মাহমুদা আক্তার রোজী
স্ট্রোক আমাদের সবার কাছে একটি পরিচিত কিন্তু ভয়াবহ স্বাস্থ্যসমস্যা। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাধা পেলে বা ব্যাহত হলে যখন রক্ত জমাট বেঁধে ধমনি ব্লক করে দেয়, তখন অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের কোষগুলো মারা যায় এবং মস্তিষ্কের কার্যকরী ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দেখা দেয় স্ট্রোক।
স্ট্রোক কোথায় হচ্ছে ও মস্তিষ্কের কতটুকু অংশ আক্রান্ত হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করে স্ট্রোকের সার্বিক অবস্থা ও পরিণাম। এটি যেকোনো বয়সের যেকোনো মানুষের হতে পারে। নারীদের তুলনায় পুরুষেরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। স্ট্রোকের রোগী কথা বলার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন। আবার কখনো কখনো এ অবস্থায় রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
স্ট্রোক দুই ধরনের। যেমন:
মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাবে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হওয়ার কারণে যে স্ট্রোক দেখা দেয় তা হলো ইস্কেমিক স্ট্রোক। অন্যদিকে রক্তের ভেসেরন ভেঙে রক্ত মস্তিষ্কে চলে গেলে হেমোরেজিক স্ট্রোক দেখা দেয়।
কারণ
লক্ষণ
করণীয়
স্ট্রোক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। স্ট্রোকের রোগীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হলে রোগীর দ্রুত উন্নতি হতে পারে।
কিছু রোগী ভালো অবস্থায় থাকে। যেমন কথা বলতে পারে, খেতে পারে, পায়খানা-প্রস্রাবের কথা বলতে পারে, শুধু শরীরের এক পাশের হাত-পা নাড়াতে পারে না। এ অবস্থায় ফিজিওথেরাপিস্ট প্রয়োজনীয় ব্যায়াম করাবেন।
যারা কথা বলতে পারে না, বুঝতে পারে না, নল বা টিউব দিয়ে খাওয়ানো হয় বা ক্যাথেটারের মাধ্যমে প্রস্রাব করানো হয়, শুয়ে থেকে পেছনে ঘা হয়েছে অথবা আক্রান্ত অঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা, তাদের নিয়ে সেবা প্রদানকারীর অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এ ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
যেহেতু রোগীর উন্নতি হবে ধীরে ধীরে এবং পর্যায়ক্রমে, তাই প্রাথমিকভাবে যা করতে হবে তা হলো, রোগীকে এপাশ-ওপাশ করিয়ে দিতে হবে, ধরে বসাতে হবে, পিঠে যাতে ঘা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে এয়ার বেড দিতে হবে।
স্ট্রোকের রোগীদের নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। সেই সঙ্গে সব সময় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে, লবণ কম খাওয়া ও পরিমিত খাবার গ্রহণের অভ্যাস করতে হবে। নিয়মিত চিকিৎসা ও ব্যায়াম করা হলে, সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব হবে।
লেখক: ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট অ্যান্ড জেরোন্টলজিস্ট, এক্সট্রা মাইল এইজ কেয়ার
স্ট্রোক আমাদের সবার কাছে একটি পরিচিত কিন্তু ভয়াবহ স্বাস্থ্যসমস্যা। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাধা পেলে বা ব্যাহত হলে যখন রক্ত জমাট বেঁধে ধমনি ব্লক করে দেয়, তখন অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের কোষগুলো মারা যায় এবং মস্তিষ্কের কার্যকরী ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দেখা দেয় স্ট্রোক।
স্ট্রোক কোথায় হচ্ছে ও মস্তিষ্কের কতটুকু অংশ আক্রান্ত হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করে স্ট্রোকের সার্বিক অবস্থা ও পরিণাম। এটি যেকোনো বয়সের যেকোনো মানুষের হতে পারে। নারীদের তুলনায় পুরুষেরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। স্ট্রোকের রোগী কথা বলার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন। আবার কখনো কখনো এ অবস্থায় রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
স্ট্রোক দুই ধরনের। যেমন:
মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাবে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হওয়ার কারণে যে স্ট্রোক দেখা দেয় তা হলো ইস্কেমিক স্ট্রোক। অন্যদিকে রক্তের ভেসেরন ভেঙে রক্ত মস্তিষ্কে চলে গেলে হেমোরেজিক স্ট্রোক দেখা দেয়।
কারণ
লক্ষণ
করণীয়
স্ট্রোক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। স্ট্রোকের রোগীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হলে রোগীর দ্রুত উন্নতি হতে পারে।
কিছু রোগী ভালো অবস্থায় থাকে। যেমন কথা বলতে পারে, খেতে পারে, পায়খানা-প্রস্রাবের কথা বলতে পারে, শুধু শরীরের এক পাশের হাত-পা নাড়াতে পারে না। এ অবস্থায় ফিজিওথেরাপিস্ট প্রয়োজনীয় ব্যায়াম করাবেন।
যারা কথা বলতে পারে না, বুঝতে পারে না, নল বা টিউব দিয়ে খাওয়ানো হয় বা ক্যাথেটারের মাধ্যমে প্রস্রাব করানো হয়, শুয়ে থেকে পেছনে ঘা হয়েছে অথবা আক্রান্ত অঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা, তাদের নিয়ে সেবা প্রদানকারীর অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এ ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
যেহেতু রোগীর উন্নতি হবে ধীরে ধীরে এবং পর্যায়ক্রমে, তাই প্রাথমিকভাবে যা করতে হবে তা হলো, রোগীকে এপাশ-ওপাশ করিয়ে দিতে হবে, ধরে বসাতে হবে, পিঠে যাতে ঘা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে এয়ার বেড দিতে হবে।
স্ট্রোকের রোগীদের নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। সেই সঙ্গে সব সময় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে, লবণ কম খাওয়া ও পরিমিত খাবার গ্রহণের অভ্যাস করতে হবে। নিয়মিত চিকিৎসা ও ব্যায়াম করা হলে, সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব হবে।
লেখক: ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট অ্যান্ড জেরোন্টলজিস্ট, এক্সট্রা মাইল এইজ কেয়ার
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৩১৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৮ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজন চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৩৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
১ দিন আগেস্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সই করা অনুমোদনপত্রে বলা হয়, তিনটি কোম্পানির ১১ ধরনের স্টেন্টের (করোনারি স্টেন্ট) দাম কমিয়ে নতুন করে নির্ধারণ করা হয়। স্টেন্ট আমদানি প্রতিষ্ঠানভেদে খুচরা মূল্য সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
১ দিন আগেস্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি টাস্কফোর্স ও একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্যের অংশীজনেরা। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশের স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারপ্রক্রিয়ার পরিকল্পনাকে দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত বলেও তাঁরা জোর দেন।
১ দিন আগে