ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হচ্ছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওতে একজন যুবককে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় একজন নারীকে হাতে বেঁধে মারধর করছে এবং কিছু মানুষকে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে।
‘Mizan Uddin’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘এই সংস্কার গুলো যেন মনে থাকে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভিডিওটি ৪ লাখ ৯৪ হাজারবারের বেশি দেখা হয়েছে এবং রিঅ্যাকশন পড়েছে ১ হাজার। পোস্টে ২১০টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ২৯৯। এসব কমেন্টে ভিডিওটি ভারতের ঘটনার বলে কেউ কেউ কমেন্ট করেছেন। আবার অনেকে বাংলাদেশের ঘটনা লিখেও কমেন্ট করেছেন। Ali Mullah লিখেছে, ‘দেশে কি কোন আইন নাই।’ (বানান অপরিবর্তিত) Shamimul Kamal Rumon লিখেছে, ‘দেশে সংস্কার চলছে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
KA ZI নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত বুধবার ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘যখন দেশ পাকিস্তানের দালালদের হাতে চলে যায় তখন দেশের এই অবস্থাই হবে। আপনারা বাস্তবটা ভিডিওতেই দেখেন।’
Rahul Roy নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত বুধবার দিবাগত রাতে ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের আইন বর্তমানে কতটা নিরুপায় দেখুন।’ (বানান অপরিবর্তিত)
এসব পোস্টের কোনোটিতেই তথ্যসূত্র বা স্থানের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এমন ঘটনার বর্ণনাও কোনো পোস্টে দেওয়া হয়নি।
ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানে ২০১৮ সালের ২৩ মার্চ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ছবিটি পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে থাকা ছবির সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর দৃশ্যের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেই সময় ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বুলন্দশহরে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অপরাধে গ্রাম্য সালিসের রায়ে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে ১০০ বার বেত্রাঘাত করেন। এই ঘটনাটি সেই সময় ওই এলাকার লোকজন দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। মারধরে নারীটি গুরুতর আহত হন। পরে তিনি ও তাঁর স্বামী, সেই গ্রামের একজন সাবেক গ্রামপ্রধান এবং গ্রামের পাঁচজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
একই তথ্যসূত্রে গুগলে সার্চ করে ২০১৮ সালের ২২ মার্চ হিন্দুস্তান টাইমস এবং ২৩ মার্চ টাইমসনাও নিউজ ও ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে একই ছবিসহ তথ্য পাওয়া যায়।
সুতরাং, বাংলাদেশে নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর— দাবিতে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ভারতের। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৮ সালের মার্চে ভারতের উত্তর প্রদেশে গ্রাম্য সালিসে এক ব্যক্তিকে তাঁর স্ত্রীকে ১০০ বেত্রাঘাত করতে বাধ্য করার ভিডিও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ঘটনা দাবিতে ছড়ানো হয়েছে।
নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হচ্ছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওতে একজন যুবককে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় একজন নারীকে হাতে বেঁধে মারধর করছে এবং কিছু মানুষকে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে।
‘Mizan Uddin’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘এই সংস্কার গুলো যেন মনে থাকে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভিডিওটি ৪ লাখ ৯৪ হাজারবারের বেশি দেখা হয়েছে এবং রিঅ্যাকশন পড়েছে ১ হাজার। পোস্টে ২১০টি কমেন্ট পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ২৯৯। এসব কমেন্টে ভিডিওটি ভারতের ঘটনার বলে কেউ কেউ কমেন্ট করেছেন। আবার অনেকে বাংলাদেশের ঘটনা লিখেও কমেন্ট করেছেন। Ali Mullah লিখেছে, ‘দেশে কি কোন আইন নাই।’ (বানান অপরিবর্তিত) Shamimul Kamal Rumon লিখেছে, ‘দেশে সংস্কার চলছে।’ (বানান অপরিবর্তিত)
KA ZI নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত বুধবার ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘যখন দেশ পাকিস্তানের দালালদের হাতে চলে যায় তখন দেশের এই অবস্থাই হবে। আপনারা বাস্তবটা ভিডিওতেই দেখেন।’
Rahul Roy নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত বুধবার দিবাগত রাতে ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের আইন বর্তমানে কতটা নিরুপায় দেখুন।’ (বানান অপরিবর্তিত)
এসব পোস্টের কোনোটিতেই তথ্যসূত্র বা স্থানের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এমন ঘটনার বর্ণনাও কোনো পোস্টে দেওয়া হয়নি।
ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানে ২০১৮ সালের ২৩ মার্চ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ছবিটি পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে থাকা ছবির সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর দৃশ্যের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেই সময় ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বুলন্দশহরে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অপরাধে গ্রাম্য সালিসের রায়ে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে ১০০ বার বেত্রাঘাত করেন। এই ঘটনাটি সেই সময় ওই এলাকার লোকজন দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। মারধরে নারীটি গুরুতর আহত হন। পরে তিনি ও তাঁর স্বামী, সেই গ্রামের একজন সাবেক গ্রামপ্রধান এবং গ্রামের পাঁচজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
একই তথ্যসূত্রে গুগলে সার্চ করে ২০১৮ সালের ২২ মার্চ হিন্দুস্তান টাইমস এবং ২৩ মার্চ টাইমসনাও নিউজ ও ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে একই ছবিসহ তথ্য পাওয়া যায়।
সুতরাং, বাংলাদেশে নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর— দাবিতে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ভারতের। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৮ সালের মার্চে ভারতের উত্তর প্রদেশে গ্রাম্য সালিসে এক ব্যক্তিকে তাঁর স্ত্রীকে ১০০ বেত্রাঘাত করতে বাধ্য করার ভিডিও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ঘটনা দাবিতে ছড়ানো হয়েছে।
কাছ থেকে টিভি দেখলে চোখের ক্ষতি হয় বলে ধারণা প্রচলিত আছে। এই কারণে বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানকে টেলিভিশনের খুব কাছাকাছি বসে দেখতে দেন না। কিন্তু এই ধারণার কি বাস্তব ভিত্তি আছে? এ বিষয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলে তা জানার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ
১১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাকির টাকা চাওয়ায় চায়ের দোকানিকে ছাত্রদল নেতা ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
২ দিন আগেআওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর সম্প্রতি দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ভারতে প্রথমবার দেখা গেছে—এমন দাবিতে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে একটি হাসপাতাল সদৃশ ভবনের সামনে ওবায়দুল কাদেরকে মুখ ঢাকা অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
২ দিন আগেদেশে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ ‘লাঠিচার্জ’ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে পুলিশকে রাস্তায় একদল বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায় এবং লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীদের আটকাতে দেখা যায়।
৩ দিন আগে