
দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে সমুদ্রের তলদেশে আটকে থাকা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আইসবার্গটি সরে যেতে শুরু করেছে। এ২৩এ নামের বিপুল এই বরফখন্ডটি ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকার উপকূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। পরে এটি ওয়েডেল সাগরে গিয়ে থেমে যায়। মূলত তখন থেকেই এটি একটি বরফ-দ্বীপে পরিণত হয়েছিল।
আজ শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়েডেল সাগরে আটকে থাকা ওই বরফ-দ্বীপের আয়তন প্রায় ৪ হাজার বর্গকিলোমিটার। এ হিসেবে এটির আয়তন বৃহত্তর লন্ডনের দ্বিগুণেরও বেশি। বিশাল বরফের এই খণ্ডটির পুরুত্ব প্রায় ৪০০ মিটার (১ হাজার ৩১২ ফুট)। সেই তুলনায় ইউরোপের সবচেয়ে উঁচু ভবনটি মাত্র ৩১০ মিটার দীর্ঘ।
অনেক বেশি পুরুত্বের জন্যই অ্যান্টার্কটিকা উপকূলের কাছাকাছি ওয়েডেল সাগরের তলদেশে কাদার মধ্যে আটকে গিয়েছিল আইসবার্গটি। প্রশ্ন হলো—তাহলে দীর্ঘ বছর পর কেন সরে যাচ্ছে এটি।
এ বিষয়ে অ্যান্টার্কটিকার জরিপ বিষয়ক ব্রিটিশ গবেষক অ্যান্ড্রু ফ্লেমিং জানিয়েছেন, আইসবার্গটি ১৯৮৬ সাল থেকে মাটিতে আটকে ছিল। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে এটির আকার ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। ফলে মাটি থেকে আটকে থাকা অংশটি ধীরে ধীরে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালেই এই বরফ-দ্বীপের নড়াচড়া প্রথমবারের মতো নজরে এসেছিল।
বাতাস এবং স্রোতের প্রভাবে আইসবার্গটি এখন অ্যান্টার্কটিক উপদ্বীপের উত্তর প্রান্ত অতিক্রম করছে। ওয়েডেল অঞ্চলের বেশির ভাগ আইসবার্গের মতো এই আইসবার্গটিও দক্ষিণ আটলান্টিকের দিকে এমন একটি পথে যাত্রা করবে যা ‘আইসবার্গ অ্যালি’ নামে পরিচিত।
বর্তমানে বিজ্ঞানীরা আইসবার্গটির গতিবিধি ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখবেন। যদি এটি দক্ষিণ জর্জিয়া দ্বীপের মাটিতে গিয়ে আটকে যায় তবে ওই দ্বীপে প্রজননকারী লাখ লাখ সিল, পেঙ্গুইন এবং অন্যান্য সামুদ্রিক পাখির জন্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া ওই অঞ্চলের বিভিন্ন প্রাণীর স্বাভাবিক চলাচলকেও এটি বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তবে আইসবার্গগুলোকে শুধু বিপদের কারণ বললে ভুল হবে। এ ধরনের আইসবার্গের কিছু উপকারিতাও আছে। এগুলো গলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাখো বছর ধরে জমে থাকা খনিজ উপাদান সমুদ্রের পানিতে মিশে যায়। এসব খনিজ উপাদান সমুদ্রের খাদ্য শৃঙ্খলে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে এবং সামুদ্রিক প্রাণীদের মাঝে পুষ্টি সরবরাহ করে।
উডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশনের গবেষক ক্যাথরিন ওয়াকার বলেন, ‘অনেক উপায়ে এই আইসবার্গগুলো জীবনদায়ক। এগুলো অনেক জৈবিক কার্যকলাপের মূল বিন্দু।’

দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে সমুদ্রের তলদেশে আটকে থাকা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আইসবার্গটি সরে যেতে শুরু করেছে। এ২৩এ নামের বিপুল এই বরফখন্ডটি ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকার উপকূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। পরে এটি ওয়েডেল সাগরে গিয়ে থেমে যায়। মূলত তখন থেকেই এটি একটি বরফ-দ্বীপে পরিণত হয়েছিল।
আজ শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়েডেল সাগরে আটকে থাকা ওই বরফ-দ্বীপের আয়তন প্রায় ৪ হাজার বর্গকিলোমিটার। এ হিসেবে এটির আয়তন বৃহত্তর লন্ডনের দ্বিগুণেরও বেশি। বিশাল বরফের এই খণ্ডটির পুরুত্ব প্রায় ৪০০ মিটার (১ হাজার ৩১২ ফুট)। সেই তুলনায় ইউরোপের সবচেয়ে উঁচু ভবনটি মাত্র ৩১০ মিটার দীর্ঘ।
অনেক বেশি পুরুত্বের জন্যই অ্যান্টার্কটিকা উপকূলের কাছাকাছি ওয়েডেল সাগরের তলদেশে কাদার মধ্যে আটকে গিয়েছিল আইসবার্গটি। প্রশ্ন হলো—তাহলে দীর্ঘ বছর পর কেন সরে যাচ্ছে এটি।
এ বিষয়ে অ্যান্টার্কটিকার জরিপ বিষয়ক ব্রিটিশ গবেষক অ্যান্ড্রু ফ্লেমিং জানিয়েছেন, আইসবার্গটি ১৯৮৬ সাল থেকে মাটিতে আটকে ছিল। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে এটির আকার ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। ফলে মাটি থেকে আটকে থাকা অংশটি ধীরে ধীরে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালেই এই বরফ-দ্বীপের নড়াচড়া প্রথমবারের মতো নজরে এসেছিল।
বাতাস এবং স্রোতের প্রভাবে আইসবার্গটি এখন অ্যান্টার্কটিক উপদ্বীপের উত্তর প্রান্ত অতিক্রম করছে। ওয়েডেল অঞ্চলের বেশির ভাগ আইসবার্গের মতো এই আইসবার্গটিও দক্ষিণ আটলান্টিকের দিকে এমন একটি পথে যাত্রা করবে যা ‘আইসবার্গ অ্যালি’ নামে পরিচিত।
বর্তমানে বিজ্ঞানীরা আইসবার্গটির গতিবিধি ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখবেন। যদি এটি দক্ষিণ জর্জিয়া দ্বীপের মাটিতে গিয়ে আটকে যায় তবে ওই দ্বীপে প্রজননকারী লাখ লাখ সিল, পেঙ্গুইন এবং অন্যান্য সামুদ্রিক পাখির জন্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া ওই অঞ্চলের বিভিন্ন প্রাণীর স্বাভাবিক চলাচলকেও এটি বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তবে আইসবার্গগুলোকে শুধু বিপদের কারণ বললে ভুল হবে। এ ধরনের আইসবার্গের কিছু উপকারিতাও আছে। এগুলো গলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাখো বছর ধরে জমে থাকা খনিজ উপাদান সমুদ্রের পানিতে মিশে যায়। এসব খনিজ উপাদান সমুদ্রের খাদ্য শৃঙ্খলে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে এবং সামুদ্রিক প্রাণীদের মাঝে পুষ্টি সরবরাহ করে।
উডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশনের গবেষক ক্যাথরিন ওয়াকার বলেন, ‘অনেক উপায়ে এই আইসবার্গগুলো জীবনদায়ক। এগুলো অনেক জৈবিক কার্যকলাপের মূল বিন্দু।’

দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে সমুদ্রের তলদেশে আটকে থাকা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আইসবার্গটি সরে যেতে শুরু করেছে। এ২৩এ নামের বিপুল এই বরফখন্ডটি ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকার উপকূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। পরে এটি ওয়েডেল সাগরে গিয়ে থেমে যায়। মূলত তখন থেকেই এটি একটি বরফ-দ্বীপে পরিণত হয়েছিল।
আজ শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়েডেল সাগরে আটকে থাকা ওই বরফ-দ্বীপের আয়তন প্রায় ৪ হাজার বর্গকিলোমিটার। এ হিসেবে এটির আয়তন বৃহত্তর লন্ডনের দ্বিগুণেরও বেশি। বিশাল বরফের এই খণ্ডটির পুরুত্ব প্রায় ৪০০ মিটার (১ হাজার ৩১২ ফুট)। সেই তুলনায় ইউরোপের সবচেয়ে উঁচু ভবনটি মাত্র ৩১০ মিটার দীর্ঘ।
অনেক বেশি পুরুত্বের জন্যই অ্যান্টার্কটিকা উপকূলের কাছাকাছি ওয়েডেল সাগরের তলদেশে কাদার মধ্যে আটকে গিয়েছিল আইসবার্গটি। প্রশ্ন হলো—তাহলে দীর্ঘ বছর পর কেন সরে যাচ্ছে এটি।
এ বিষয়ে অ্যান্টার্কটিকার জরিপ বিষয়ক ব্রিটিশ গবেষক অ্যান্ড্রু ফ্লেমিং জানিয়েছেন, আইসবার্গটি ১৯৮৬ সাল থেকে মাটিতে আটকে ছিল। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে এটির আকার ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। ফলে মাটি থেকে আটকে থাকা অংশটি ধীরে ধীরে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালেই এই বরফ-দ্বীপের নড়াচড়া প্রথমবারের মতো নজরে এসেছিল।
বাতাস এবং স্রোতের প্রভাবে আইসবার্গটি এখন অ্যান্টার্কটিক উপদ্বীপের উত্তর প্রান্ত অতিক্রম করছে। ওয়েডেল অঞ্চলের বেশির ভাগ আইসবার্গের মতো এই আইসবার্গটিও দক্ষিণ আটলান্টিকের দিকে এমন একটি পথে যাত্রা করবে যা ‘আইসবার্গ অ্যালি’ নামে পরিচিত।
বর্তমানে বিজ্ঞানীরা আইসবার্গটির গতিবিধি ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখবেন। যদি এটি দক্ষিণ জর্জিয়া দ্বীপের মাটিতে গিয়ে আটকে যায় তবে ওই দ্বীপে প্রজননকারী লাখ লাখ সিল, পেঙ্গুইন এবং অন্যান্য সামুদ্রিক পাখির জন্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া ওই অঞ্চলের বিভিন্ন প্রাণীর স্বাভাবিক চলাচলকেও এটি বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তবে আইসবার্গগুলোকে শুধু বিপদের কারণ বললে ভুল হবে। এ ধরনের আইসবার্গের কিছু উপকারিতাও আছে। এগুলো গলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাখো বছর ধরে জমে থাকা খনিজ উপাদান সমুদ্রের পানিতে মিশে যায়। এসব খনিজ উপাদান সমুদ্রের খাদ্য শৃঙ্খলে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে এবং সামুদ্রিক প্রাণীদের মাঝে পুষ্টি সরবরাহ করে।
উডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশনের গবেষক ক্যাথরিন ওয়াকার বলেন, ‘অনেক উপায়ে এই আইসবার্গগুলো জীবনদায়ক। এগুলো অনেক জৈবিক কার্যকলাপের মূল বিন্দু।’

দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে সমুদ্রের তলদেশে আটকে থাকা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আইসবার্গটি সরে যেতে শুরু করেছে। এ২৩এ নামের বিপুল এই বরফখন্ডটি ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকার উপকূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। পরে এটি ওয়েডেল সাগরে গিয়ে থেমে যায়। মূলত তখন থেকেই এটি একটি বরফ-দ্বীপে পরিণত হয়েছিল।
আজ শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়েডেল সাগরে আটকে থাকা ওই বরফ-দ্বীপের আয়তন প্রায় ৪ হাজার বর্গকিলোমিটার। এ হিসেবে এটির আয়তন বৃহত্তর লন্ডনের দ্বিগুণেরও বেশি। বিশাল বরফের এই খণ্ডটির পুরুত্ব প্রায় ৪০০ মিটার (১ হাজার ৩১২ ফুট)। সেই তুলনায় ইউরোপের সবচেয়ে উঁচু ভবনটি মাত্র ৩১০ মিটার দীর্ঘ।
অনেক বেশি পুরুত্বের জন্যই অ্যান্টার্কটিকা উপকূলের কাছাকাছি ওয়েডেল সাগরের তলদেশে কাদার মধ্যে আটকে গিয়েছিল আইসবার্গটি। প্রশ্ন হলো—তাহলে দীর্ঘ বছর পর কেন সরে যাচ্ছে এটি।
এ বিষয়ে অ্যান্টার্কটিকার জরিপ বিষয়ক ব্রিটিশ গবেষক অ্যান্ড্রু ফ্লেমিং জানিয়েছেন, আইসবার্গটি ১৯৮৬ সাল থেকে মাটিতে আটকে ছিল। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে এটির আকার ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। ফলে মাটি থেকে আটকে থাকা অংশটি ধীরে ধীরে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালেই এই বরফ-দ্বীপের নড়াচড়া প্রথমবারের মতো নজরে এসেছিল।
বাতাস এবং স্রোতের প্রভাবে আইসবার্গটি এখন অ্যান্টার্কটিক উপদ্বীপের উত্তর প্রান্ত অতিক্রম করছে। ওয়েডেল অঞ্চলের বেশির ভাগ আইসবার্গের মতো এই আইসবার্গটিও দক্ষিণ আটলান্টিকের দিকে এমন একটি পথে যাত্রা করবে যা ‘আইসবার্গ অ্যালি’ নামে পরিচিত।
বর্তমানে বিজ্ঞানীরা আইসবার্গটির গতিবিধি ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখবেন। যদি এটি দক্ষিণ জর্জিয়া দ্বীপের মাটিতে গিয়ে আটকে যায় তবে ওই দ্বীপে প্রজননকারী লাখ লাখ সিল, পেঙ্গুইন এবং অন্যান্য সামুদ্রিক পাখির জন্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া ওই অঞ্চলের বিভিন্ন প্রাণীর স্বাভাবিক চলাচলকেও এটি বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তবে আইসবার্গগুলোকে শুধু বিপদের কারণ বললে ভুল হবে। এ ধরনের আইসবার্গের কিছু উপকারিতাও আছে। এগুলো গলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাখো বছর ধরে জমে থাকা খনিজ উপাদান সমুদ্রের পানিতে মিশে যায়। এসব খনিজ উপাদান সমুদ্রের খাদ্য শৃঙ্খলে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে এবং সামুদ্রিক প্রাণীদের মাঝে পুষ্টি সরবরাহ করে।
উডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশনের গবেষক ক্যাথরিন ওয়াকার বলেন, ‘অনেক উপায়ে এই আইসবার্গগুলো জীবনদায়ক। এগুলো অনেক জৈবিক কার্যকলাপের মূল বিন্দু।’

বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক তাঁর প্রতিষ্ঠান টেসলা ছেড়ে যেতে পারেন, যদি না তাঁকে তাঁর কাঙ্ক্ষিত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেতন–ভাতা না দেওয়া হয়। এমনটাই জানিয়েছেন টেসলার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এই খবর জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
তুরস্ক যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ২০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। নিজস্ব প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘কান’ (KAAN)-এর তৈরি চলাকালে আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে আঙ্কারা।
২ ঘণ্টা আগে
তিব্বতের লুঞ্জে বিমানঘাঁটির সম্প্রসারণ সম্পন্ন করেছে চীন। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত ভারত-চীন সীমারেখা ম্যাকমোহন লাইন থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তরে এই ঘাঁটিতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র, নতুন প্রশাসনিক ভবন ও নতুন অ্যাপ্রোন (বিমান চলাচলের মাঠ) নির্মাণ শেষ হয়েছে। ভারতীয় বিশ্লেষকে
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ গাজায় দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর হামাস চুক্তির শর্ত মেনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে আরেকজন মৃত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক তাঁর প্রতিষ্ঠান টেসলা ছেড়ে যেতে পারেন, যদি না তাঁকে তাঁর কাঙ্ক্ষিত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেতন–ভাতা না দেওয়া হয়। এমনটাই জানিয়েছেন টেসলার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এই খবর জানিয়েছে।
ডেনহম টেসলার শেয়ারহোল্ডারদের আহ্বান জানিয়েছেন, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্কের প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো অনুমোদন করতে, নইলে তিনি কোম্পানি ছেড়ে যেতে পারেন। গত সপ্তাহে কোম্পানির ত্রৈমাসিক আয় সংক্রান্ত বৈঠকে মাস্ক ইঙ্গিত দেন, কোম্পানির ওপর তার পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা না হলে তিনি ‘বৃহৎ এক রোবট বাহিনী’ গড়ে তোলার কাজে সময় দিতে চান না।
গতকাল সোমবার এক্সে প্রকাশিত এক চিঠিতে টেসলার চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম আসন্ন শেয়ারহোল্ডার ভোটকে বিনিয়োগকারীদের জন্য এক ‘মৌলিক প্রশ্ন’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি লিখেন, ‘আপনারা কি ইলনকে টেসলার সিইও হিসেবে ধরে রাখতে চান এবং তাঁকে অনুপ্রাণিত করতে চান টেসলাকে বিশ্বের শীর্ষ স্বচালিত সমাধান প্রদানকারী ও সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানিতে পরিণত করার জন্য?’
সাধারণত প্রচারবিমুখ ডেনহম বলেন, ইলনের মাস্কের জন্য প্রেরণাদায়ক পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হলে, তিনি কোম্পানি ছেড়ে যেতে পারেন। তাঁর ভাষায়, ‘তাহলে টেসলা হারাতে পারে ইলনের সময়, মেধা ও দূরদর্শিতা—যা কোম্পানির অসাধারণ শেয়ারমূল্য বৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি ছিল।’
তবে শর্ত হলো, আগামী সাড়ে ৭ বছর টেলসা যে একাধিক উচ্চাভিলাষী প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে পূরণ করতে পারেন মাস্ক তবেই তাঁকে এই সুবিধা দেওয়া হবে। গত বুধবার বিশ্লেষকদের সঙ্গে আলোচনায় মাস্ক আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, টেসলার মানবাকৃতি রোবট প্রকল্পে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিপুল পরিশ্রম করার পরও ‘কোনো একসময় তাঁকে কোম্পানি থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।’
তিনি বলেন, এটাই আমার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা। এই তথাকথিত ‘বেতন কাঠামো’ আসলে সেটাই সমাধান করার চেষ্টা। তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোম্পানিতে আমার যথেষ্ট প্রভাব না থাকে, আমি সেই রোবট বাহিনী গড়তে স্বস্তি বোধ করব না।’
বর্তমানে মাস্কের হাতে টেসলার প্রায় ১৫ শতাংশ শেয়ার আছে। এরই মধ্যে শেয়ারহোল্ডার পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান আইএসএস ও গ্লাস লুইস শেয়ারহোল্ডারদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পরামর্শ দিয়েছে, কারণ তাদের মতে প্যাকেজটির অঙ্ক অতি বিশাল এবং তা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের অংশীদারত্বকে ক্ষীণ করবে।
কয়েকটি মার্কিন অঙ্গরাজ্যের কোষাধ্যক্ষসহ আরও কয়েকজন বিনিয়োগকারী, যেমন এসওসি ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ প্রস্তাবটির বিরোধিতা করেছে। তারা বলেছে, বোর্ডের ওপর তাদের আস্থা নেই যে, তারা ইলনের কর্মকাণ্ড যথাযথভাবে তদারকি করতে পারবে কিংবা দীর্ঘমেয়াদি টেকসই মুনাফা নিশ্চিত করতে পারবে।
উল্লেখ্য, শেয়ারহোল্ডারদের ভোট গ্রহণ শেষ হবে আগামী ৫ নভেম্বর, আর কোম্পানি ৬ নভেম্বর বার্ষিক সভায় প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করবে বলে জানানো হয়েছে।

বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক তাঁর প্রতিষ্ঠান টেসলা ছেড়ে যেতে পারেন, যদি না তাঁকে তাঁর কাঙ্ক্ষিত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেতন–ভাতা না দেওয়া হয়। এমনটাই জানিয়েছেন টেসলার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এই খবর জানিয়েছে।
ডেনহম টেসলার শেয়ারহোল্ডারদের আহ্বান জানিয়েছেন, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্কের প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো অনুমোদন করতে, নইলে তিনি কোম্পানি ছেড়ে যেতে পারেন। গত সপ্তাহে কোম্পানির ত্রৈমাসিক আয় সংক্রান্ত বৈঠকে মাস্ক ইঙ্গিত দেন, কোম্পানির ওপর তার পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা না হলে তিনি ‘বৃহৎ এক রোবট বাহিনী’ গড়ে তোলার কাজে সময় দিতে চান না।
গতকাল সোমবার এক্সে প্রকাশিত এক চিঠিতে টেসলার চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম আসন্ন শেয়ারহোল্ডার ভোটকে বিনিয়োগকারীদের জন্য এক ‘মৌলিক প্রশ্ন’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি লিখেন, ‘আপনারা কি ইলনকে টেসলার সিইও হিসেবে ধরে রাখতে চান এবং তাঁকে অনুপ্রাণিত করতে চান টেসলাকে বিশ্বের শীর্ষ স্বচালিত সমাধান প্রদানকারী ও সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানিতে পরিণত করার জন্য?’
সাধারণত প্রচারবিমুখ ডেনহম বলেন, ইলনের মাস্কের জন্য প্রেরণাদায়ক পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হলে, তিনি কোম্পানি ছেড়ে যেতে পারেন। তাঁর ভাষায়, ‘তাহলে টেসলা হারাতে পারে ইলনের সময়, মেধা ও দূরদর্শিতা—যা কোম্পানির অসাধারণ শেয়ারমূল্য বৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি ছিল।’
তবে শর্ত হলো, আগামী সাড়ে ৭ বছর টেলসা যে একাধিক উচ্চাভিলাষী প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে পূরণ করতে পারেন মাস্ক তবেই তাঁকে এই সুবিধা দেওয়া হবে। গত বুধবার বিশ্লেষকদের সঙ্গে আলোচনায় মাস্ক আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, টেসলার মানবাকৃতি রোবট প্রকল্পে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিপুল পরিশ্রম করার পরও ‘কোনো একসময় তাঁকে কোম্পানি থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।’
তিনি বলেন, এটাই আমার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা। এই তথাকথিত ‘বেতন কাঠামো’ আসলে সেটাই সমাধান করার চেষ্টা। তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোম্পানিতে আমার যথেষ্ট প্রভাব না থাকে, আমি সেই রোবট বাহিনী গড়তে স্বস্তি বোধ করব না।’
বর্তমানে মাস্কের হাতে টেসলার প্রায় ১৫ শতাংশ শেয়ার আছে। এরই মধ্যে শেয়ারহোল্ডার পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান আইএসএস ও গ্লাস লুইস শেয়ারহোল্ডারদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পরামর্শ দিয়েছে, কারণ তাদের মতে প্যাকেজটির অঙ্ক অতি বিশাল এবং তা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের অংশীদারত্বকে ক্ষীণ করবে।
কয়েকটি মার্কিন অঙ্গরাজ্যের কোষাধ্যক্ষসহ আরও কয়েকজন বিনিয়োগকারী, যেমন এসওসি ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ প্রস্তাবটির বিরোধিতা করেছে। তারা বলেছে, বোর্ডের ওপর তাদের আস্থা নেই যে, তারা ইলনের কর্মকাণ্ড যথাযথভাবে তদারকি করতে পারবে কিংবা দীর্ঘমেয়াদি টেকসই মুনাফা নিশ্চিত করতে পারবে।
উল্লেখ্য, শেয়ারহোল্ডারদের ভোট গ্রহণ শেষ হবে আগামী ৫ নভেম্বর, আর কোম্পানি ৬ নভেম্বর বার্ষিক সভায় প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করবে বলে জানানো হয়েছে।

দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে সমুদ্রের তলদেশে আটকে থাকা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আইসবার্গটি সরে যেতে শুরু করেছে। এ২৩এ নামের বিপুল এই বরফখন্ডটি ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকার উপকূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। পরে এটি ওয়েডেল সাগরে গিয়ে থেমে যায়। মূলত তখন থেকেই এটি একটি বরফ দ্বীপে পরিণত হয়েছিল।
২৪ নভেম্বর ২০২৩
তুরস্ক যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ২০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। নিজস্ব প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘কান’ (KAAN)-এর তৈরি চলাকালে আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে আঙ্কারা।
২ ঘণ্টা আগে
তিব্বতের লুঞ্জে বিমানঘাঁটির সম্প্রসারণ সম্পন্ন করেছে চীন। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত ভারত-চীন সীমারেখা ম্যাকমোহন লাইন থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তরে এই ঘাঁটিতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র, নতুন প্রশাসনিক ভবন ও নতুন অ্যাপ্রোন (বিমান চলাচলের মাঠ) নির্মাণ শেষ হয়েছে। ভারতীয় বিশ্লেষকে
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ গাজায় দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর হামাস চুক্তির শর্ত মেনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে আরেকজন মৃত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তুরস্ক যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ২০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। নিজস্ব প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘কান’ (KAAN)-এর তৈরি চলাকালে আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে আঙ্কারা।
গতকাল সোমবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ বিষয়ে চুক্তিতে সই করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একে ‘এক প্রজন্মের মধ্যে সবচেয়ে বড় যুদ্ধবিমান চুক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। অপর দিকে এরদোয়ান একে বর্ণনা করেছেন ‘দুই ঘনিষ্ঠ মিত্রের কৌশলগত সম্পর্কের নতুন প্রতীক’ বলে।
আঙ্কারায় দেওয়া বক্তব্যে স্টারমার বলেন, এই চুক্তি শুধু তুরস্ক-যুক্তরাজ্যের জন্য নয়, ন্যাটোর জন্যও একটি সাফল্য। তিনি বলেন, ‘এটি (তুরস্ক) ন্যাটোর দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত। তাই এই সক্ষমতা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ন্যাটোর জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, সোমবার স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় প্রথম ব্যাচের টাইফুন যুদ্ধবিমান ২০৩০ সালে তুরস্কে পৌঁছাবে।
এর আগে, গত জুলাইয়ে তুরস্ক ও যুক্তরাজ্য ৪০টি টাইফুন সরবরাহের বিষয়ে একটি প্রাথমিক চুক্তি করে, যা পরে ইউরোফাইটার কনসোর্টিয়ামের অন্য সদস্যদেশ জার্মানি, ইতালি ও স্পেন অনুমোদন দেয়।
তুর্কি কর্মকর্তাদের মতে, নিজস্ব ‘কান’ যুদ্ধবিমান পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার আগে বহর শক্তিশালী করতে আঙ্কারা মোট ১২০টি যুদ্ধবিমান কিনতে চায়। ইসরায়েলের মতো আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে সামরিক ভারসাম্য রক্ষার প্রয়াসে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা কাতার ও ওমানের কাছ থেকেও প্রতিটি দেশ থেকে আরও ১২টি করে টাইফুন কেনার পরিকল্পনা করছে। এর আগে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৪০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করে তুরস্ক। তবে সেই সরবরাহ এখনো বিলম্বিত।
সম্প্রতি এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথাও বলেছেন। ২০১৯ সালে রুশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার কারণে বহিষ্কৃত হওয়ার পর আবারও ওয়াশিংটন নেতৃত্বাধীন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কর্মসূচিতে ফিরতে চায় তুরস্ক।

তুরস্ক যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ২০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। নিজস্ব প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘কান’ (KAAN)-এর তৈরি চলাকালে আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে আঙ্কারা।
গতকাল সোমবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ বিষয়ে চুক্তিতে সই করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একে ‘এক প্রজন্মের মধ্যে সবচেয়ে বড় যুদ্ধবিমান চুক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। অপর দিকে এরদোয়ান একে বর্ণনা করেছেন ‘দুই ঘনিষ্ঠ মিত্রের কৌশলগত সম্পর্কের নতুন প্রতীক’ বলে।
আঙ্কারায় দেওয়া বক্তব্যে স্টারমার বলেন, এই চুক্তি শুধু তুরস্ক-যুক্তরাজ্যের জন্য নয়, ন্যাটোর জন্যও একটি সাফল্য। তিনি বলেন, ‘এটি (তুরস্ক) ন্যাটোর দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত। তাই এই সক্ষমতা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ন্যাটোর জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, সোমবার স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় প্রথম ব্যাচের টাইফুন যুদ্ধবিমান ২০৩০ সালে তুরস্কে পৌঁছাবে।
এর আগে, গত জুলাইয়ে তুরস্ক ও যুক্তরাজ্য ৪০টি টাইফুন সরবরাহের বিষয়ে একটি প্রাথমিক চুক্তি করে, যা পরে ইউরোফাইটার কনসোর্টিয়ামের অন্য সদস্যদেশ জার্মানি, ইতালি ও স্পেন অনুমোদন দেয়।
তুর্কি কর্মকর্তাদের মতে, নিজস্ব ‘কান’ যুদ্ধবিমান পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার আগে বহর শক্তিশালী করতে আঙ্কারা মোট ১২০টি যুদ্ধবিমান কিনতে চায়। ইসরায়েলের মতো আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে সামরিক ভারসাম্য রক্ষার প্রয়াসে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা কাতার ও ওমানের কাছ থেকেও প্রতিটি দেশ থেকে আরও ১২টি করে টাইফুন কেনার পরিকল্পনা করছে। এর আগে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৪০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করে তুরস্ক। তবে সেই সরবরাহ এখনো বিলম্বিত।
সম্প্রতি এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথাও বলেছেন। ২০১৯ সালে রুশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার কারণে বহিষ্কৃত হওয়ার পর আবারও ওয়াশিংটন নেতৃত্বাধীন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কর্মসূচিতে ফিরতে চায় তুরস্ক।

দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে সমুদ্রের তলদেশে আটকে থাকা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আইসবার্গটি সরে যেতে শুরু করেছে। এ২৩এ নামের বিপুল এই বরফখন্ডটি ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকার উপকূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। পরে এটি ওয়েডেল সাগরে গিয়ে থেমে যায়। মূলত তখন থেকেই এটি একটি বরফ দ্বীপে পরিণত হয়েছিল।
২৪ নভেম্বর ২০২৩
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক তাঁর প্রতিষ্ঠান টেসলা ছেড়ে যেতে পারেন, যদি না তাঁকে তাঁর কাঙ্ক্ষিত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেতন–ভাতা না দেওয়া হয়। এমনটাই জানিয়েছেন টেসলার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এই খবর জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
তিব্বতের লুঞ্জে বিমানঘাঁটির সম্প্রসারণ সম্পন্ন করেছে চীন। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত ভারত-চীন সীমারেখা ম্যাকমোহন লাইন থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তরে এই ঘাঁটিতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র, নতুন প্রশাসনিক ভবন ও নতুন অ্যাপ্রোন (বিমান চলাচলের মাঠ) নির্মাণ শেষ হয়েছে। ভারতীয় বিশ্লেষকে
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ গাজায় দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর হামাস চুক্তির শর্ত মেনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে আরেকজন মৃত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তিব্বতের লুঞ্জে বিমানঘাঁটির সম্প্রসারণ সম্পন্ন করেছে চীন। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত ভারত-চীন সীমারেখা ম্যাকমোহন লাইন থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তরে এই ঘাঁটিতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র, নতুন প্রশাসনিক ভবন ও নতুন অ্যাপ্রোন (বিমান চলাচলের মাঠ) নির্মাণ শেষ হয়েছে। ভারতীয় বিশ্লেষকেরা বলছেন, এতে ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখে’ পড়েছে দেশটির কৌশলগত অবস্থান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের কৌশলগত শহর তাওয়াং থেকে প্রায় ১০৭ কিলোমিটার দূরের এই লুঞ্জে ঘাঁটিতে নতুন শক্তিশালী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের ফলে চীন এখন তাদের যুদ্ধবিমান ও বিভিন্ন ধরনের ড্রোন সামনে এগিয়ে মোতায়েন করতে পারবে। এতে ভারতের বিমানবাহিনীর প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় কমে আসবে। কারণ, ভারতের ঘাঁটিগুলো অরুণাচল প্রদেশ ও আসামে অবস্থিত।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধনোয়া এনডিটিভিকে বলেছেন, ‘লুঞ্জেতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের অর্থ হলো—পরবর্তী কোনো সংঘাত হলে তাদের ট্যাকটিক্যাল ফাইটার ও আক্রমণ হেলিকপ্টারগুলো সেখান থেকেই সেনাবাহিনীকে সহায়তা করবে। সেখানে গোলাবারুদ ও জ্বালানি ইতিমধ্যে ভূগর্ভস্থ টানেলে সংরক্ষিত থাকবে।’
বি এস ধনোয়া আরও বলেন, ‘ডোকলাম ঘটনার সময় (২০১৭ সালে) আমি আমার স্টাফদের বলেছিলাম, তিব্বতে পিএলএএফের (চীনা বিমানবাহিনী) সমস্যা বিমান নয়, বরং মোতায়েনের। তখনই আমি বলেছিলাম—যেদিন তারা তিব্বতের ঘাঁটিগুলোতে শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করবে, সেদিন বুঝতে হবে তারা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিব্বতে তাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তখনই দূর হবে।’
ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাবেক উপপ্রধান এয়ার মার্শাল অনিল খোসলা বলেন, এই নির্মাণ ও উন্নয়ন চীনের ভবিষ্যৎ যুদ্ধ পরিকল্পনাকে সহায়তা করবে এবং এটি ভারতের জন্য ‘গুরুতর কৌশলগত হুমকি’। বিশেষ করে ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে দেখা চীনের সামরিক সক্ষমতা ও অবকাঠামোগত কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে এর তাৎপর্য আরও বেড়েছে।
অনিল খোসলা বলেন, ‘লুঞ্জের উন্নয়ন আঞ্চলিক নিরাপত্তায় গভীর প্রভাব ফেলবে। ৩৬টি শক্তিশালী আশ্রয়কেন্দ্র সম্পদ ছড়িয়ে থাকা নিশ্চিত করে, নির্দিষ্ট আক্রমণের ঝুঁকি কমায় এবং উচ্চভূমিতে টানা অপারেশনের সক্ষমতা বাড়ায়।’ খোসলার ভাষায়, এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম গোলাবারুদ, বিমান হামলা বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকেও সুরক্ষা দেবে। ফলে সংঘাতের প্রাথমিক পর্যায়ে ঘাঁটিটিকে ধ্বংস করা ‘অত্যন্ত কঠিন’ হয়ে পড়বে।
অনিল খোসলা আরও বলেন, ‘টিংরি, লুঞ্জে ও বুরাংয়ের মতো বিমানঘাঁটিগুলো প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) খুব কাছে, মাত্র ৫০ থেকে ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। এই নৈকট্য চীনা বিমানবাহিনীকে দ্রুত সামনের দিকে মোতায়েন এবং সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ দিচ্ছে। এসব ঘাঁটি থেকে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখন্ড ও লাদাখ পর্যন্ত আকাশপথে নজরদারি সম্ভব।’
স্যাটেলাইট চিত্র সরবরাহকারী ভ্যান্টরের (আগের নাম ম্যাক্সার) সর্বশেষ ছবিতে লুঞ্জের রানওয়েতে কয়েকটি চীনা সিএইচ-৪ ড্রোন দেখা গেছে। সিএইচ-৪ নামের এই মানববিহীন আকাশযান উচ্চভূমিতে অভিযানের জন্য তৈরি, যা ১৬ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতা থেকে স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে।
ভারত এই ড্রোন হুমকির মোকাবিলায় ২০২৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল অ্যাটোমিকস নির্মিত স্কাই গার্ডিয়ান ড্রোন হাতে পাবে। বিমানবাহিনী ও স্থলবাহিনী উভয়েই আটটি করে ড্রোন পাবে। স্কাই গার্ডিয়ান হলো সি গার্ডিয়ানের একটি ভ্যারিয়েন্ট, যার ১৫টি ইউনিট ভারতীয় নৌবাহিনী কিনছে। পুরো প্রকল্পের মূল্য ৩৫০ কোটি ডলার।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর আরেক সাবেক উপপ্রধান এয়ার মার্শাল এস পি ধরকার বলেন, এই নতুন ঘাঁটি নির্মাণ ভারতের জন্য ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জ’ তৈরি করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে উত্তর সীমান্তের ঘটনাবলি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ভূপ্রকৃতি, দুর্গম ভূখণ্ড ও উচ্চতার কারণে এত দিন আমরা কিছুটা কৌশলগত সুবিধায় ছিলাম। কিন্তু এখন চীন আধুনিক বিমান ও বড় অবকাঠামোসহ দীর্ঘ রানওয়ে যুক্ত ঘাঁটি তৈরি করছে, যা আমাদের সেই সুবিধা কমিয়ে দিচ্ছে।’
এস পি ধরকারের মতে, ‘তারা (চীন) এখন যেভাবে শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র ও কঠোর অবকাঠামো তৈরি করছে, তাতে এই অঞ্চলে আমাদের বিমান অভিযানের কৌশল আরও কঠিন হয়ে পড়বে।’
ভূ-গোয়েন্দা বিশ্লেষক ড্যামিয়েন সাইমন বলেন, ভারতের তাওয়াং সীমান্তের বিপরীতে এই দ্রুত নির্মাণকাজ চীনের ঐতিহাসিকভাবে সংবেদনশীল অঞ্চলে বিমানশক্তি বাড়ানোর প্রচেষ্টাকে ইঙ্গিত করছে। তিনি বলেন, ‘ভারত যদিও এই সীমান্তে শক্তিশালী বিমান অবকাঠামো বজায় রেখেছে, কিন্তু লুঞ্জেতে চীনের ব্যাপক সামরিকীকরণ দেখায়—বেইজিং সেই ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করছে।’
লুঞ্জে ঘাঁটির এই উন্নয়ন এমন সময়ে ঘটছে, যখন চীন ভারতের হিমালয় সীমান্ত বরাবর আরও ছয়টি নতুন বিমানঘাঁটির উন্নয়ন চালিয়ে যাচ্ছে। এপ্রিল মাসে এনডিটিভির প্রতিবেদনে স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, টিংরি, লুঞ্জে, বুরাং, ইউতিয়ান ও ইয়ারকান্টে নতুন ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে। এসব ঘাঁটিতে হ্যাঙ্গার, রানওয়ে সম্প্রসারণ, ইঞ্জিন পরীক্ষার প্যাড ও সহায়ক স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।
চীনের এসব পদক্ষেপ স্পষ্টভাবে ভারতের হিমালয় অঞ্চলে প্রচলিত বিমান শ্রেষ্ঠত্বকে মোকাবিলা করার কৌশল। ভারত দীর্ঘদিন ধরে লেহ থেকে চাবুয়া পর্যন্ত ১৫টি বড় বিমানঘাঁটি চালু রেখেছে। উভয় দেশের বিমানঘাঁটি উন্নয়ন এখন এক নতুন কৌশলগত বাস্তবতা তৈরি করছে। গালওয়ান সংঘর্ষের (১৫-১৬ জুন ২০২০) পরও দুই দেশ সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিব্বতের লুঞ্জে বিমানঘাঁটির সম্প্রসারণ সম্পন্ন করেছে চীন। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত ভারত-চীন সীমারেখা ম্যাকমোহন লাইন থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তরে এই ঘাঁটিতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র, নতুন প্রশাসনিক ভবন ও নতুন অ্যাপ্রোন (বিমান চলাচলের মাঠ) নির্মাণ শেষ হয়েছে। ভারতীয় বিশ্লেষকেরা বলছেন, এতে ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখে’ পড়েছে দেশটির কৌশলগত অবস্থান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের কৌশলগত শহর তাওয়াং থেকে প্রায় ১০৭ কিলোমিটার দূরের এই লুঞ্জে ঘাঁটিতে নতুন শক্তিশালী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের ফলে চীন এখন তাদের যুদ্ধবিমান ও বিভিন্ন ধরনের ড্রোন সামনে এগিয়ে মোতায়েন করতে পারবে। এতে ভারতের বিমানবাহিনীর প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় কমে আসবে। কারণ, ভারতের ঘাঁটিগুলো অরুণাচল প্রদেশ ও আসামে অবস্থিত।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধনোয়া এনডিটিভিকে বলেছেন, ‘লুঞ্জেতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের অর্থ হলো—পরবর্তী কোনো সংঘাত হলে তাদের ট্যাকটিক্যাল ফাইটার ও আক্রমণ হেলিকপ্টারগুলো সেখান থেকেই সেনাবাহিনীকে সহায়তা করবে। সেখানে গোলাবারুদ ও জ্বালানি ইতিমধ্যে ভূগর্ভস্থ টানেলে সংরক্ষিত থাকবে।’
বি এস ধনোয়া আরও বলেন, ‘ডোকলাম ঘটনার সময় (২০১৭ সালে) আমি আমার স্টাফদের বলেছিলাম, তিব্বতে পিএলএএফের (চীনা বিমানবাহিনী) সমস্যা বিমান নয়, বরং মোতায়েনের। তখনই আমি বলেছিলাম—যেদিন তারা তিব্বতের ঘাঁটিগুলোতে শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করবে, সেদিন বুঝতে হবে তারা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিব্বতে তাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তখনই দূর হবে।’
ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাবেক উপপ্রধান এয়ার মার্শাল অনিল খোসলা বলেন, এই নির্মাণ ও উন্নয়ন চীনের ভবিষ্যৎ যুদ্ধ পরিকল্পনাকে সহায়তা করবে এবং এটি ভারতের জন্য ‘গুরুতর কৌশলগত হুমকি’। বিশেষ করে ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে দেখা চীনের সামরিক সক্ষমতা ও অবকাঠামোগত কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে এর তাৎপর্য আরও বেড়েছে।
অনিল খোসলা বলেন, ‘লুঞ্জের উন্নয়ন আঞ্চলিক নিরাপত্তায় গভীর প্রভাব ফেলবে। ৩৬টি শক্তিশালী আশ্রয়কেন্দ্র সম্পদ ছড়িয়ে থাকা নিশ্চিত করে, নির্দিষ্ট আক্রমণের ঝুঁকি কমায় এবং উচ্চভূমিতে টানা অপারেশনের সক্ষমতা বাড়ায়।’ খোসলার ভাষায়, এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম গোলাবারুদ, বিমান হামলা বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকেও সুরক্ষা দেবে। ফলে সংঘাতের প্রাথমিক পর্যায়ে ঘাঁটিটিকে ধ্বংস করা ‘অত্যন্ত কঠিন’ হয়ে পড়বে।
অনিল খোসলা আরও বলেন, ‘টিংরি, লুঞ্জে ও বুরাংয়ের মতো বিমানঘাঁটিগুলো প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) খুব কাছে, মাত্র ৫০ থেকে ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। এই নৈকট্য চীনা বিমানবাহিনীকে দ্রুত সামনের দিকে মোতায়েন এবং সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ দিচ্ছে। এসব ঘাঁটি থেকে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখন্ড ও লাদাখ পর্যন্ত আকাশপথে নজরদারি সম্ভব।’
স্যাটেলাইট চিত্র সরবরাহকারী ভ্যান্টরের (আগের নাম ম্যাক্সার) সর্বশেষ ছবিতে লুঞ্জের রানওয়েতে কয়েকটি চীনা সিএইচ-৪ ড্রোন দেখা গেছে। সিএইচ-৪ নামের এই মানববিহীন আকাশযান উচ্চভূমিতে অভিযানের জন্য তৈরি, যা ১৬ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতা থেকে স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে।
ভারত এই ড্রোন হুমকির মোকাবিলায় ২০২৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল অ্যাটোমিকস নির্মিত স্কাই গার্ডিয়ান ড্রোন হাতে পাবে। বিমানবাহিনী ও স্থলবাহিনী উভয়েই আটটি করে ড্রোন পাবে। স্কাই গার্ডিয়ান হলো সি গার্ডিয়ানের একটি ভ্যারিয়েন্ট, যার ১৫টি ইউনিট ভারতীয় নৌবাহিনী কিনছে। পুরো প্রকল্পের মূল্য ৩৫০ কোটি ডলার।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর আরেক সাবেক উপপ্রধান এয়ার মার্শাল এস পি ধরকার বলেন, এই নতুন ঘাঁটি নির্মাণ ভারতের জন্য ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জ’ তৈরি করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে উত্তর সীমান্তের ঘটনাবলি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ভূপ্রকৃতি, দুর্গম ভূখণ্ড ও উচ্চতার কারণে এত দিন আমরা কিছুটা কৌশলগত সুবিধায় ছিলাম। কিন্তু এখন চীন আধুনিক বিমান ও বড় অবকাঠামোসহ দীর্ঘ রানওয়ে যুক্ত ঘাঁটি তৈরি করছে, যা আমাদের সেই সুবিধা কমিয়ে দিচ্ছে।’
এস পি ধরকারের মতে, ‘তারা (চীন) এখন যেভাবে শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র ও কঠোর অবকাঠামো তৈরি করছে, তাতে এই অঞ্চলে আমাদের বিমান অভিযানের কৌশল আরও কঠিন হয়ে পড়বে।’
ভূ-গোয়েন্দা বিশ্লেষক ড্যামিয়েন সাইমন বলেন, ভারতের তাওয়াং সীমান্তের বিপরীতে এই দ্রুত নির্মাণকাজ চীনের ঐতিহাসিকভাবে সংবেদনশীল অঞ্চলে বিমানশক্তি বাড়ানোর প্রচেষ্টাকে ইঙ্গিত করছে। তিনি বলেন, ‘ভারত যদিও এই সীমান্তে শক্তিশালী বিমান অবকাঠামো বজায় রেখেছে, কিন্তু লুঞ্জেতে চীনের ব্যাপক সামরিকীকরণ দেখায়—বেইজিং সেই ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করছে।’
