আজ বিশ্ব গ্লকোমা দিবস
ডা. মো. আরমান হোসেন রনি
গ্লকোমা বাংলাদেশ তথা পৃথিবীতে অনিবারণযোগ্য অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। ফলে এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। এবারের এ দিবসের স্লোগান হলো ‘এক সাথে হাত ধরি, গ্লকোমা মুক্ত বিশ্ব গড়ি’।
জেনে নেওয়া যাক কাদের গ্লকোমার জন্য চোখ পরীক্ষা জরুরি।
যাদের বয়স ৪০ বছরের বেশি
বয়স বাড়ার সঙ্গে গ্লকোমার ঝুঁকি বাড়ে। ৪০ বছর বয়স হয়ে গেলে প্রতি ২ বছর পরপর এবং ৬০ বছরের পর প্রতি বছর চোখ পরীক্ষা করানো উচিত।
পরিবারের কেউ গ্লকোমায় আক্রান্ত থাকলে
গ্লকোমার একটি বড় কারণ বংশগত প্রবণতা। পরিবারের কোনো সদস্যের গ্লকোমা থাকলে সে পরিবারের অন্য সদস্যরাও এ রোগের ঝুঁকিতে বেশি থাকে। এ রোগ প্রতিরোধে আক্রান্ত পরিবারের অন্য সদস্যদের চোখ পরীক্ষা জরুরি।
চোখের উচ্চ চাপ থাকলে
চোখের অভ্যন্তরীণ চাপ বেশি হলে গ্লুকোমার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। তাই যারা আগে থেকেই চোখের চাপ বেশি এমন রোগী তাদের নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা দরকার।
ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে
ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ গ্লকোমার অন্যতম কারণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি থাকলে গ্লকোমার ঝুঁকি দ্বিগুণ। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করাবেন।
দীর্ঘদিন স্টেরয়েড ওষুধ ব্যবহারকারী
যারা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ (আইড্রপ, ইনহেলার বা ট্যাবলেট) দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করেন, তাদের চোখের চাপ বেড়ে যেতে পারে। এদের নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
চোখের আঘাতপ্রাপ্ত বা অস্ত্রোপচার করা রোগী
অতীতে কোনো চোখের আঘাত পেলে বা অস্ত্রোপচার (যেমন ছানি অপারেশন) করলে গ্লকোমার ঝুঁকি বেশি হয়। তাই তাদের নিয়মিত চোখের ডাক্তার দেখানো উচিত।
মাইগ্রেন বা ঘন ঘন মাথাব্যথা থাকলে
গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের মাইগ্রেন বা মাথার রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা আছে, তাদের গ্লকোমার ঝুঁকি বেশি। এ ধরণের মানুষ নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করাবেন।
যারা ধূমপান ও মদ্যপান করেন
ধূমপান ও অ্যালকোহল অপটিক নার্ভের ক্ষতি করে এবং গ্লকোমার ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপায়ীদের জন্য নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা জরুরি।
উচ্চ মায়োপিয়া বা হাইপারোপিয়া থাকলে
যাদের চশমার পাওয়ার (-৬ বা +৬ এর বেশি) বেশি থাকে তাদের চোখের গঠন একটু ভিন্ন হয়, যা গ্লকোমার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এ ধরণের মানুষদের নিয়মিত চোখের পরীক্ষা জরুরি।
গ্লকোমা প্রাথমিক অবস্থায় ধরা না পড়লে স্থায়ী অন্ধত্ব হতে পারে। তাই আগে থেকেই সচেতন হওয়া জরুরি।
লেখক: চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা
গ্লকোমা বাংলাদেশ তথা পৃথিবীতে অনিবারণযোগ্য অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। ফলে এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। এবারের এ দিবসের স্লোগান হলো ‘এক সাথে হাত ধরি, গ্লকোমা মুক্ত বিশ্ব গড়ি’।
জেনে নেওয়া যাক কাদের গ্লকোমার জন্য চোখ পরীক্ষা জরুরি।
যাদের বয়স ৪০ বছরের বেশি
বয়স বাড়ার সঙ্গে গ্লকোমার ঝুঁকি বাড়ে। ৪০ বছর বয়স হয়ে গেলে প্রতি ২ বছর পরপর এবং ৬০ বছরের পর প্রতি বছর চোখ পরীক্ষা করানো উচিত।
পরিবারের কেউ গ্লকোমায় আক্রান্ত থাকলে
গ্লকোমার একটি বড় কারণ বংশগত প্রবণতা। পরিবারের কোনো সদস্যের গ্লকোমা থাকলে সে পরিবারের অন্য সদস্যরাও এ রোগের ঝুঁকিতে বেশি থাকে। এ রোগ প্রতিরোধে আক্রান্ত পরিবারের অন্য সদস্যদের চোখ পরীক্ষা জরুরি।
চোখের উচ্চ চাপ থাকলে
চোখের অভ্যন্তরীণ চাপ বেশি হলে গ্লুকোমার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। তাই যারা আগে থেকেই চোখের চাপ বেশি এমন রোগী তাদের নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা দরকার।
ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে
ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ গ্লকোমার অন্যতম কারণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি থাকলে গ্লকোমার ঝুঁকি দ্বিগুণ। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করাবেন।
দীর্ঘদিন স্টেরয়েড ওষুধ ব্যবহারকারী
যারা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ (আইড্রপ, ইনহেলার বা ট্যাবলেট) দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করেন, তাদের চোখের চাপ বেড়ে যেতে পারে। এদের নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
চোখের আঘাতপ্রাপ্ত বা অস্ত্রোপচার করা রোগী
অতীতে কোনো চোখের আঘাত পেলে বা অস্ত্রোপচার (যেমন ছানি অপারেশন) করলে গ্লকোমার ঝুঁকি বেশি হয়। তাই তাদের নিয়মিত চোখের ডাক্তার দেখানো উচিত।
মাইগ্রেন বা ঘন ঘন মাথাব্যথা থাকলে
গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের মাইগ্রেন বা মাথার রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা আছে, তাদের গ্লকোমার ঝুঁকি বেশি। এ ধরণের মানুষ নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করাবেন।
যারা ধূমপান ও মদ্যপান করেন
ধূমপান ও অ্যালকোহল অপটিক নার্ভের ক্ষতি করে এবং গ্লকোমার ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপায়ীদের জন্য নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা জরুরি।
উচ্চ মায়োপিয়া বা হাইপারোপিয়া থাকলে
যাদের চশমার পাওয়ার (-৬ বা +৬ এর বেশি) বেশি থাকে তাদের চোখের গঠন একটু ভিন্ন হয়, যা গ্লকোমার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এ ধরণের মানুষদের নিয়মিত চোখের পরীক্ষা জরুরি।
গ্লকোমা প্রাথমিক অবস্থায় ধরা না পড়লে স্থায়ী অন্ধত্ব হতে পারে। তাই আগে থেকেই সচেতন হওয়া জরুরি।
লেখক: চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা
প্রিয়জনকে হারানোর মতো মানসিক ধাক্কা বা বড় কোনো দুঃসংবাদ পাওয়ার পর অনেকেই বুক ধড়ফড়ানি ও শ্বাসকষ্টে ভোগেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটি ‘ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম’ বা টাকোৎসুবো কার্ডিওমায়োপ্যাথি নামে পরিচিত।
৫ ঘণ্টা আগেযুগ পাল্টেছে, বদলেছে আমাদের চারপাশের সবকিছু—বাড়ি হয়েছে বিশাল, টিভির পর্দা হয়েছে চওড়া, গাড়ি হয়েছে ভারী। তবে এই ‘বড়’ হওয়ার হাওয়ায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খাবারের পরিমাণ এবং আমাদের কোমরের মাপও।
১ দিন আগেশুঁটকির নমুনায় মিলেছে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান। একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
২ দিন আগেসহকারী অধ্যাপক পদে সুপারনিউমারারি পদোন্নতির হালনাগাদ তালিকায় অন্তর্ভুক্তের পরেও ৩৩তম বিসিএসের স্বাস্থ্য ক্যাডারের (বিসিএস) দেড় হাজারের অধিক চিকিৎসককে বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘোষিত সুপারনিউমারারি পদোন্নতিতে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
২ দিন আগে