অনলাইন ডেস্ক
রসালো আম দেখে অনেকেই লোভ সামলাতে পারেন না। এমনকি ডায়াবেটিস থাকলেও সুমিষ্ট এই ফলটির ওপর হামলে পড়েন অনেকে, শরীরে সুগার নিয়ন্ত্রণের তোয়াক্কা করেন না।
উচ্চমাত্রায় সুগার এবং ক্যালরি সমৃদ্ধ আম ডায়াবেটিসের জন্য ক্ষতিকর হবে-এমনটাই স্বাভাবিক। তবে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভালো আঁশ আর প্রাকৃতিক গুনাগুনে ভরপুর এই ফলটি ডায়াবেটিসের জন্য ক্ষতিকর নয় বলেও মনে করেন কেউ কেউ। এ অবস্থায় ডায়বেটিস রোগীরা আম খেতে পারবেন কি-না তা নিয়ে সম্প্রতি মতামত দিয়েছেন একদল ভারতীয় গবেষক।
এ বিষয়ে এনডিটিভি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটিতে 'হিলিং ফুড' নামে গবেষণালব্ধ একটি বইয়ের বরাতে বলা হয়েছে, আমের মধ্যে এক ধরনের এনজাইম রয়েছে, যা শরীরে প্রবেশ করা প্রোটিনকে সহজে ভেঙে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। এ ছাড়া আমেরিকান ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনও এ রোগে আক্রান্তদের খাদ্য তালিকায় আমকে ঠাঁই দিয়েছে। তবে সংগঠনটি এটাও বলেছে যে-চর্বিযুক্ত খাবার, ভাত, গম এবং দুধের মতো অন্যান্য শর্করা জাতীয় খাবারের বিকল্প হিসেবে আম খাওয়া যেতে পারে।
এর মানে কি এই যে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম নিরাপদ? এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগে ভারতীয় গবেষকরা কী বলছেন সে বিষয়ে জানা যাক-
নানাবিধ গুন থাকা সত্ত্বেও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আমকে ক্ষতিকর মনে করা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ভারতীয় ডায়েট বিশেষজ্ঞ লোকেন্দ্র তমার অন্যতম। তিনি বলেন, 'ডায়বেটিস রোগীদের অবশ্যই আম না খাওয়া উচিত।
এ ছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বল্প শর্করাযুক্ত খাবারের বিষয়টিকেও ভালো করে মানা উচিত বলে মনে করেন লোকেন্দ্র। তিনি বলেন, 'প্রতি পাঁচ গ্রাম শর্করা আমাদের রক্তে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত সুগার বাড়িয়ে দিতে পারে। আমে রয়েছে প্রচুর শর্করা। ১০০ গ্রাম আমে ২০ গ্রাম পর্যন্ত শর্করা থাকতে পারে! তাই ব্লাডসুগার বেশি থাকলে অবশ্যই আম খাওয়া পরিহার করা উচিত।'
আশার কথা হলো, ডায়াবেটিস রোগীরা আম খেতে পারবেন এমন অভিমতও দিয়েছেন লোকেন্দ্র। এ ক্ষেত্রে রোগীকে অবশ্যই চাল এবং গম থেকে উৎপন্ন খাবারগুলো বাদ দিতে হবে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস আক্রান্তদের শুধু দিনের বেলায় আম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, বেঙ্গালুরু ভিত্তিক পুষ্টিবিদ ড. আঞ্জু সোদ বলেন, 'আমি কোনোকিছুকেই খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে বলি না। আমে রয়েছে প্রকৃতিক সুগার। আর সুগার হলো ডায়াবেটিসের প্রধান শত্রু। তাই কারো শরীরে যদি সুগারের মাত্রা বেশি থাকে তবে আম খাওয়া থেকে তিনি বিরত থাকতে পারেন। আর সুগারের মাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে পরিমাণ মতো তারা আম খেতে পারেন।'
জাসলিন কাউর নামে আরেক ডায়েট বিশেষজ্ঞ মনে করেন, সীমিত মাত্রায় শর্করা গ্রহণ করে ডায়াবেটিস রোগীরা তাদের ব্লাডসুগার স্বাভাবিক রাখতে পারেন। তাই আম বেশি না খেয়ে স্বল্প মাত্রায় এই ফলটির স্বাদ গ্রহণ করা যেতে পারে।
আম খাওয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সীমারেখা টেনে দিয়েছেন সঞ্জয় কারলা নামে আরেক খাদ্য বিশেষজ্ঞ। তার মতে, ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭৫ গ্রাম আম খেতে পারেন। আর কারও রক্তে সুগার বেশি থাকলে আম-দুধ কিংবা আমের জুস তাদের না খাওয়াই উচিত।
সবশেষে বলা যায়-খাদ্য তালিকা থেকে কোনোকিছু বাদ দেয়াই একমাত্র সমাধান নয়। খাদ্য উপাদানগুলোকে কম বেশি করে শরীরে ডায়াবেটিস নিয়েও ভালো থাকা যায়। আম খেতে চাইলে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি অন্যান্য শর্করাযুক্ত খাবার কমিয়ে ভারসাম্য তৈরি করা যেতে পারে।
রসালো আম দেখে অনেকেই লোভ সামলাতে পারেন না। এমনকি ডায়াবেটিস থাকলেও সুমিষ্ট এই ফলটির ওপর হামলে পড়েন অনেকে, শরীরে সুগার নিয়ন্ত্রণের তোয়াক্কা করেন না।
উচ্চমাত্রায় সুগার এবং ক্যালরি সমৃদ্ধ আম ডায়াবেটিসের জন্য ক্ষতিকর হবে-এমনটাই স্বাভাবিক। তবে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভালো আঁশ আর প্রাকৃতিক গুনাগুনে ভরপুর এই ফলটি ডায়াবেটিসের জন্য ক্ষতিকর নয় বলেও মনে করেন কেউ কেউ। এ অবস্থায় ডায়বেটিস রোগীরা আম খেতে পারবেন কি-না তা নিয়ে সম্প্রতি মতামত দিয়েছেন একদল ভারতীয় গবেষক।
এ বিষয়ে এনডিটিভি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটিতে 'হিলিং ফুড' নামে গবেষণালব্ধ একটি বইয়ের বরাতে বলা হয়েছে, আমের মধ্যে এক ধরনের এনজাইম রয়েছে, যা শরীরে প্রবেশ করা প্রোটিনকে সহজে ভেঙে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। এ ছাড়া আমেরিকান ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনও এ রোগে আক্রান্তদের খাদ্য তালিকায় আমকে ঠাঁই দিয়েছে। তবে সংগঠনটি এটাও বলেছে যে-চর্বিযুক্ত খাবার, ভাত, গম এবং দুধের মতো অন্যান্য শর্করা জাতীয় খাবারের বিকল্প হিসেবে আম খাওয়া যেতে পারে।
এর মানে কি এই যে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম নিরাপদ? এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগে ভারতীয় গবেষকরা কী বলছেন সে বিষয়ে জানা যাক-
নানাবিধ গুন থাকা সত্ত্বেও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আমকে ক্ষতিকর মনে করা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ভারতীয় ডায়েট বিশেষজ্ঞ লোকেন্দ্র তমার অন্যতম। তিনি বলেন, 'ডায়বেটিস রোগীদের অবশ্যই আম না খাওয়া উচিত।
এ ছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বল্প শর্করাযুক্ত খাবারের বিষয়টিকেও ভালো করে মানা উচিত বলে মনে করেন লোকেন্দ্র। তিনি বলেন, 'প্রতি পাঁচ গ্রাম শর্করা আমাদের রক্তে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত সুগার বাড়িয়ে দিতে পারে। আমে রয়েছে প্রচুর শর্করা। ১০০ গ্রাম আমে ২০ গ্রাম পর্যন্ত শর্করা থাকতে পারে! তাই ব্লাডসুগার বেশি থাকলে অবশ্যই আম খাওয়া পরিহার করা উচিত।'
আশার কথা হলো, ডায়াবেটিস রোগীরা আম খেতে পারবেন এমন অভিমতও দিয়েছেন লোকেন্দ্র। এ ক্ষেত্রে রোগীকে অবশ্যই চাল এবং গম থেকে উৎপন্ন খাবারগুলো বাদ দিতে হবে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস আক্রান্তদের শুধু দিনের বেলায় আম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, বেঙ্গালুরু ভিত্তিক পুষ্টিবিদ ড. আঞ্জু সোদ বলেন, 'আমি কোনোকিছুকেই খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে বলি না। আমে রয়েছে প্রকৃতিক সুগার। আর সুগার হলো ডায়াবেটিসের প্রধান শত্রু। তাই কারো শরীরে যদি সুগারের মাত্রা বেশি থাকে তবে আম খাওয়া থেকে তিনি বিরত থাকতে পারেন। আর সুগারের মাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে পরিমাণ মতো তারা আম খেতে পারেন।'
জাসলিন কাউর নামে আরেক ডায়েট বিশেষজ্ঞ মনে করেন, সীমিত মাত্রায় শর্করা গ্রহণ করে ডায়াবেটিস রোগীরা তাদের ব্লাডসুগার স্বাভাবিক রাখতে পারেন। তাই আম বেশি না খেয়ে স্বল্প মাত্রায় এই ফলটির স্বাদ গ্রহণ করা যেতে পারে।
আম খাওয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সীমারেখা টেনে দিয়েছেন সঞ্জয় কারলা নামে আরেক খাদ্য বিশেষজ্ঞ। তার মতে, ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭৫ গ্রাম আম খেতে পারেন। আর কারও রক্তে সুগার বেশি থাকলে আম-দুধ কিংবা আমের জুস তাদের না খাওয়াই উচিত।
সবশেষে বলা যায়-খাদ্য তালিকা থেকে কোনোকিছু বাদ দেয়াই একমাত্র সমাধান নয়। খাদ্য উপাদানগুলোকে কম বেশি করে শরীরে ডায়াবেটিস নিয়েও ভালো থাকা যায়। আম খেতে চাইলে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি অন্যান্য শর্করাযুক্ত খাবার কমিয়ে ভারসাম্য তৈরি করা যেতে পারে।
অনেকে মনে করি, ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর হলো দীর্ঘদিন খাবার ভালো রাখার নিরাপদ জায়গা। কিন্তু সব খাবার ফ্রিজে ভালো থাকে না। কিছু কিছু খাবার ফ্রিজে রাখলে সেগুলোর গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি ক্ষতিকরও হয়ে উঠতে পারে। আধুনিক জীবনব্যবস্থায় ফ্রিজ অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ, যা আমাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে মিশে গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেকানে পানি ঢুকলে কান পাকে, এ ধারণা ভুল। আগে থেকে যদি কারও মধ্যকর্ণে বা কানের পর্দায় ফুটো থাকে, তাহলে পানি ঢুকলে কান পাকে। যাদের আগে থেকে কান পাকার সমস্যা, তাদের কানে পানি ঢুকলে সমস্যাটি আরও খারাপ পর্যায়ে চলে যেতে পারে। তবে যাদের এ ধরনের সমস্যা নেই, তাদের কানে পানি প্রবেশ করলেও কান পাকার আশঙ্কা নেই...
৪ ঘণ্টা আগেকাজ, পড়াশোনা কিংবা দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন চাপে অনেকের মনে অস্থিরতা কাজ করে। অনেক সময় মন শান্ত রাখা খুব কঠিন। এমনকি দিনের পর দিন কাজের শেষে বিশ্রাম নিলেও মন খারাপ হওয়া থামতে চায় না। জেনে রাখা ভালো মন শান্ত রাখার কিছু সহজ উপায়—
৪ ঘণ্টা আগেশিশুর মনোবল বাড়ানোর জন্য মা-বাবা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মনোবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণা থেকে শিশুর মনোবল বাড়ানোর কিছু কার্যকরী কৌশল খুঁজে পেয়েছেন। এসব কৌশল শিশুর শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করবে।
৫ ঘণ্টা আগে