লুঞ্জে ঘাঁটির এই উন্নয়ন এমন সময়ে ঘটছে, যখন চীন ভারতের হিমালয় সীমান্ত বরাবর আরও ছয়টি নতুন বিমানঘাঁটির উন্নয়ন চালিয়ে যাচ্ছে। এপ্রিল মাসে এনডিটিভির প্রতিবেদনে স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, টিংরি, লুঞ্জে, বুরাং, ইউতিয়ান ও ইয়ারকান্টে নতুন ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে। এসব ঘাঁটিতে হ্যাঙ্গার, রানওয়ে সম্প্রসারণ, ইঞ্জিন পরীক্ষার প্যাড ও সহায়ক স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।
চীনের এসব পদক্ষেপ স্পষ্টভাবে ভারতের হিমালয় অঞ্চলে প্রচলিত বিমান শ্রেষ্ঠত্বকে মোকাবিলা করার কৌশল। ভারত দীর্ঘদিন ধরে লেহ থেকে চাবুয়া পর্যন্ত ১৫টি বড় বিমানঘাঁটি চালু রেখেছে। উভয় দেশের বিমানঘাঁটি উন্নয়ন এখন এক নতুন কৌশলগত বাস্তবতা তৈরি করছে। গালওয়ান সংঘর্ষের (১৫-১৬ জুন ২০২০) পরও দুই দেশ সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে সমুদ্রের তলদেশে আটকে থাকা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আইসবার্গটি সরে যেতে শুরু করেছে। এ২৩এ নামের বিপুল এই বরফখন্ডটি ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকার উপকূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। পরে এটি ওয়েডেল সাগরে গিয়ে থেমে যায়। মূলত তখন থেকেই এটি একটি বরফ দ্বীপে পরিণত হয়েছিল।
২৪ নভেম্বর ২০২৩
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক তাঁর প্রতিষ্ঠান টেসলা ছেড়ে যেতে পারেন, যদি না তাঁকে তাঁর কাঙ্ক্ষিত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেতন–ভাতা না দেওয়া হয়। এমনটাই জানিয়েছেন টেসলার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এই খবর জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
তুরস্ক যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ২০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। নিজস্ব প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘কান’ (KAAN)-এর তৈরি চলাকালে আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে আঙ্কারা।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ গাজায় দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর হামাস চুক্তির শর্ত মেনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে আরেকজন মৃত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ গাজায় দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর হামাস চুক্তির শর্ত মেনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে আরেকজন মৃত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গতকাল সোমবার জানিয়েছে, রেডক্রস মৃতদেহবাহী কফিনটি বুঝে নিয়েছে এবং তা গাজায় মোতায়েন থাকা সেনাসদস্যদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এই নতুন মৃতদেহ হস্তান্তরের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী ২৮ জন নিহত জিম্মির মধ্যে ১৬ জনের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেওয়া হলো। চুক্তির অংশ হিসেবে জীবিত ২০ জন জিম্মি এর আগে ১৩ অক্টোবর হস্তান্তর করা হয়।
সর্বশেষ মৃতদেহটি হস্তান্তরের পরই জিম্মিদের পরিবারগুলো ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যদি হামাস অবশিষ্ট জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজে বের করতে এবং হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হয়, তবে যেন যুদ্ধবিরতি স্থগিত করা হয়। জিম্মি ও নিখোঁজ পরিবার ফোরাম এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রত্যেক মৃত জিম্মি কোথায় আছে, তা হামাস ভালো করেই জানে।’ তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যস্থতাকারীদের অনুরোধ করেছে, হামাস তাদের সকল বাধ্যবাধকতা পূরণ করে সব জিম্মিকে ইসরায়েলে ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত যেন চুক্তির পরবর্তী ধাপে না যাওয়া হয়।
অন্যদিকে হামাসের আলোচক খলিল আল-হাইয়া গত শনিবার স্বীকার করেছেন, জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ‘চ্যালেঞ্জ’ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘দখলদারি গাজার ভূমির চেহারা বদলে দিয়েছে।’ তাঁর মতে, যারা মৃতদেহগুলো কবর দিয়েছিল, তাদের মধ্যে কেউ কেউ যুদ্ধে নিহত হয়েছে বা তাদের কবর দেওয়ার স্থান ভুলে গেছে। আল-হাইয়ার মন্তব্যের এক দিন পরই ইসরায়েল একটি মিসরীয় কারিগরি দলকে গাজায় প্রবেশ করার অনুমতি দেয়, যারা খননযন্ত্র ব্যবহার করে মৃতদেহের সন্ধানে সাহায্য করছে। রেডক্রস এই মিসরীয় দল এবং হামাসকে সঙ্গে নিয়েই জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের কাছে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে নাসের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানায়, গত ৪৮ ঘণ্টায় উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৬৮ হাজার ৫২৭ জন নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৫ জন আহত হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সোমবার ইসরায়েলের হামলার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, শনিবার ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) এক সদস্যের ওপর ইসরায়েলের হামলা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা এটাকে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন হিসেবে দেখছি না।’ তিনি দাবি করেন, তারা ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিল।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর দুই সপ্তাহের বেশি সময়ে প্রায় ৪ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ উত্তর গাজায় ফিরেছে। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে তাদের নতুন করে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজতে হচ্ছে। খাবার ও পানির মতো মৌলিক প্রয়োজনীয়তার চরম ঘাটতি রয়েছে। প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান ইউনিস আল-খাতিব সতর্ক করেছেন, যুদ্ধবিরতির আগে গাজার জনসংখ্যা যে ভয়ংকর মানবিক জরুরি অবস্থার মুখোমুখি ছিল, এখনো পরিস্থিতি তেমনই আছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ইসরায়েলের দুই বছরের যুদ্ধের পর গাজায় মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রয়োজন এমন মানুষের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার থেকে বেড়ে ১০ লাখের বেশি হয়েছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, উপত্যকার প্রায় সব শিশু এই ধরনের সহায়তার মুখাপেক্ষী। ইউনিসেফের মুখপাত্র টেস ইনগ্রাম আল জাজিরাকে বলেছেন, এই সংঘাতে গত দুই বছরে প্রতিদিন একটি শ্রেণিকক্ষের সমপরিমাণ শিশু নিহত বা আহত হয়েছে এবং শিশুদের ওপর এই আঘাতের ক্ষত বহু বছর থাকবে।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইসরায়েলি আগ্রাসন
গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলে ইসরায়েলের আগ্রাসন থামেনি। এই চুক্তির ফলে গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর চাপ কিছুটা কমলেও লেবানন, সিরিয়া এবং পশ্চিম তীর গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলি সৈন্য ও বসতি স্থাপনকারীরা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো ফিলিস্তিনিদের জলপাই সংগ্রহের সময় হয়রানি ও আটক করছে।
সিরিয়ার ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রায় প্রতিদিন অনুপ্রবেশের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে রেকি ফ্লাইট, স্থল অনুপ্রবেশ, সিরীয়দের আটক ও নিখোঁজ হওয়া এবং চৌকি স্থাপন। রোববার সকালে কুনেইত্রার গ্রামগুলোতে ইসরায়েলি আগ্রাসনের ঘটনা ঘটেছে।
