Ajker Patrika

শীতের সবজিতে বর্ণিল খেত

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ২০
শীতের সবজিতে বর্ণিল খেত

শীত এসে কড়া নাড়ছে দরজায়। আর এই সময়টা মূলত শীতকালীন সবজি চাষের সঠিক সময়। তাই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেক কৃষকের খেত লাল-সবুজের রূপ নিয়েছে।

শীতের শুরুতে এলাকার চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আশপাশের এলাকাগুলোতেও বিভিন্ন জাতের সবজি পাঠান সিদ্ধিরগঞ্জের কৃষকেরা। সেই লক্ষ্যে প্রতিদিন ভোরে কোদাল, বালতি, স্প্রে মেশিন নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। বিকেল অবধি মাঠে থেকে চারার গোড়ায় পানি ঢেলে সবাই বাড়ি ফিরছেন। তাঁদের কেউ দাঁড়িয়ে কোদাল চালাচ্ছেন, আবার কেউ গাছের গোড়ার আগাছা তুলছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ এই কৃষকের মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, বেগুন, মুলা, টমেটো, করলা, পটোল, মুলাশাক, পালংশাক ও লালশাকসহ অনেক রকমের শীতকালীন সবজির চারা। এ ছাড়া কিছু সংখ্যক কৃষক আগাম সবজি চারা রোপণ করায় এখন ফসল তুলে বাজারে বিক্রয় করে অধিক মুনাফা অর্জন করছেন।

জালকুড়ি এলাকার ছাত্তার মিয়া বলেন, শীতকালীন সবজি তুলনামূলকভাবে কম সময়ে বাজারে তোলা যায়। নিয়মিত বিক্রি করা যায়। কমবেশি যাই হোক, হাতে নিয়মিত টাকা আসে। তা দিয়ে সংসারের খরচ জোগানো সহজ হয়। এ ছাড়া পরিবারের খাবারের চাহিদা মেটানো যায়।

ধনু হাজী এলাকার আমির আলী বলেন, ‘ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষের জন্য জৈব সার দিয়ে আমার সাড়ে সাত শতাংশ জমি প্রস্তুত করেছি। কিছুদিন আগে বীজ বপন করেছি। আগামী দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে আমার জমির ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারে পাঠানো যাবে বলে আশা করছি।’

সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম পাড়া এলাকার কৃষক ছামাদ আলী বলেন, পূর্ব পুরুষ থেকেই আমরা শীতকালীন শাক-সবজির চাষ করে আসছি। সবজি চাষের জন্য আমাদের খুব বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। তুলনামূলকভাবে মূলধনও কম লাগে। তবে পরিশ্রমটা একটু বেশিই করতে হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বছরের এই সময়েও জমিতে পানি থাকাটা কৃষকের চাষাবাদের অন্যতম সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি শিগগিরই কৃষকদের এই সমস্যার সমাধান হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত