মো. ইকবাল হোসেন
পরিপাক হচ্ছে একটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া। খাবার মুখের মধ্যে প্রবেশের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরিপাকের চূড়ান্ত পর্যায় হলো কোলন।প্রোটিন পরিপাক শুরু হয় পাকস্থলী থেকে আর শেষ হয় বৃহদন্ত্রে। প্রোটিন পরিপাকে প্রধান উপাদান এনজাইম, পাকস্থলী-নিঃসৃত পেপসিন, অগ্ন্যাশয়-নিঃসৃত ট্রিপসিন ও কাইমোট্রিপসিন। এনজাইমগুলো পর্যায়ক্রমে বড় প্রোটিনগুলোকে ভেঙে পলিপেপটাইড, ডাইপেপটাইড এবং সর্বশেষ অ্যামিনো অ্যাসিডে পরিণত করে।
শর্করার পরিপাক শুরু হয় মুখ থেকে। এগুলো পর্যায়ক্রমে এমাইলেজ, মল্টেজ, আইসোমল্টেজসহ বিভিন্ন এনজাইমের মাধ্যমে ভেঙে সরল শর্করা বা গ্লুকোজে পরিণত হয়।
স্নেহজাতীয় খাবার পরিপাকের জন্য অগ্ন্যাশয় রসে লাইপেজ, লেসিথিনেজ ইত্যাদি এবং পিত্তরসের প্রয়োজন হয়। এ এনজাইমগুলো লিপিডজাতীয় খাদ্যে পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিণত করে।
শরীরের চাহিদার বেশি প্রোটিন, শর্করা ও চর্বিজাতীয় খাবার খেলে এবং ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ শাকসবজি কম খেলে পরিপাকতন্ত্র ও কিডনির ওপর বেশি চাপ পড়ে। ফলে অনেকের বিভিন্ন রকমের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন অ্যাসিডিটি বা কোষ্ঠকাঠিন্য বেড়ে যেতে পারে, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে ইত্যাদি। এ অবস্থায় খাবার বাছাইয়ে খুব সাবধান হতে হয়। যেন পরিপাকতন্ত্রের ওপরের অতিরিক্ত কাজের চাপের প্রভাব প্রশমিত হয়। পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখতে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা ভালো। তাতে এটি সুস্থ থাকবে।
যা করবেন
পরামর্শ দিয়েছেন: জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
পরিপাক হচ্ছে একটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া। খাবার মুখের মধ্যে প্রবেশের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরিপাকের চূড়ান্ত পর্যায় হলো কোলন।প্রোটিন পরিপাক শুরু হয় পাকস্থলী থেকে আর শেষ হয় বৃহদন্ত্রে। প্রোটিন পরিপাকে প্রধান উপাদান এনজাইম, পাকস্থলী-নিঃসৃত পেপসিন, অগ্ন্যাশয়-নিঃসৃত ট্রিপসিন ও কাইমোট্রিপসিন। এনজাইমগুলো পর্যায়ক্রমে বড় প্রোটিনগুলোকে ভেঙে পলিপেপটাইড, ডাইপেপটাইড এবং সর্বশেষ অ্যামিনো অ্যাসিডে পরিণত করে।
শর্করার পরিপাক শুরু হয় মুখ থেকে। এগুলো পর্যায়ক্রমে এমাইলেজ, মল্টেজ, আইসোমল্টেজসহ বিভিন্ন এনজাইমের মাধ্যমে ভেঙে সরল শর্করা বা গ্লুকোজে পরিণত হয়।
স্নেহজাতীয় খাবার পরিপাকের জন্য অগ্ন্যাশয় রসে লাইপেজ, লেসিথিনেজ ইত্যাদি এবং পিত্তরসের প্রয়োজন হয়। এ এনজাইমগুলো লিপিডজাতীয় খাদ্যে পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিণত করে।
শরীরের চাহিদার বেশি প্রোটিন, শর্করা ও চর্বিজাতীয় খাবার খেলে এবং ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ শাকসবজি কম খেলে পরিপাকতন্ত্র ও কিডনির ওপর বেশি চাপ পড়ে। ফলে অনেকের বিভিন্ন রকমের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন অ্যাসিডিটি বা কোষ্ঠকাঠিন্য বেড়ে যেতে পারে, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে ইত্যাদি। এ অবস্থায় খাবার বাছাইয়ে খুব সাবধান হতে হয়। যেন পরিপাকতন্ত্রের ওপরের অতিরিক্ত কাজের চাপের প্রভাব প্রশমিত হয়। পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখতে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা ভালো। তাতে এটি সুস্থ থাকবে।
যা করবেন
পরামর্শ দিয়েছেন: জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
দীর্ঘদিন ধরে নারীদেহের এক প্রত্যঙ্গকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করা হতো। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, এই প্রত্যঙ্গটিই নারীর ডিম্বাশয়ের বিকাশ ও প্রজনন ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩ ঘণ্টা আগেনানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
২ দিন আগেঅফিসে বারবার ঘুম পেলে তা কাজের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। ডেডলাইন মিস করা, কাজ জমে যাওয়া, এমনকি চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ঘুমের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা জরুরি। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে কাজের সময় ঘুম পাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
২ দিন আগেবাতরোগ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের সমস্যা বলে বিবেচিত। কিন্তু শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় অভিভাবকেরা ভাবেন, এই বয়সে এমন ব্যথা বা অস্বস্তি সাময়িক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, অনেক শিশু দীর্ঘস্থায়ী বাতরোগে ভোগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগকে বলা হয় জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রারাইটিস...
২ দিন আগে