আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গত বছরের ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তবর্তী সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছিলেন অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলাম। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক আতিক মুর্শেদকে পিএ (ব্যক্তিগত সহকারী) নিয়োগ করেছিলেন। কালের বিবর্তনে নাহিদ নতুন গড়ে ওঠা দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দল গঠন করেন। কিন্তু আতিক মুর্শেদ এখনও ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে আছেন; দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে কাজ করছেন। আতিক মুর্শেদের বিরুদ্ধে অর্থ বেহাতের অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা চলছে বেশ কয়েকদিন ধরে। নাহিদ উপদেষ্টা থাকার সময় ঘনিষ্ঠদের ঘিরেই নগদে সিন্ডিকেট তৈরি হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। নাহিদ কোনো দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এছাড়া আতিক মুর্শেদের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে নগদে তাঁর স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ আতিক মুর্শেদ অস্বীকার করলেও ‘স্বার্থের সংঘাত’ হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। কয়েকদিন ধরে এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জাকিয়া সুলতানা জুই ২০২৫ সালের ২০ মে নগদ লিমিটেডে ‘ম্যানেজার–কমপ্লায়েন্স’ পদে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পেয়েছেন এবং তার দায়িত্ব ‘লিগ্যাল ও কমপ্লায়েন্স’ বিভাগে সংযুক্ত রয়েছে। ৩ মাসের প্রবেশন পিরিয়ড ধরে চুক্তিতে তাঁর সর্বমোট মাসিক বেতন ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ধরা হয়েছে।
পিএ আতিক মুর্শেদের যোগ্যতা ও দায়িত্বের পরিসর এবং তাঁর স্ত্রীকে নগদের ‘ম্যানেজার-কমপ্লায়েন্স’ পদে নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা। তাঁরা জানতে চাচ্ছেন, এই নিয়োগ প্রতিযোগিতাভিত্তিক ছিল কিনা, অন্য প্রার্থীরা কারা ছিলেন? এটি যদি অভ্যন্তরীণ নিয়োগ হয়ে থাকলেও সাক্ষাৎকারের জন্য ন্যূনতম কিছু উপযুক্ত প্রার্থী ছিল কীনা।
এহসানুল হক নিটোল নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জাকিয়া সুলতানা জুই-এর নিয়োগ কী প্রকৃত যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছে, না কি হয়নি— এই প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব দরকার। যদি যোগ্যতার ভিত্তিতে না হয়ে থাকে, তাহলে এটি কী স্বার্থের সংঘাত (conflict of interest) নয়, যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ইঙ্গিত দেয়?’
এ বিষয়ে নিজের ফেসবুক পেইজে আতিক মুর্শেদ লিখেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ, আমি আমার ওয়াইফকে নগদের একটি পদে বসিয়েছি। আমার বক্তব্য হলো— আমার ওয়াইফ স্বীয় মেধা এবং যোগ্যতায় নগদে আবেদন করেছেন। নগদ কর্তৃপক্ষ তার পূর্বের অভিজ্ঞতা, মেধা এবং যোগ্যতার মানদণ্ড অনুসরণ করে তাকে সেখানে শর্তসাপেক্ষে অস্থায়ী চাকুরী দিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘উল্লেখ্য, আমার ওয়াইফ ইতোপূর্বে গুলশানে একটি স্বনামধন্য ল ফার্মে ৩ বছর যাবৎ কর্পোরেট ল ইয়ার হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর একাডেমিক রেজাল্টও কর্পোরেট কোম্পানিগুলোতে ফাইট দেওয়ার মতো। তিনি তার নিজের যোগ্যতাতেই সেখানে চাকরি করছেন। যদিও এটা কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট।’
আরও খবর পড়ুন:
গত বছরের ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তবর্তী সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছিলেন অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলাম। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক আতিক মুর্শেদকে পিএ (ব্যক্তিগত সহকারী) নিয়োগ করেছিলেন। কালের বিবর্তনে নাহিদ নতুন গড়ে ওঠা দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দল গঠন করেন। কিন্তু আতিক মুর্শেদ এখনও ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে আছেন; দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে কাজ করছেন। আতিক মুর্শেদের বিরুদ্ধে অর্থ বেহাতের অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা চলছে বেশ কয়েকদিন ধরে। নাহিদ উপদেষ্টা থাকার সময় ঘনিষ্ঠদের ঘিরেই নগদে সিন্ডিকেট তৈরি হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। নাহিদ কোনো দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এছাড়া আতিক মুর্শেদের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে নগদে তাঁর স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ আতিক মুর্শেদ অস্বীকার করলেও ‘স্বার্থের সংঘাত’ হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। কয়েকদিন ধরে এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জাকিয়া সুলতানা জুই ২০২৫ সালের ২০ মে নগদ লিমিটেডে ‘ম্যানেজার–কমপ্লায়েন্স’ পদে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পেয়েছেন এবং তার দায়িত্ব ‘লিগ্যাল ও কমপ্লায়েন্স’ বিভাগে সংযুক্ত রয়েছে। ৩ মাসের প্রবেশন পিরিয়ড ধরে চুক্তিতে তাঁর সর্বমোট মাসিক বেতন ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ধরা হয়েছে।
পিএ আতিক মুর্শেদের যোগ্যতা ও দায়িত্বের পরিসর এবং তাঁর স্ত্রীকে নগদের ‘ম্যানেজার-কমপ্লায়েন্স’ পদে নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা। তাঁরা জানতে চাচ্ছেন, এই নিয়োগ প্রতিযোগিতাভিত্তিক ছিল কিনা, অন্য প্রার্থীরা কারা ছিলেন? এটি যদি অভ্যন্তরীণ নিয়োগ হয়ে থাকলেও সাক্ষাৎকারের জন্য ন্যূনতম কিছু উপযুক্ত প্রার্থী ছিল কীনা।
এহসানুল হক নিটোল নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘জাকিয়া সুলতানা জুই-এর নিয়োগ কী প্রকৃত যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছে, না কি হয়নি— এই প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব দরকার। যদি যোগ্যতার ভিত্তিতে না হয়ে থাকে, তাহলে এটি কী স্বার্থের সংঘাত (conflict of interest) নয়, যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ইঙ্গিত দেয়?’
এ বিষয়ে নিজের ফেসবুক পেইজে আতিক মুর্শেদ লিখেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ, আমি আমার ওয়াইফকে নগদের একটি পদে বসিয়েছি। আমার বক্তব্য হলো— আমার ওয়াইফ স্বীয় মেধা এবং যোগ্যতায় নগদে আবেদন করেছেন। নগদ কর্তৃপক্ষ তার পূর্বের অভিজ্ঞতা, মেধা এবং যোগ্যতার মানদণ্ড অনুসরণ করে তাকে সেখানে শর্তসাপেক্ষে অস্থায়ী চাকুরী দিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘উল্লেখ্য, আমার ওয়াইফ ইতোপূর্বে গুলশানে একটি স্বনামধন্য ল ফার্মে ৩ বছর যাবৎ কর্পোরেট ল ইয়ার হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর একাডেমিক রেজাল্টও কর্পোরেট কোম্পানিগুলোতে ফাইট দেওয়ার মতো। তিনি তার নিজের যোগ্যতাতেই সেখানে চাকরি করছেন। যদিও এটা কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট।’
আরও খবর পড়ুন:
রাষ্ট্র সংস্কারে মতামত নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তত্ত্বাবধানে প্রথম ধাপে প্রায় দুই মাস ধরে ৩৩ দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। এতে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য ও আংশিক ঐকমত্য হলেও কমিশনের মৌলিক কিছু প্রস্তাব এবং গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ইস্যুতে একমত
৫ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন করা হতে পারে বলে আন্দোলনরত কর্মচারী নেতাদের আভাস দিয়েছেন সরকারের দুজন উপদেষ্টা। চাকরি অধ্যাদেশ নিয়ে কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেশিল্প ও রেলপথ মন্ত্রণালয়কে সচিবালয়ের ভেতরে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সচিবালয়ের একটি ভবনের দুটি তলা এ দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় দুটির কর্মকর্তারা বলছেন, পুরো মন্ত্রণালয় এক স্থানে থাকলে কাজের গতি থাকবে। আংশিক গেলে কাজে বিঘ্ন ঘটবে।
৫ ঘণ্টা আগেকয়েক দিনের টানা বর্ষণ এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। সিলেট বিভাগের চার জেলা, তিন পার্বত্য জেলা, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লালমনিরহাটে পানি বাড়ছে।
৭ ঘণ্টা আগে