লেবাননেও হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়মিতভাবে লঙ্ঘন করে চলেছে ইসরায়েল। সোমবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী (ইউএনআইএফআইএল) ইসরায়েলি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করে। এ ছাড়া সোমবার দুজনকে হত্যা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ গাজায় দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর হামাস চুক্তির শর্ত মেনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে আরেকজন মৃত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গতকাল সোমবার জানিয়েছে, রেডক্রস মৃতদেহবাহী কফিনটি বুঝে নিয়েছে এবং তা গাজায় মোতায়েন থাকা সেনাসদস্যদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এই নতুন মৃতদেহ হস্তান্তরের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী ২৮ জন নিহত জিম্মির মধ্যে ১৬ জনের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেওয়া হলো। চুক্তির অংশ হিসেবে জীবিত ২০ জন জিম্মি এর আগে ১৩ অক্টোবর হস্তান্তর করা হয়।
সর্বশেষ মৃতদেহটি হস্তান্তরের পরই জিম্মিদের পরিবারগুলো ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যদি হামাস অবশিষ্ট জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজে বের করতে এবং হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হয়, তবে যেন যুদ্ধবিরতি স্থগিত করা হয়। জিম্মি ও নিখোঁজ পরিবার ফোরাম এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রত্যেক মৃত জিম্মি কোথায় আছে, তা হামাস ভালো করেই জানে।’ তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যস্থতাকারীদের অনুরোধ করেছে, হামাস তাদের সকল বাধ্যবাধকতা পূরণ করে সব জিম্মিকে ইসরায়েলে ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত যেন চুক্তির পরবর্তী ধাপে না যাওয়া হয়।
অন্যদিকে হামাসের আলোচক খলিল আল-হাইয়া গত শনিবার স্বীকার করেছেন, জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ‘চ্যালেঞ্জ’ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘দখলদারি গাজার ভূমির চেহারা বদলে দিয়েছে।’ তাঁর মতে, যারা মৃতদেহগুলো কবর দিয়েছিল, তাদের মধ্যে কেউ কেউ যুদ্ধে নিহত হয়েছে বা তাদের কবর দেওয়ার স্থান ভুলে গেছে। আল-হাইয়ার মন্তব্যের এক দিন পরই ইসরায়েল একটি মিসরীয় কারিগরি দলকে গাজায় প্রবেশ করার অনুমতি দেয়, যারা খননযন্ত্র ব্যবহার করে মৃতদেহের সন্ধানে সাহায্য করছে। রেডক্রস এই মিসরীয় দল এবং হামাসকে সঙ্গে নিয়েই জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের কাছে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে নাসের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানায়, গত ৪৮ ঘণ্টায় উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৬৮ হাজার ৫২৭ জন নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৫ জন আহত হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সোমবার ইসরায়েলের হামলার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, শনিবার ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) এক সদস্যের ওপর ইসরায়েলের হামলা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা এটাকে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন হিসেবে দেখছি না।’ তিনি দাবি করেন, তারা ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিল।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর দুই সপ্তাহের বেশি সময়ে প্রায় ৪ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ উত্তর গাজায় ফিরেছে। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে তাদের নতুন করে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজতে হচ্ছে। খাবার ও পানির মতো মৌলিক প্রয়োজনীয়তার চরম ঘাটতি রয়েছে। প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান ইউনিস আল-খাতিব সতর্ক করেছেন, যুদ্ধবিরতির আগে গাজার জনসংখ্যা যে ভয়ংকর মানবিক জরুরি অবস্থার মুখোমুখি ছিল, এখনো পরিস্থিতি তেমনই আছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ইসরায়েলের দুই বছরের যুদ্ধের পর গাজায় মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রয়োজন এমন মানুষের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার থেকে বেড়ে ১০ লাখের বেশি হয়েছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, উপত্যকার প্রায় সব শিশু এই ধরনের সহায়তার মুখাপেক্ষী। ইউনিসেফের মুখপাত্র টেস ইনগ্রাম আল জাজিরাকে বলেছেন, এই সংঘাতে গত দুই বছরে প্রতিদিন একটি শ্রেণিকক্ষের সমপরিমাণ শিশু নিহত বা আহত হয়েছে এবং শিশুদের ওপর এই আঘাতের ক্ষত বহু বছর থাকবে।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইসরায়েলি আগ্রাসন
গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলে ইসরায়েলের আগ্রাসন থামেনি। এই চুক্তির ফলে গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর চাপ কিছুটা কমলেও লেবানন, সিরিয়া এবং পশ্চিম তীর গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলি সৈন্য ও বসতি স্থাপনকারীরা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো ফিলিস্তিনিদের জলপাই সংগ্রহের সময় হয়রানি ও আটক করছে।
সিরিয়ার ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রায় প্রতিদিন অনুপ্রবেশের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে রেকি ফ্লাইট, স্থল অনুপ্রবেশ, সিরীয়দের আটক ও নিখোঁজ হওয়া এবং চৌকি স্থাপন। রোববার সকালে কুনেইত্রার গ্রামগুলোতে ইসরায়েলি আগ্রাসনের ঘটনা ঘটেছে।
লেবাননেও হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়মিতভাবে লঙ্ঘন করে চলেছে ইসরায়েল। সোমবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী (ইউএনআইএফআইএল) ইসরায়েলি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করে। এ ছাড়া সোমবার দুজনকে হত্যা করা হয়েছে।

দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে সমুদ্রের তলদেশে আটকে থাকা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আইসবার্গটি সরে যেতে শুরু করেছে। এ২৩এ নামের বিপুল এই বরফখন্ডটি ১৯৮৬ সালে অ্যান্টার্কটিকার উপকূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। পরে এটি ওয়েডেল সাগরে গিয়ে থেমে যায়। মূলত তখন থেকেই এটি একটি বরফ দ্বীপে পরিণত হয়েছিল।
২৪ নভেম্বর ২০২৩
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক তাঁর প্রতিষ্ঠান টেসলা ছেড়ে যেতে পারেন, যদি না তাঁকে তাঁর কাঙ্ক্ষিত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেতন–ভাতা না দেওয়া হয়। এমনটাই জানিয়েছেন টেসলার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রবিন ডেনহম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এই খবর জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
তুরস্ক যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ২০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। নিজস্ব প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘কান’ (KAAN)-এর তৈরি চলাকালে আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে আঙ্কারা।
২ ঘণ্টা আগে
তিব্বতের লুঞ্জে বিমানঘাঁটির সম্প্রসারণ সম্পন্ন করেছে চীন। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত ভারত-চীন সীমারেখা ম্যাকমোহন লাইন থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তরে এই ঘাঁটিতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র, নতুন প্রশাসনিক ভবন ও নতুন অ্যাপ্রোন (বিমান চলাচলের মাঠ) নির্মাণ শেষ হয়েছে। ভারতীয় বিশ্লেষকে
২ ঘণ্টা আগে