ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
‘বন্যার পানি ঘর ভাঙিয়া ভাসাইয়া নিছেগি। বউ-বাচ্চা নিয়া এখনো ঘরও যাইতাম পাররাম না। আরেকজনের বাড়িত চাইয়া তাখরাম। অন্ধ মানুষ, কাম-কাজ নাই। ঘর ঠিক করমু ক্যামনে! সরকারি সাহায্য-টাহায্যও পাই নাই।’ এভাবেই নিজের দুর্দশার কথা বলেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর রাধানগর গ্রামের কন্টু দাস।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কন্টু আরও বলেন, ভিক্ষা করে পরিবারের সদস্যদের মুখে অন্ন জোগাতেন। তাঁর এক ছেলে স্কুলে পড়াশোনা করে। মোটামুটি ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। কিন্তু স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সব তছনছ হয়ে গেছে। এখন রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত। চারদিকে থইথই পানি। এলাকার মানুষেরা বিপদগ্রস্ত। ভিক্ষাও তেমন মিলছে না।
স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে তিনি আছেন স্থানীয় বালুচর এলাকার একটি কলোনিতে। শুধু কন্টু দাসই নন, এ অবস্থা সিলেট ও সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৭৫ হাজার পরিবারের সদস্যদের। বন্যার পানি কমায় আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে যাওয়া মানুষেরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। তাঁদের বাড়িঘর বিধ্বস্ত। বসবাসের উপযোগী নয়। তাই নিজ নিজ ভিটায় ফিরেও মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেকে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার শাখাইতি গ্রামের রফিক মিয়া বলেন, ‘নয়া ঘর বানাইছি। বন্যার পানি ঘর ভাসাইয়া নিছেগি। বেড়ার একটা টিনও নাই। চাচার ভাঙা ঘরে ছিলাম ১৫ দিন। এখন ঘরের চারদিকে ত্রিপল টাঙায়া ছেলে-মেয়ে নিয়া আছি। রাইত অইলে সাপ-বিচ্ছুর ভয়ে সজাগ থাকি। কাম-কাজ নাই। ঘর ঠিক করমু ক্যামনে! সরকারি সহায়তা পাই নাই।’
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যায় ৮৪ হাজার ৮৭১টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব ঘরবাড়ি মেরামতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ঘরপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে ১০ হাজার পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। আরও ৭৪ কোটি ৮৭ লাখ ১০ হাজার টাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া ২০ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন ও ৬০ লাখ টাকা করে দুই জেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘরপ্রতি ২ বান্ডিল ঢেউটিন ও ৬ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। বাকিদের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাঁদেরও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তারা। স্মরণকালের এ ভয়াবহ বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জে প্রায় ৫৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সচেতন মহল মনে করছে, সরকারি পর্যায় থেকে যে ত্রাণ সহায়তা এসেছে, তা খুবই অপ্রতুল।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ত্রাণ সহায়তার এই পরিমাণ দেখে আমরা হতবাক। এটা একেবারেই অপ্রতুল সহায়তা।’ তিনি বলেন, ‘কেউ ঘরে আর কেউ বাইরে থাকবে, এটা অমানবিক। ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে সমানভাবে সহায়তা করা হোক। অন্তত বউ-বাচ্চা নিয়ে যেন মানুষগুলোর খোলা আকাশের নিচে থাকতে না হয়। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, ত্রাণ সহায়তা বাড়ানো হোক। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসনে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের ১০ কোটি টাকা ২ জেলার ১০ হাজার পরিবারের মধ্যে ১০ হাজার টাকা করে বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত সবার তালিকা করে সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠিয়েছি। আশা করি, সরকার দ্রুত বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে এবং খুব শিগগিরই বরাদ্দ আসবে। তবে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।’
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সিলেট জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৩টি পরিবারের ২৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৩ জন মানুষ। গত শনিবার পর্যন্ত ২১৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন ১০ হাজার ৮১০ জন। অন্যরা বাড়ি ফিরে গেছেন। বেশির ভাগ মানুষের বাড়িঘর হয়তো পানিতে ভেসে গেছে, নতুবা বিধ্বস্ত হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। যাদের কাঁচা ঘর এখনো দাঁড়িয়ে আছে, সেগুলোর অবস্থাও নড়বড়ে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মজিবর রহমান সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো জেলার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণ তৎপরতা সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেছেন। তবে বন্যা পুরোপুরি কমে গেলে চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশন ছাড়া জেলার ১৩টি উপজেলা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪০ হাজার ৯১টি কাঁচা ঘরবাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ তালিকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সিলেট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে চিঠি লিখেছি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে পর্যায়ক্রমে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।’
এ ছাড়া সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৭৮০টি। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৭টি। আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৪০ হাজার ৫৪১টির। জেলার লোকসংখ্যা ৩০ লাখ। এর মধ্যে ২৭ লাখ মানুষই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুনামগঞ্জের ডিসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো জেলার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণ তৎপরতা সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেছেন। সুনামগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বরাদ্দ পেলে সবাইকে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে।’
‘বন্যার পানি ঘর ভাঙিয়া ভাসাইয়া নিছেগি। বউ-বাচ্চা নিয়া এখনো ঘরও যাইতাম পাররাম না। আরেকজনের বাড়িত চাইয়া তাখরাম। অন্ধ মানুষ, কাম-কাজ নাই। ঘর ঠিক করমু ক্যামনে! সরকারি সাহায্য-টাহায্যও পাই নাই।’ এভাবেই নিজের দুর্দশার কথা বলেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর রাধানগর গ্রামের কন্টু দাস।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কন্টু আরও বলেন, ভিক্ষা করে পরিবারের সদস্যদের মুখে অন্ন জোগাতেন। তাঁর এক ছেলে স্কুলে পড়াশোনা করে। মোটামুটি ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। কিন্তু স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সব তছনছ হয়ে গেছে। এখন রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত। চারদিকে থইথই পানি। এলাকার মানুষেরা বিপদগ্রস্ত। ভিক্ষাও তেমন মিলছে না।
স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে তিনি আছেন স্থানীয় বালুচর এলাকার একটি কলোনিতে। শুধু কন্টু দাসই নন, এ অবস্থা সিলেট ও সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৭৫ হাজার পরিবারের সদস্যদের। বন্যার পানি কমায় আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে যাওয়া মানুষেরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। তাঁদের বাড়িঘর বিধ্বস্ত। বসবাসের উপযোগী নয়। তাই নিজ নিজ ভিটায় ফিরেও মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেকে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার শাখাইতি গ্রামের রফিক মিয়া বলেন, ‘নয়া ঘর বানাইছি। বন্যার পানি ঘর ভাসাইয়া নিছেগি। বেড়ার একটা টিনও নাই। চাচার ভাঙা ঘরে ছিলাম ১৫ দিন। এখন ঘরের চারদিকে ত্রিপল টাঙায়া ছেলে-মেয়ে নিয়া আছি। রাইত অইলে সাপ-বিচ্ছুর ভয়ে সজাগ থাকি। কাম-কাজ নাই। ঘর ঠিক করমু ক্যামনে! সরকারি সহায়তা পাই নাই।’
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যায় ৮৪ হাজার ৮৭১টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব ঘরবাড়ি মেরামতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ঘরপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে ১০ হাজার পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। আরও ৭৪ কোটি ৮৭ লাখ ১০ হাজার টাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া ২০ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন ও ৬০ লাখ টাকা করে দুই জেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘরপ্রতি ২ বান্ডিল ঢেউটিন ও ৬ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। বাকিদের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাঁদেরও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তারা। স্মরণকালের এ ভয়াবহ বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জে প্রায় ৫৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সচেতন মহল মনে করছে, সরকারি পর্যায় থেকে যে ত্রাণ সহায়তা এসেছে, তা খুবই অপ্রতুল।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ত্রাণ সহায়তার এই পরিমাণ দেখে আমরা হতবাক। এটা একেবারেই অপ্রতুল সহায়তা।’ তিনি বলেন, ‘কেউ ঘরে আর কেউ বাইরে থাকবে, এটা অমানবিক। ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে সমানভাবে সহায়তা করা হোক। অন্তত বউ-বাচ্চা নিয়ে যেন মানুষগুলোর খোলা আকাশের নিচে থাকতে না হয়। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, ত্রাণ সহায়তা বাড়ানো হোক। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসনে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের ১০ কোটি টাকা ২ জেলার ১০ হাজার পরিবারের মধ্যে ১০ হাজার টাকা করে বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত সবার তালিকা করে সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠিয়েছি। আশা করি, সরকার দ্রুত বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে এবং খুব শিগগিরই বরাদ্দ আসবে। তবে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।’
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সিলেট জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৩টি পরিবারের ২৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৩ জন মানুষ। গত শনিবার পর্যন্ত ২১৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন ১০ হাজার ৮১০ জন। অন্যরা বাড়ি ফিরে গেছেন। বেশির ভাগ মানুষের বাড়িঘর হয়তো পানিতে ভেসে গেছে, নতুবা বিধ্বস্ত হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। যাদের কাঁচা ঘর এখনো দাঁড়িয়ে আছে, সেগুলোর অবস্থাও নড়বড়ে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মজিবর রহমান সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো জেলার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণ তৎপরতা সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেছেন। তবে বন্যা পুরোপুরি কমে গেলে চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশন ছাড়া জেলার ১৩টি উপজেলা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪০ হাজার ৯১টি কাঁচা ঘরবাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ তালিকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সিলেট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে চিঠি লিখেছি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে পর্যায়ক্রমে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।’
এ ছাড়া সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৭৮০টি। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৭টি। আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৪০ হাজার ৫৪১টির। জেলার লোকসংখ্যা ৩০ লাখ। এর মধ্যে ২৭ লাখ মানুষই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুনামগঞ্জের ডিসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো জেলার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণ তৎপরতা সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেছেন। সুনামগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বরাদ্দ পেলে সবাইকে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