অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের বিষধর কিছু সাপের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম একটি নতুন অ্যান্টিভেনম উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই অ্যান্টিভেনম তৈরি করা হয়েছে টিম ফ্রিডে নামের সেই সাপুড়ের রক্তের অ্যান্টিবডি থেকে, যিনি বিভিন্ন বিষধর সাপের বিষ নিজের শরীরে প্রয়োগ করে দেহের ইমিউনিটি গড়ে তুলেছেন। সম্প্রতি ফ্রিডে তাঁর ব্যতিক্রম অভিজ্ঞতার জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে শিরোনাম হয়েছেন।
নিও সায়েন্টিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রিডের শরীর থেকে সংগৃহীত অ্যান্টিবডি দিয়ে তৈরি অ্যান্টিভেনমটি একাধিক সাপের কামড়ের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে। এর ফলে একটি ‘সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম’ তৈরির সম্ভাবনা জেগে উঠেছে।
প্রতিবছর সাপের কামড়ে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে এবং এর চেয়ে প্রায় তিন গুণ মানুষ পঙ্গুত্ব বা স্থায়ী অঙ্গহানির শিকার হন। বর্তমানে প্রচলিত অ্যান্টিভেনমগুলো সাধারণত ভেড়া বা ঘোড়ার শরীরে বিষ প্রয়োগ করে তৈরি করা হয় এবং প্রতিটি অ্যান্টিভেনম নির্দিষ্ট একটি সাপের প্রজাতির বিরুদ্ধে কার্যকর। এ ছাড়া এসব অ্যান্টিভেনমে পশুদের শরীরের অ্যান্টিবডি থাকায় তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, এমনকি জীবনহানিও ঘটতে পারে।
সান ফ্রান্সিসকোর সেন্টিভ্যাক্স বায়োটেকনোলজি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী জ্যাকব গ্লানভিল এবং তাঁর দল এমন কিছু অ্যান্টিবডি খুঁজছেন, যেগুলো অধিকাংশ সাপের বিষের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। গ্লানভিল বলেন, ‘পৃথিবীতে ৬৫০টির মতো বিষধর সাপ থাকলেও তাদের বিষ মূলত ১০টি সাধারণ টক্সিন শ্রেণিতে বিভক্ত।’
এই গবেষণা করতে গিয়ে তাঁরা খুঁজে পান টিম ফ্রিডেকে। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন বিষধর সাপের বিষ নিজের শরীরে ৭০০ বারের বেশি প্রয়োগ করেছেন। ফ্রিডের ৪০ মিলিলিটার রক্ত থেকে গবেষকেরা ‘বিলিয়ন বিলিয়ন’ অ্যান্টিবডির একটি লাইব্রেরি তৈরি করেছেন।
এই লাইব্রেরি থেকে নির্বাচিত সম্ভাবনাময় অ্যান্টিবডিগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯টি বিষধর এলাপাইড সাপের বিষে আক্রান্ত ইঁদুরের ওপর। শেষ পর্যন্ত দুটি অ্যান্টিবডি এবং একটি টক্সিন প্রতিরোধক উপাদান একত্রে প্রয়োগ করে একটি অ্যান্টিভেনম তৈরি করা হয়। এই অ্যান্টিভেনম ইঁদুরদের মধ্যে প্রয়োগ করে দেখা যায়, এটি ১৩ প্রজাতির সাপের বিষের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ সুরক্ষা এবং বাকি ৬টি সাপের বিরুদ্ধে আংশিক সুরক্ষা দিয়েছে।
পরবর্তী ধাপে এই চিকিৎসা অস্ট্রেলিয়ার পশুচিকিৎসা ক্লিনিকে নিয়ে আসা সাপের কামড়ে আক্রান্ত প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা করা হবে। একই সঙ্গে ভাইপার প্রজাতির সাপের বিরুদ্ধে কার্যকর অ্যান্টিবডিও খোঁজা হবে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী তিয়ান ডু বলেন, ‘মাত্র দুটি অ্যান্টিবডি এবং একটি ইনহিবিটর দিয়ে এত বিস্তৃত পরিসরে সাফল্য পাওয়া একটি সর্বজনীন চিকিৎসার আশার আলো দেখায়।’ তবে এই চিকিৎসা পদ্ধতি চামড়া ও মাংসপেশির নেক্রোসিস (মৃত কোষ সৃষ্টি) প্রতিরোধ করতে পারে কি না, সেই বিষয়েও তিনি জানতে চান।
বিশ্বের বিষধর কিছু সাপের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম একটি নতুন অ্যান্টিভেনম উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই অ্যান্টিভেনম তৈরি করা হয়েছে টিম ফ্রিডে নামের সেই সাপুড়ের রক্তের অ্যান্টিবডি থেকে, যিনি বিভিন্ন বিষধর সাপের বিষ নিজের শরীরে প্রয়োগ করে দেহের ইমিউনিটি গড়ে তুলেছেন। সম্প্রতি ফ্রিডে তাঁর ব্যতিক্রম অভিজ্ঞতার জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে শিরোনাম হয়েছেন।
নিও সায়েন্টিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রিডের শরীর থেকে সংগৃহীত অ্যান্টিবডি দিয়ে তৈরি অ্যান্টিভেনমটি একাধিক সাপের কামড়ের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে। এর ফলে একটি ‘সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম’ তৈরির সম্ভাবনা জেগে উঠেছে।
প্রতিবছর সাপের কামড়ে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে এবং এর চেয়ে প্রায় তিন গুণ মানুষ পঙ্গুত্ব বা স্থায়ী অঙ্গহানির শিকার হন। বর্তমানে প্রচলিত অ্যান্টিভেনমগুলো সাধারণত ভেড়া বা ঘোড়ার শরীরে বিষ প্রয়োগ করে তৈরি করা হয় এবং প্রতিটি অ্যান্টিভেনম নির্দিষ্ট একটি সাপের প্রজাতির বিরুদ্ধে কার্যকর। এ ছাড়া এসব অ্যান্টিভেনমে পশুদের শরীরের অ্যান্টিবডি থাকায় তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, এমনকি জীবনহানিও ঘটতে পারে।
সান ফ্রান্সিসকোর সেন্টিভ্যাক্স বায়োটেকনোলজি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী জ্যাকব গ্লানভিল এবং তাঁর দল এমন কিছু অ্যান্টিবডি খুঁজছেন, যেগুলো অধিকাংশ সাপের বিষের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। গ্লানভিল বলেন, ‘পৃথিবীতে ৬৫০টির মতো বিষধর সাপ থাকলেও তাদের বিষ মূলত ১০টি সাধারণ টক্সিন শ্রেণিতে বিভক্ত।’
এই গবেষণা করতে গিয়ে তাঁরা খুঁজে পান টিম ফ্রিডেকে। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন বিষধর সাপের বিষ নিজের শরীরে ৭০০ বারের বেশি প্রয়োগ করেছেন। ফ্রিডের ৪০ মিলিলিটার রক্ত থেকে গবেষকেরা ‘বিলিয়ন বিলিয়ন’ অ্যান্টিবডির একটি লাইব্রেরি তৈরি করেছেন।
এই লাইব্রেরি থেকে নির্বাচিত সম্ভাবনাময় অ্যান্টিবডিগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯টি বিষধর এলাপাইড সাপের বিষে আক্রান্ত ইঁদুরের ওপর। শেষ পর্যন্ত দুটি অ্যান্টিবডি এবং একটি টক্সিন প্রতিরোধক উপাদান একত্রে প্রয়োগ করে একটি অ্যান্টিভেনম তৈরি করা হয়। এই অ্যান্টিভেনম ইঁদুরদের মধ্যে প্রয়োগ করে দেখা যায়, এটি ১৩ প্রজাতির সাপের বিষের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ সুরক্ষা এবং বাকি ৬টি সাপের বিরুদ্ধে আংশিক সুরক্ষা দিয়েছে।
পরবর্তী ধাপে এই চিকিৎসা অস্ট্রেলিয়ার পশুচিকিৎসা ক্লিনিকে নিয়ে আসা সাপের কামড়ে আক্রান্ত প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা করা হবে। একই সঙ্গে ভাইপার প্রজাতির সাপের বিরুদ্ধে কার্যকর অ্যান্টিবডিও খোঁজা হবে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী তিয়ান ডু বলেন, ‘মাত্র দুটি অ্যান্টিবডি এবং একটি ইনহিবিটর দিয়ে এত বিস্তৃত পরিসরে সাফল্য পাওয়া একটি সর্বজনীন চিকিৎসার আশার আলো দেখায়।’ তবে এই চিকিৎসা পদ্ধতি চামড়া ও মাংসপেশির নেক্রোসিস (মৃত কোষ সৃষ্টি) প্রতিরোধ করতে পারে কি না, সেই বিষয়েও তিনি জানতে চান।
রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি) পুরোনো করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলছে সেটির নির্মাণকাজ। এই অবস্থায় সংকটাপন্ন রোগীদের জরুরি সেবা দেওয়া হচ্ছে অস্থায়ী সিসিইউতে। কিন্তু একটি সিসিইউর জন্য যে পরিবেশ দরকার, সেখানে তা নেই।
৪ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
১০ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৭৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি।
১২ ঘণ্টা আগেঅ্যানোরেক্সিয়া নারভোসা এমন একটি মানসিক রোগ, যেখানে একজন মানুষ সব সময় মনে করেন তিনি মোটা। যদিও বাস্তবে হয়তো তিনি খুবই পাতলা। এই ভয়ে তিনি খাওয়া-দাওয়া একেবারে কমিয়ে দেন বা বাদই দিয়ে দেন।
১৩ ঘণ্টা আগে