Ajker Patrika

মানসিক স্বাস্থ্যকে শিক্ষানীতিতে যুক্ত করার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২: ৪৭
মানসিক স্বাস্থ্যকে শিক্ষানীতিতে যুক্ত করার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

দেশে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে মানসিক রোগী। যাদের ৭৫ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের নিচে। শারীরিক অনেক জটিলতার কারণ এ মানসিক স্বাস্থ্যহীনতা। তাই এটিকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষানীতিতে যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন মানসিক চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা।

আজ মঙ্গলবার রাত ৮টায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মধুমতি হলে মনোরোগ চিকিৎসকদের ১১তম এবং ১৩তম সার্ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ সোসাইটি অব পেডিয়াট্রিক আয়োজিত দুদিনব্যাপী এই সম্মেলন ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হবে চট্টগ্রামে।

অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. আফজাল জাভেদ বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা ব্যবস্থার বড় একটি অংশ। এ স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। অটিজমের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যে বাংলাদেশ, ভুটানসহ চারটি দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্যহীনতায় বড় একটি অংশ তরুণেরা। যাদের ৭৫ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের নিচে। ধর্মীয় রীতিনীতি ও পারিবারিক সদাচরণ এ সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনে। একই সঙ্গে সিভিল সোসাইটিকে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষানীতি যুক্ত করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ৬৮০ জন মনোবিদ অংশ নেবেন। একই সঙ্গে ৬৮ জন বক্তা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলবেন। ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক প্রধান, ভারতের সংস্থার প্রধানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা কথা বলবেন।

বাংলাদেশ সোসাইটি অব সাইকিয়াট্রিকের সহসভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসকদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই সম্মেলন। বৈজ্ঞানিক এ সম্মেলনে গবেষণা তুলে ধরা হবে। এখান থেকে দেশের জনগোষ্ঠীর যে কথা বলবেন তা বাস্তবায়ন করতে পারলে স্বাস্থ্যসেবায় অনেক বড় ভূমিকা রাখবে।’

বাংলাদেশ সাইক্রিয়াটিস্টিক সোসাইটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সরকার এখন এই রোগে গুরুত্ব দিচ্ছে। মানুষের দোরগোড়ায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা যাতে আমরা পৌঁছে দিতে পারি সেই চেষ্টা করছি।’

জাতীয় মানসিক ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘২০২২ সালে মানসিক স্বাস্থ্যনীতি যুগোপযোগী করা হয়েছে। ২০১৮ সালে মানসিক স্বাস্থ্যের আইন এবং কৌশল হয়েছে। কাগজে কলমে অনেক কিছু হয়েছে এখন কাজ করার সময়। বর্তমানে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালে প্রতিদিন ৪০০-৬০০ জন রোগী আসে, অথচ সেই পরিমাণে জনবল নেই। ছয়জন অধ্যাপকের জায়গায় আছে মাত্র একজন। তবে দেশে ৬০৩টি সরকারি-বেসরকারি কেন্দ্রে কৈশোর বান্ধব কেন্দ্র রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন সেবা রয়েছে। যেখানে জীবনযাপন প্রণালি রয়েছে।’ গত দুই বছরে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সবচেয়ে বেশি গবেষণা হয়েছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত