মইনুল হাসান, ফ্রান্স
‘দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম’ না বুঝলেও তেমন ক্ষতির কারণ হবে না। এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাপানের ওসাকার কিতানো হাসপাতালের একদল গবেষক-বিজ্ঞানী। তাঁরা অবশেষে আমাদের সুখবর দিতে যাচ্ছেন, সময়ের আগে দন্তক্ষয় বা দুর্ঘটনার কারণে প্রাপ্তবয়স্ক কারও দাঁত হারালে আবারও নতুন করে দাঁত গজাবে। যেমনটি ঘটে অ্যালিগেটর, মাছ বা সরীসৃপের ক্ষেত্রে। এসব প্রাণীর বহুবার দাঁত গজায়। মানুষের দাঁত দুবার গজায়, তার বেশি নয়।
জাপানের ওসাকায় অবস্থিত কিতানো হাসপাতালের কাতসু তাকাহাশির নেতৃত্বে একদল গবেষক গত ২০ বছরের চেষ্টায় অবশেষে এর কারণ খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁরা লক্ষ করেন যে দাঁত গজাতে একটি জিন বাধা দেয়। ফলে দাঁত হারালে, স্বাভাবিকভাবে নতুন করে দাঁত গজাতে পারে না। জিনটি শনাক্ত করার পর এ নিয়ে তাঁরা ২০২১ সালের ১ জুলাই ‘নেচার’ পত্রিকায় একটি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ প্রকাশ করেন।
গবেষক দলটি ইঁদুর ও বেজিজাতীয় প্রাণীর ওপর দাঁত গজাতে বাধা দেওয়া জিন নিষ্ক্রিয় করতে একধরনের প্রোটিন ব্যবহার করে আশাপ্রদ ফল পেয়েছে। ইতিমধ্যে মানুষের ওপর পরীক্ষা অর্থাৎ প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি লাভ করেছে তারা। এ জন্য ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়সের ৩০ জন স্বেচ্ছাপ্রণোদিত ব্যক্তি পরীক্ষায় রাজি হয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকেরই একটি মাড়ির দাঁত নেই। মানুষের ক্ষেত্রে পরীক্ষা সফল হলে দাঁত গজানোর বিস্ময়কর দাওয়াই আগামী ২০৩০ সালে বাজারজাত করবেন বলে আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। দাঁত গজাতে বাধা দেওয়া জিন নিষ্ক্রিয়কারী প্রোটিন উদ্ভাবনে জাপানি গবেষকেরা টোরেজেম বায়োফার্মা স্টার্ট-আপের সঙ্গে কাজ করছেন।
গবেষক-বিজ্ঞানীরা এ কাজ করতে গিয়ে ভীষণ জটিলতা এবং বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। বংশগত কারণে মানুষের প্রায় ৯০০ রোগ দাঁত ও মুখের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর মধ্যে একটি দাঁত কম গজায় পৃথিবীর ১ শতাংশ মানুষের। অনেকেরই আবার পাঁচটি ছয়টি দাঁতের ঘাটতি থাকায় তাঁদের সারা জীবনই অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়।
ব্যতিক্রম ছাড়া, মানবশিশু জন্ম নেয় দন্তবিহীন। বছর তিনেকের মাথায় এক এক করে মোট ফকফকে ২০টি দুধদাঁত বা প্রাইমারি টুথ ওপর-নিচের দুই পাটিতে শোভা পায়। এরপর সাধারণত ৬ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে সব দাঁত পড়ে গিয়ে আবার প্রায় সব দাঁত গজায়।
একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের সাধারণত ৩২টি দাঁত থাকে। চর্ব্য অর্থাৎ চিবিয়ে খেতে হয় এমন শক্ত খাবার খেতে এবং স্বাচ্ছন্দ্য উচ্চারণে কথা বলতে দাঁত না থাকলেই নয়। তা ছাড়া সুন্দর একপাটি দাঁতের মিষ্টি হাসি ঝলমলে ব্যক্তিত্ব ও সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। তবে নানান কারণে দাঁত হারাতে হয় বহু মানুষের। অচিরেই সে দুঃখ দূর হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। নকল বা কৃত্রিম দাঁত নয়, এবার আসল দাঁত মুখে ফোটাবে উচ্ছল, উজ্জ্বল এবং অকৃত্রিম হাসি। নকল দাঁতের দিন শেষ।
‘দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম’ না বুঝলেও তেমন ক্ষতির কারণ হবে না। এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাপানের ওসাকার কিতানো হাসপাতালের একদল গবেষক-বিজ্ঞানী। তাঁরা অবশেষে আমাদের সুখবর দিতে যাচ্ছেন, সময়ের আগে দন্তক্ষয় বা দুর্ঘটনার কারণে প্রাপ্তবয়স্ক কারও দাঁত হারালে আবারও নতুন করে দাঁত গজাবে। যেমনটি ঘটে অ্যালিগেটর, মাছ বা সরীসৃপের ক্ষেত্রে। এসব প্রাণীর বহুবার দাঁত গজায়। মানুষের দাঁত দুবার গজায়, তার বেশি নয়।
জাপানের ওসাকায় অবস্থিত কিতানো হাসপাতালের কাতসু তাকাহাশির নেতৃত্বে একদল গবেষক গত ২০ বছরের চেষ্টায় অবশেষে এর কারণ খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁরা লক্ষ করেন যে দাঁত গজাতে একটি জিন বাধা দেয়। ফলে দাঁত হারালে, স্বাভাবিকভাবে নতুন করে দাঁত গজাতে পারে না। জিনটি শনাক্ত করার পর এ নিয়ে তাঁরা ২০২১ সালের ১ জুলাই ‘নেচার’ পত্রিকায় একটি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ প্রকাশ করেন।
গবেষক দলটি ইঁদুর ও বেজিজাতীয় প্রাণীর ওপর দাঁত গজাতে বাধা দেওয়া জিন নিষ্ক্রিয় করতে একধরনের প্রোটিন ব্যবহার করে আশাপ্রদ ফল পেয়েছে। ইতিমধ্যে মানুষের ওপর পরীক্ষা অর্থাৎ প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি লাভ করেছে তারা। এ জন্য ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়সের ৩০ জন স্বেচ্ছাপ্রণোদিত ব্যক্তি পরীক্ষায় রাজি হয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকেরই একটি মাড়ির দাঁত নেই। মানুষের ক্ষেত্রে পরীক্ষা সফল হলে দাঁত গজানোর বিস্ময়কর দাওয়াই আগামী ২০৩০ সালে বাজারজাত করবেন বলে আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। দাঁত গজাতে বাধা দেওয়া জিন নিষ্ক্রিয়কারী প্রোটিন উদ্ভাবনে জাপানি গবেষকেরা টোরেজেম বায়োফার্মা স্টার্ট-আপের সঙ্গে কাজ করছেন।
গবেষক-বিজ্ঞানীরা এ কাজ করতে গিয়ে ভীষণ জটিলতা এবং বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। বংশগত কারণে মানুষের প্রায় ৯০০ রোগ দাঁত ও মুখের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর মধ্যে একটি দাঁত কম গজায় পৃথিবীর ১ শতাংশ মানুষের। অনেকেরই আবার পাঁচটি ছয়টি দাঁতের ঘাটতি থাকায় তাঁদের সারা জীবনই অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়।
ব্যতিক্রম ছাড়া, মানবশিশু জন্ম নেয় দন্তবিহীন। বছর তিনেকের মাথায় এক এক করে মোট ফকফকে ২০টি দুধদাঁত বা প্রাইমারি টুথ ওপর-নিচের দুই পাটিতে শোভা পায়। এরপর সাধারণত ৬ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে সব দাঁত পড়ে গিয়ে আবার প্রায় সব দাঁত গজায়।
একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের সাধারণত ৩২টি দাঁত থাকে। চর্ব্য অর্থাৎ চিবিয়ে খেতে হয় এমন শক্ত খাবার খেতে এবং স্বাচ্ছন্দ্য উচ্চারণে কথা বলতে দাঁত না থাকলেই নয়। তা ছাড়া সুন্দর একপাটি দাঁতের মিষ্টি হাসি ঝলমলে ব্যক্তিত্ব ও সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। তবে নানান কারণে দাঁত হারাতে হয় বহু মানুষের। অচিরেই সে দুঃখ দূর হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। নকল বা কৃত্রিম দাঁত নয়, এবার আসল দাঁত মুখে ফোটাবে উচ্ছল, উজ্জ্বল এবং অকৃত্রিম হাসি। নকল দাঁতের দিন শেষ।
দুই মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের এক ব্যক্তি। জলবসন্তে (চিকেনপক্স) আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করান ৯ এপ্রিল। সংক্রামক এ রোগ শিশুটির শরীরে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগেক্যাম্পিউটেড টোমোগ্রাফি। এই খটমটে নামে না চিনলেও ‘সিটি স্ক্যান’ বললে সহজে চিনে ফেলি আমরা। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। অনেক সময় জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে এটি। সাধারণত রোগনির্ণয়ে বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে কতটা ক্ষতি হয়েছে...
২ দিন আগেখুবই কমদামি দুটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে পারে হাজার হাজার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ ও সুইডিশ একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, দুটি সস্তা ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করলে হাজার হাজার হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং বহু মানুষের জীবন...
২ দিন আগেপেটের ফ্লু, যাকে ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসও বলা হয়, এটি পেটের এক ধরনের সংক্রমণ। এই সমস্যায় বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটব্যথা এবং ক্র্যাম্পের (পেটে মোচড় দেওয়া) মতো লক্ষণ দেখা যায়। এটি সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়। সাধারণত বেশির ভাগ পেটের ফ্লু–এর জন্য দায়ী নরোভাইরাস।
২ দিন আগে