ডা. ফারজানা রহমান
প্রশ্ন: আমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক চতুর্থ বর্ষে পড়ছি। আট মাস ধরে একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে আছি। সে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। সম্পর্কের ব্যাপারটি আমাদের দুই পরিবারই জানে এবং স্নাতক শেষে আমাদের বিয়ে হওয়ারও কথা চলছে। আমরা দুজনই দুজনকে অনেক ভালোবাসি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, কখনো ছোটখাটো মান-অভিমান হলেও সে নিজেকে আঘাত করে। হাত-পা ধারালো কিছু দিয়ে কেটে আমাকে ভিডিও পাঠায়। এ পর্যন্ত তিনবার এমন হয়েছে। আমি তাঁকে অনেক ভালোবাসলেও এ ধরনের আচরণ মেনে নিতে পারছি না। আবার কষ্টও পাচ্ছি। রাগ থেকে নিজেকে আঘাত করাটা কি কোনো রকমের মানসিক সমস্যা? যদি হয়ে থাকে, তবে এটি ঠিক হওয়ার কি কোনো উপায় আছে? এ রকম একটা মানুষের সঙ্গে সারা জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া কি ঠিক হবে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
আপনি শিক্ষিত ও সচেতন একজন মানুষ। সম্পর্কের একটি সুন্দর পর্যায়ে আছেন। তবে আপনার সঙ্গীর যে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন তা কিন্তু বড় ধরনের আবেগময় ও আচরণগত সমস্যার বহিঃপ্রকাশ। ব্যক্তিত্বের সমস্যা থেকেও এমন আচরণ হতে পারে। এটা সম্পূর্ণ ঠিক হওয়া একটু কঠিন। তবে অনেক ক্ষেত্রে এটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য। আপনি কি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে তিনি কেন এই আচরণগুলো করেন? আপনার কাছে বেশি মনোযোগ পাওয়ার জন্য, নাকি হঠাৎই এসব করে ফেলেন?
তাঁর পরিবারে কারও মানসিক সমস্যা আছে কি না, এসব তথ্য জানাটা জরুরি। কোনো মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। নিয়মিত সেশন নিলে আশা করি সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসবে।
মানসিক বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন, ডা. ফারজানা রহমান,সহযোগী অধ্যাপক, মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
প্রশ্ন: আমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক চতুর্থ বর্ষে পড়ছি। আট মাস ধরে একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে আছি। সে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। সম্পর্কের ব্যাপারটি আমাদের দুই পরিবারই জানে এবং স্নাতক শেষে আমাদের বিয়ে হওয়ারও কথা চলছে। আমরা দুজনই দুজনকে অনেক ভালোবাসি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, কখনো ছোটখাটো মান-অভিমান হলেও সে নিজেকে আঘাত করে। হাত-পা ধারালো কিছু দিয়ে কেটে আমাকে ভিডিও পাঠায়। এ পর্যন্ত তিনবার এমন হয়েছে। আমি তাঁকে অনেক ভালোবাসলেও এ ধরনের আচরণ মেনে নিতে পারছি না। আবার কষ্টও পাচ্ছি। রাগ থেকে নিজেকে আঘাত করাটা কি কোনো রকমের মানসিক সমস্যা? যদি হয়ে থাকে, তবে এটি ঠিক হওয়ার কি কোনো উপায় আছে? এ রকম একটা মানুষের সঙ্গে সারা জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া কি ঠিক হবে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা
আপনি শিক্ষিত ও সচেতন একজন মানুষ। সম্পর্কের একটি সুন্দর পর্যায়ে আছেন। তবে আপনার সঙ্গীর যে সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন তা কিন্তু বড় ধরনের আবেগময় ও আচরণগত সমস্যার বহিঃপ্রকাশ। ব্যক্তিত্বের সমস্যা থেকেও এমন আচরণ হতে পারে। এটা সম্পূর্ণ ঠিক হওয়া একটু কঠিন। তবে অনেক ক্ষেত্রে এটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য। আপনি কি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে তিনি কেন এই আচরণগুলো করেন? আপনার কাছে বেশি মনোযোগ পাওয়ার জন্য, নাকি হঠাৎই এসব করে ফেলেন?
তাঁর পরিবারে কারও মানসিক সমস্যা আছে কি না, এসব তথ্য জানাটা জরুরি। কোনো মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। নিয়মিত সেশন নিলে আশা করি সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসবে।
মানসিক বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন, ডা. ফারজানা রহমান,সহযোগী অধ্যাপক, মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
১২ ঘণ্টা আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
১২ ঘণ্টা আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
১২ ঘণ্টা আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে