ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
কক্সবাজারের সুগন্ধা সৈকত এখন থেকে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’— এর সমজাতীয় কিছু শিরোনামে গতকাল সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনগুলো ফটোকার্ড আকারে সংবাদ মাধ্যমগুলোর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের অ্যাকাউন্টেও প্রচার হতে দেখা গেছে। এসব ফটোকার্ড ও প্রতিবেদন সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও নিজেদের অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে, কক্সবাজারের দুই সমুদ্র সৈকতের নাম ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ করা হয়েছে। সুগন্ধার নাম ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ এবং সুগন্ধা ও কলাতলী সৈকতের মাঝখানের খালি জায়গার ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ নামকরণ করা হয়। প্রতিবেদনগুলোতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. সাহেব উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি চিঠির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে চিঠিটি খুঁজে পাওয়া যায়। চিঠিটির প্রকাশকাল দেওয়া আছে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি)।
চিঠিটিতে লেখা আছে, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নামে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সুগন্ধা বিচকে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সুগন্ধা বিচ ও কলাতলী বিচ এর মাঝখানের খালি জায়গায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ নামকরণে একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
চিঠিটি সূত্রে জানা যায়, বিচের নামকরণের এই আবেদন করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়া।
এই চিঠি অনুযায়ী বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সুগন্ধা বিচকে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সুগন্ধা বিচ ও কলাতলী বিচ এর মাঝখানের খালি জায়গায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ নামকরণের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেছে।
চিঠির কোথাও নামকরণের চূড়ান্ত নির্দেশনার বিষয় না থাকলেও কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা বিচকে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সুগন্ধা বিচ ও কলাতলী বিচের মাঝখানের খালি জায়গা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ নামকরণ করা হয়েছে।
পরে চিঠিটি সম্পর্কে জানতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. সাহেব উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠকের একটা সিদ্ধান্ত আছে, দেশের বিভিন্ন রাস্তাঘাট মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে নামকরণের বিষয়ে। এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কেউ কোনো স্থানের নাম মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণের বিষয়ে কেউ আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা সেটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাই এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তারপর তারা যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন পাঠায়। এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
কক্সবাজারের বিচের নামকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার বিচের নামকরণের বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, নাম পরিবর্তন করা হয়নি।’
একই প্রসঙ্গে জানতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ শাহীন ইমরান আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগকে বলেন, ‘কক্সবাজারের বিচের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে। এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
অর্থাৎ কক্সবাজারের দুই সমুদ্র সৈকতের নাম এখনো ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এমন একটি প্রস্তাব কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হলেও সেটি চূড়ান্ত হয়নি।
কক্সবাজারের সুগন্ধা সৈকত এখন থেকে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’— এর সমজাতীয় কিছু শিরোনামে গতকাল সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনগুলো ফটোকার্ড আকারে সংবাদ মাধ্যমগুলোর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের অ্যাকাউন্টেও প্রচার হতে দেখা গেছে। এসব ফটোকার্ড ও প্রতিবেদন সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও নিজেদের অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে, কক্সবাজারের দুই সমুদ্র সৈকতের নাম ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ করা হয়েছে। সুগন্ধার নাম ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ এবং সুগন্ধা ও কলাতলী সৈকতের মাঝখানের খালি জায়গার ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ নামকরণ করা হয়। প্রতিবেদনগুলোতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. সাহেব উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি চিঠির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে চিঠিটি খুঁজে পাওয়া যায়। চিঠিটির প্রকাশকাল দেওয়া আছে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি)।
চিঠিটিতে লেখা আছে, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নামে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সুগন্ধা বিচকে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সুগন্ধা বিচ ও কলাতলী বিচ এর মাঝখানের খালি জায়গায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ নামকরণে একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
চিঠিটি সূত্রে জানা যায়, বিচের নামকরণের এই আবেদন করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়া।
এই চিঠি অনুযায়ী বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সুগন্ধা বিচকে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সুগন্ধা বিচ ও কলাতলী বিচ এর মাঝখানের খালি জায়গায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ নামকরণের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেছে।
চিঠির কোথাও নামকরণের চূড়ান্ত নির্দেশনার বিষয় না থাকলেও কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা বিচকে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সুগন্ধা বিচ ও কলাতলী বিচের মাঝখানের খালি জায়গা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ নামকরণ করা হয়েছে।
পরে চিঠিটি সম্পর্কে জানতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. সাহেব উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠকের একটা সিদ্ধান্ত আছে, দেশের বিভিন্ন রাস্তাঘাট মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে নামকরণের বিষয়ে। এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কেউ কোনো স্থানের নাম মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণের বিষয়ে কেউ আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা সেটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাই এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তারপর তারা যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন পাঠায়। এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
কক্সবাজারের বিচের নামকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার বিচের নামকরণের বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, নাম পরিবর্তন করা হয়নি।’
একই প্রসঙ্গে জানতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ শাহীন ইমরান আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগকে বলেন, ‘কক্সবাজারের বিচের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে। এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
অর্থাৎ কক্সবাজারের দুই সমুদ্র সৈকতের নাম এখনো ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এমন একটি প্রস্তাব কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হলেও সেটি চূড়ান্ত হয়নি।
ভারতে তিনি প্রথমবার প্রকাশ্যে আসার দাবিতে এর আগে একাধিক ভিডিও ছড়ালে সেগুলো শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। এরই মধ্যে ভারত থেকে শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন—এমন দাবিতে আরও একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
২ দিন আগেসামরিক পোশাক পরা এবং সাধারণ পোশাক পরা লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি চলছে। এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে।
৩ দিন আগেছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এর পর থেকে মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে নানা তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তেমনি একটি তথ্য...
৩ দিন আগেকক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, ভিডিওতে থাকা তরুণী পর্যটক ছিলেন। তাঁর গাড়ি থামিয়ে ছিনতাই...
৪ দিন আগে