Ajker Patrika

বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপের বিরুদ্ধেও কার্যকর হবে নতুন অ্যান্টিভেনম

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৮ মে ২০২৫, ০০: ০২
ছবি: নিও সায়েন্টিস্ট
ছবি: নিও সায়েন্টিস্ট

বিশ্বের বিষধর কিছু সাপের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম একটি নতুন অ্যান্টিভেনম উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই অ্যান্টিভেনম তৈরি করা হয়েছে টিম ফ্রিডে নামের সেই সাপুড়ের রক্তের অ্যান্টিবডি থেকে, যিনি বিভিন্ন বিষধর সাপের বিষ নিজের শরীরে প্রয়োগ করে দেহের ইমিউনিটি গড়ে তুলেছেন। সম্প্রতি ফ্রিডে তাঁর ব্যতিক্রম অভিজ্ঞতার জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে শিরোনাম হয়েছেন।

নিও সায়েন্টিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রিডের শরীর থেকে সংগৃহীত অ্যান্টিবডি দিয়ে তৈরি অ্যান্টিভেনমটি একাধিক সাপের কামড়ের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে। এর ফলে একটি ‘সর্বজনীন অ্যান্টিভেনম’ তৈরির সম্ভাবনা জেগে উঠেছে।

প্রতিবছর সাপের কামড়ে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে এবং এর চেয়ে প্রায় তিন গুণ মানুষ পঙ্গুত্ব বা স্থায়ী অঙ্গহানির শিকার হন। বর্তমানে প্রচলিত অ্যান্টিভেনমগুলো সাধারণত ভেড়া বা ঘোড়ার শরীরে বিষ প্রয়োগ করে তৈরি করা হয় এবং প্রতিটি অ্যান্টিভেনম নির্দিষ্ট একটি সাপের প্রজাতির বিরুদ্ধে কার্যকর। এ ছাড়া এসব অ্যান্টিভেনমে পশুদের শরীরের অ্যান্টিবডি থাকায় তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, এমনকি জীবনহানিও ঘটতে পারে।

সান ফ্রান্সিসকোর সেন্টিভ্যাক্স বায়োটেকনোলজি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী জ্যাকব গ্লানভিল এবং তাঁর দল এমন কিছু অ্যান্টিবডি খুঁজছেন, যেগুলো অধিকাংশ সাপের বিষের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। গ্লানভিল বলেন, ‘পৃথিবীতে ৬৫০টির মতো বিষধর সাপ থাকলেও তাদের বিষ মূলত ১০টি সাধারণ টক্সিন শ্রেণিতে বিভক্ত।’

এই গবেষণা করতে গিয়ে তাঁরা খুঁজে পান টিম ফ্রিডেকে। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন বিষধর সাপের বিষ নিজের শরীরে ৭০০ বারের বেশি প্রয়োগ করেছেন। ফ্রিডের ৪০ মিলিলিটার রক্ত থেকে গবেষকেরা ‘বিলিয়ন বিলিয়ন’ অ্যান্টিবডির একটি লাইব্রেরি তৈরি করেছেন।

এই লাইব্রেরি থেকে নির্বাচিত সম্ভাবনাময় অ্যান্টিবডিগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯টি বিষধর এলাপাইড সাপের বিষে আক্রান্ত ইঁদুরের ওপর। শেষ পর্যন্ত দুটি অ্যান্টিবডি এবং একটি টক্সিন প্রতিরোধক উপাদান একত্রে প্রয়োগ করে একটি অ্যান্টিভেনম তৈরি করা হয়। এই অ্যান্টিভেনম ইঁদুরদের মধ্যে প্রয়োগ করে দেখা যায়, এটি ১৩ প্রজাতির সাপের বিষের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ সুরক্ষা এবং বাকি ৬টি সাপের বিরুদ্ধে আংশিক সুরক্ষা দিয়েছে।

পরবর্তী ধাপে এই চিকিৎসা অস্ট্রেলিয়ার পশুচিকিৎসা ক্লিনিকে নিয়ে আসা সাপের কামড়ে আক্রান্ত প্রাণীদের ওপর পরীক্ষা করা হবে। একই সঙ্গে ভাইপার প্রজাতির সাপের বিরুদ্ধে কার্যকর অ্যান্টিবডিও খোঁজা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী তিয়ান ডু বলেন, ‘মাত্র দুটি অ্যান্টিবডি এবং একটি ইনহিবিটর দিয়ে এত বিস্তৃত পরিসরে সাফল্য পাওয়া একটি সর্বজনীন চিকিৎসার আশার আলো দেখায়।’ তবে এই চিকিৎসা পদ্ধতি চামড়া ও মাংসপেশির নেক্রোসিস (মৃত কোষ সৃষ্টি) প্রতিরোধ করতে পারে কি না, সেই বিষয়েও তিনি জানতে চান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আস্থায় বাজিমাত ইসলামী ব্যাংক

ভাগনের বিয়েতে ১ কেজি সোনা, ৪ বস্তা টাকা, ২১০ বিঘা জমি, পেট্রলপাম্প উপহার দিল মাড়োয়ারি পরিবার

‘ফের ধর্ষণচেষ্টার ক্ষোভে’ বাবাকে খুন, ৯৯৯-এ কল দিয়ে আটকের অনুরোধ মেয়ের

পাকিস্তানে হামলার ব্রিফিংয়ে নেতৃত্ব দিয়ে প্রশংসা কুড়ালেন ২ নারী কর্মকর্তা

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে লাভবান চীন, নাজুক অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত