যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, আঞ্চলিক কূটনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণেও এই প্রস্তাবটি তৈরি হয়েছে। তিনি মিসরকে বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, কায়রোর অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে এবং তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, মিসর সম্প্রতি জোর দিয়েছে যে, রাফা ক্রসিংয়ে উভয় দিকেই চলাচল অনুমোদন করতে হবে, যার মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তনও অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, ইসরায়েল কেবল গাজা থেকে প্রস্থান করার অনুমতি দিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে গাজার উত্তর ও মধ্যভাগের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক নবায়ন করেছে। হামাসও মধ্যস্থতায় অগ্রগতি খুঁজে পেয়েছে এবং অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। আন্দোলনটি সাধারণ অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য একটি বাস্তববাদী উপায়ে বিশ্বাস করে।’

ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি কে হবেন, তা আগে থেকে বলা প্রায় অসম্ভব। কারণ, অতি গোপনীয় পোপ নির্বাচনে কার্ডিনালদের অবস্থান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। এমনকি কেউ কেউ নিজেদের পছন্দের বা অপছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে নানা কৌশলও নেন।
০৮ মে ২০২৫
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক। এবং সংখ্যা ক্রম
২ ঘণ্টা আগে
জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে