নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার বেড়েই চলেছে। এমনকি দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও ওমিক্রনের শিকার হচ্ছেন অনেকে।
এ ছাড়া বর্তমানে আক্রান্তদের মধ্যে এখনো ডেলটার প্রাধান্য থাকলেও ২০ শতাংশ ওমিক্রনের শিকার বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার ফল প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
২০২১ সালের ২৯ জুন থেকে চলতি বছরের গত ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে করোনায় আক্রান্ত সারা দেশের ৭৬৯ জন রোগীর জিনোম সিকোয়েন্স গবেষণা করে এ তথ্য পেয়েছে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা দল। গবেষণা দলটির প্রধান হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
এ সময় উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এই গবেষণার উদ্দেশ্য করোনার জেনোমের চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরন এবং বৈশ্বিক করোনাভাইরাস জেনোমের সঙ্গে আন্তসম্পর্ক বের করা।
গবেষণায় ৯ মাস থেকে শুরু করে ৯০ বছর বয়সী রোগীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ২১ থেকে ৫৮ বছর বয়সের রোগীদের সংখ্যা বেশি। যেহেতু কোনো বয়সসীমাকেই করোনা ছাড়ছে না, সে হিসেবে শিশুদেরও নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
গবেষণা দলের প্রধান হিসেবে উপাচার্য বলেন, গবেষণায় উঠে এসেছে কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি (একাধিক রোগ) যেমন—ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস রয়েছে; তাদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব বয়সের রোগীদের দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হলে সে ক্ষেত্রে মৃত্যু ঝুঁকি বেশি।
গত বছরের জুলাই মাসে দেখা যায়, মোট সংক্রমণের প্রায় ৯৮ শতাংশই হচ্ছে ভারতীয় বা ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের (ধরন)। এ ছাড়া ১ শতাংশ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকান (বেটা), ১ শতাংশ নাইজেরিয়ানের শিকার। আর জুলাই থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জিনোম সিকোয়েন্সে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৯৯ দশমিক ৩১ শতাংশ ডেলটা ধরনে আক্রান্ত। আর ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সংগৃহীত স্যাম্পলের ২০ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এবং ৮০ শতাংশের দেহে ডেলটার উপস্থিতি পাওয়া যায়।
অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, গবেষণায় অংশ নেওয়া করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্তদের অনেকের দুই ডোজ টিকা নেওয়া ছিল। এ ছাড়া তৃতীয়বারের মতো সংক্রমণ রোগীও পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর ক্ষেত্রে ডেলটা এবং মৃদু উপসর্গ থেকে যাঁরা পরীক্ষা করাচ্ছেন না, তাদের বেশির ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত। ফলে গবেষণার সংখ্যার চেয়ে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।
বিএসএমএমইউর উপাচার্য বলেন, করোনার প্রতিটি ধরনই অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং তা মারাত্মক অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। পাশাপাশি ভাইরাসের নিয়মিত মিউটেশন আমাদের প্রচলিত স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ করতে পারে। তাই করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও টিকা নিতে হবে।
দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার বেড়েই চলেছে। এমনকি দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও ওমিক্রনের শিকার হচ্ছেন অনেকে।
এ ছাড়া বর্তমানে আক্রান্তদের মধ্যে এখনো ডেলটার প্রাধান্য থাকলেও ২০ শতাংশ ওমিক্রনের শিকার বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার ফল প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
২০২১ সালের ২৯ জুন থেকে চলতি বছরের গত ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে করোনায় আক্রান্ত সারা দেশের ৭৬৯ জন রোগীর জিনোম সিকোয়েন্স গবেষণা করে এ তথ্য পেয়েছে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা দল। গবেষণা দলটির প্রধান হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
এ সময় উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এই গবেষণার উদ্দেশ্য করোনার জেনোমের চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরন এবং বৈশ্বিক করোনাভাইরাস জেনোমের সঙ্গে আন্তসম্পর্ক বের করা।
গবেষণায় ৯ মাস থেকে শুরু করে ৯০ বছর বয়সী রোগীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ২১ থেকে ৫৮ বছর বয়সের রোগীদের সংখ্যা বেশি। যেহেতু কোনো বয়সসীমাকেই করোনা ছাড়ছে না, সে হিসেবে শিশুদেরও নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
গবেষণা দলের প্রধান হিসেবে উপাচার্য বলেন, গবেষণায় উঠে এসেছে কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি (একাধিক রোগ) যেমন—ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস রয়েছে; তাদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব বয়সের রোগীদের দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হলে সে ক্ষেত্রে মৃত্যু ঝুঁকি বেশি।
গত বছরের জুলাই মাসে দেখা যায়, মোট সংক্রমণের প্রায় ৯৮ শতাংশই হচ্ছে ভারতীয় বা ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের (ধরন)। এ ছাড়া ১ শতাংশ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকান (বেটা), ১ শতাংশ নাইজেরিয়ানের শিকার। আর জুলাই থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জিনোম সিকোয়েন্সে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৯৯ দশমিক ৩১ শতাংশ ডেলটা ধরনে আক্রান্ত। আর ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সংগৃহীত স্যাম্পলের ২০ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এবং ৮০ শতাংশের দেহে ডেলটার উপস্থিতি পাওয়া যায়।
অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, গবেষণায় অংশ নেওয়া করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্তদের অনেকের দুই ডোজ টিকা নেওয়া ছিল। এ ছাড়া তৃতীয়বারের মতো সংক্রমণ রোগীও পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর ক্ষেত্রে ডেলটা এবং মৃদু উপসর্গ থেকে যাঁরা পরীক্ষা করাচ্ছেন না, তাদের বেশির ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত। ফলে গবেষণার সংখ্যার চেয়ে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।
বিএসএমএমইউর উপাচার্য বলেন, করোনার প্রতিটি ধরনই অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং তা মারাত্মক অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। পাশাপাশি ভাইরাসের নিয়মিত মিউটেশন আমাদের প্রচলিত স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ করতে পারে। তাই করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও টিকা নিতে হবে।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৬ জন।
৯ ঘণ্টা আগেঈদের ঠিক দুইদিন আগে, যখন উৎসবের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে রাজধানী, তখন অন্ধকার নেমে আসে জামাল আহমেদের জীবনে। রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
১৩ ঘণ্টা আগেবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে অনিরাপদ খাদ্যের কারণে উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে খাদ্যজনিত রোগের কারণে উৎপাদন কমে যাওয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয়ের বোঝা বছরে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।
২ দিন আগেগরু বা খাসির মাংস প্রাণিজ আমিষের খুব ভালো উৎস। এগুলোতে রয়েছে ভিটামিন বি১২, কোলিন, জিংক, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, আয়রনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। সেগুলো শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২ দিন আগে