অনলাইন ডেস্ক
দুই মাসের কম বয়সী শিশুদের সম্ভাব্য গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ (পিএসবিআই) ব্যবস্থাপনার উন্নতির লক্ষ্যে বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশে দুটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়েছে। এর ফলাফলে দেখা গেছে, এই নবজাতকদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার চেয়ে বাড়িতে রেখে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাই ভালো। এতে শিশুদের সংক্রমণের ঝুঁকি কমার পাশাপাশি পরিবারেরও অনেক সুবিধা রয়েছে।
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে গতকাল সোমবার এক অনুষ্ঠানে গবেষণার এ তথ্য তুলে ধরা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রজন্ম গবেষণা ফাউন্ডেশন (পিআরএফ) এই আয়োজন করে। গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন পিআরএফের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. ইফাত আরা জেবিন ও নির্বাহী পরিচালক ডা. সালাহউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সারা বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর ৬০-৭০ শতাংশই ঘটে জন্মের প্রথম দুই মাসের মধ্যে। বাংলাদেশে নবজাতক (জন্মের পর ২৮ দিন পর্যন্ত) মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২০টি।
যার মধ্যে ২০-৪০ শতাংশের মৃত্যুর কারণ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ।
প্রায় ৮-১০ শতাংশ শিশু তাদের প্রথম দুই মাসে অন্তত একটি সম্ভাব্য গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের (পিএসবিসআই) মধ্যে পড়ে।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বর্তমানে ইনজেক্টেবল (শিরায় প্রয়োগ) অ্যান্টিবায়োটিক ও সহায়ক চিকিৎসাসহ হাসপাতাল ভর্তি রেখে তাদের চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করে। তবে এই শিশুর অনেকেরই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নাও থাকতে পারে; বরং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, চিকিৎসায় জটিলতা ও দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করার মতো অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
গবেষকেরা জানান, বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তানজানিয়ায় অ্যান্টিবায়াটিকের প্রয়োগ ধরন নিয়ে দুটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশে এ ট্রায়াল হয়েছে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ জেলা হাসপাতাল ও জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, কম মৃত্যুর ঝুঁকির শিশুদের (শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ কট বা বেশি, বুকের তীব্র শ্বাসকষ্ট, বা প্রতি মিনিটে ৬০ বা বেশিবার শ্বাস নেওয়া) সম্ভাব্য গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসা হাসপাতালের বহির্বিভাগে নিরাপদ ও কার্যকর। একই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি না হওয়ার ফলে তা পরিবারের জন্য সুবিধাজনক। আর মাঝারি মৃত্যুঝুঁকির শিশু (শরীরে তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুধু উদ্দীপিত হলে নড়াচড়া করে, ভালোভাবে না খাওয়া, দুটি বা তার বেশি কম মৃত্যুর ঝুঁকির সংকেত) যারা শিরায় অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করে ৪৮ ঘণ্টার বেশি হাসপাতালে থেকেছে এবং পরে বাড়িতে পাঠিয়ে মুখে ওষুধ চালু করা হয়, তারা বেশি উপকারভোগী।
গবেষকেরা জানান, ট্রায়ালগুলো প্রমাণ করে, প্রথম প্রজন্মের অ্যান্টিবায়োটিকস (যেমন অ্যামোক্সিসিলিন, অ্যাম্পিসিলিন এবং জেনটামাইসিন) দিয়ে শিশুদের সম্ভাব্য গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসা করা যেতে পারে। এতে হাসপাতালে অপ্রয়োজনীয় ভর্তি কমাবে, স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় কমে যাবে এবং হাসপাতালে ভর্তি থাকার ফলে যেসব সংক্রমণের ঝুঁকির সৃষ্টি হয়, তা থাকবে না। ফলে রোগীর পরিবারও ঝুঁকিতে পড়বে না।
বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে পরিচালতি এ গবেষণায় উঠে আসা কৌশলগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন প্রজন্ম রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক চৌধুরী আলী কায়সার।
দুই মাসের কম বয়সী শিশুদের সম্ভাব্য গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ (পিএসবিআই) ব্যবস্থাপনার উন্নতির লক্ষ্যে বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশে দুটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়েছে। এর ফলাফলে দেখা গেছে, এই নবজাতকদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার চেয়ে বাড়িতে রেখে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাই ভালো। এতে শিশুদের সংক্রমণের ঝুঁকি কমার পাশাপাশি পরিবারেরও অনেক সুবিধা রয়েছে।
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে গতকাল সোমবার এক অনুষ্ঠানে গবেষণার এ তথ্য তুলে ধরা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রজন্ম গবেষণা ফাউন্ডেশন (পিআরএফ) এই আয়োজন করে। গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন পিআরএফের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. ইফাত আরা জেবিন ও নির্বাহী পরিচালক ডা. সালাহউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সারা বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর ৬০-৭০ শতাংশই ঘটে জন্মের প্রথম দুই মাসের মধ্যে। বাংলাদেশে নবজাতক (জন্মের পর ২৮ দিন পর্যন্ত) মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২০টি।
যার মধ্যে ২০-৪০ শতাংশের মৃত্যুর কারণ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ।
প্রায় ৮-১০ শতাংশ শিশু তাদের প্রথম দুই মাসে অন্তত একটি সম্ভাব্য গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের (পিএসবিসআই) মধ্যে পড়ে।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বর্তমানে ইনজেক্টেবল (শিরায় প্রয়োগ) অ্যান্টিবায়োটিক ও সহায়ক চিকিৎসাসহ হাসপাতাল ভর্তি রেখে তাদের চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করে। তবে এই শিশুর অনেকেরই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নাও থাকতে পারে; বরং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, চিকিৎসায় জটিলতা ও দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করার মতো অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
গবেষকেরা জানান, বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তানজানিয়ায় অ্যান্টিবায়াটিকের প্রয়োগ ধরন নিয়ে দুটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশে এ ট্রায়াল হয়েছে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ জেলা হাসপাতাল ও জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, কম মৃত্যুর ঝুঁকির শিশুদের (শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ কট বা বেশি, বুকের তীব্র শ্বাসকষ্ট, বা প্রতি মিনিটে ৬০ বা বেশিবার শ্বাস নেওয়া) সম্ভাব্য গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসা হাসপাতালের বহির্বিভাগে নিরাপদ ও কার্যকর। একই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি না হওয়ার ফলে তা পরিবারের জন্য সুবিধাজনক। আর মাঝারি মৃত্যুঝুঁকির শিশু (শরীরে তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুধু উদ্দীপিত হলে নড়াচড়া করে, ভালোভাবে না খাওয়া, দুটি বা তার বেশি কম মৃত্যুর ঝুঁকির সংকেত) যারা শিরায় অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করে ৪৮ ঘণ্টার বেশি হাসপাতালে থেকেছে এবং পরে বাড়িতে পাঠিয়ে মুখে ওষুধ চালু করা হয়, তারা বেশি উপকারভোগী।
গবেষকেরা জানান, ট্রায়ালগুলো প্রমাণ করে, প্রথম প্রজন্মের অ্যান্টিবায়োটিকস (যেমন অ্যামোক্সিসিলিন, অ্যাম্পিসিলিন এবং জেনটামাইসিন) দিয়ে শিশুদের সম্ভাব্য গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসা করা যেতে পারে। এতে হাসপাতালে অপ্রয়োজনীয় ভর্তি কমাবে, স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় কমে যাবে এবং হাসপাতালে ভর্তি থাকার ফলে যেসব সংক্রমণের ঝুঁকির সৃষ্টি হয়, তা থাকবে না। ফলে রোগীর পরিবারও ঝুঁকিতে পড়বে না।
বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে পরিচালতি এ গবেষণায় উঠে আসা কৌশলগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন প্রজন্ম রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক চৌধুরী আলী কায়সার।
নানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
১ ঘণ্টা আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
২ ঘণ্টা আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
২ ঘণ্টা আগেশরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলা হয়। জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে