Ajker Patrika

কম শেখার ঝুঁকিতে ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২১, ১১: ২৮
কম শেখার ঝুঁকিতে ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী

শিক্ষা খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে হলে করোনার সময়ে কম পড়াশোনা করা ও মানসিক স্বাস্থ্যহানি–এই দুই সমস্যাকে আমলে নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। করোনা মহামারির কারণে দেশব্যাপী দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় দেশের গ্রামে এবং শহরের বস্তি এলাকায় করা একটি জরিপে দেখা গেছে, ২২ শতাংশ প্রাথমিক এবং ৩০ শতাংশ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী কম পড়াশোনা করেছে। পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে এক ওয়েবিনারে পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন গবেষণার ফল প্রকাশ করেন। করোনার প্রভাব নিয়ে পিপিআরসি এবং বিআইজিডি ‘কোভিড-১৯ লাইভলিহুড অ্যান্ড রিকভারি প্যানেল সার্ভে’ নিয়ে গবেষণা করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে এই জরিপ চালানো হয়। উদ্দেশ্য ছিল ২০২১ সালের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত শিশুদের শিক্ষা-জীবনে কী কী পরিবর্তন এসেছে, তা জানা। এরপর একটি শিক্ষণ মডিউল তৈরি করা হয়। প্রথমটি করা হয় চলতি সালের মার্চে, আর পরেরটি আগস্টে।

গবেষণায় জানানো হয়, করোনার প্রভাবে গত ছয় মাসে শিক্ষাক্ষেত্রে আরও অবনতি হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী নিজে নিজেই পড়াশোনা করে, কেউ কেউ অনিয়মিতভাবে পড়াশোনা করে অথবা একেবারেই পড়াশোনা করে না। গবেষকদের মতে, এমন শিক্ষার্থীরাই আছে শিক্ষণ ঘাটতি বা ‘লার্নিং লসের’ ঝুঁকিতে।

শিক্ষণ ঘাটতি এই সমস্যার পেছনে আর্থসামাজিক অসমতার একটি ভূমিকা রয়েছে। গবেষণায় প্রথমে একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষণ ঘাটতির সঙ্গে তার মায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতার সম্পর্ক দেখা হয়। যে মায়েরা কখনো স্কুলে যাননি, তাঁদের সন্তানেরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

দ্বিতীয়ত, গৃহশিক্ষক কিংবা কোচিং সুবিধা করোনা মহামারির আগেও পেয়েছে—এমন শিক্ষার্থীর অধিকাংশই মহামারি চলাকালেও সেই সুযোগ পেয়েছে। তৃতীয়ত, গ্রামে ৪৪ শতাংশ পরিবারে এবং শহরের বস্তিতে ৩৬ শতাংশ পরিবারে অনলাইন শিক্ষা গ্রহণের জন্য যে উপকরণ দরকার, তার ব্যবস্থা করতে পারেনি। চতুর্থত, ৮ শতাংশের বেশি স্কুলগামী শিক্ষার্থী উভয় সময়েই উপার্জনের জন্য কাজ করেছে। দেখা যাচ্ছে, মহামারি দেশের শিক্ষায় যে বৈষম্য, তা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। যদিও এ দেশে ব্যাপারটি আগে থেকেই একটি বড় উদ্বেগের বিষয় ছিল।

আগের মতো সবকিছু চালু হওয়ায় ও জীবিকার তাগিদে কাজে যোগ দেওয়ার কারণে মার্চের তুলনায় পরবর্তী সময়ে শিক্ষা খাতে পরিবার থেকে সহায়তার হারও কমেছে। বিশেষত, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাই এর ভুক্তভোগী।

মহামারি এবং এর ফলে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যেও পড়েছে বিরূপ প্রভাব। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ১৫ শতাংশেরও বেশি পরিবার জানিয়েছে, মহামারির শুরু থেকেই স্কুল এবং কলেজগামী শিক্ষার্থীরা মানসিক চাপে ভুগছে। মা-বাবারা জানিয়েছেন, স্কুল বন্ধ থাকাকালীন সন্তানদের আচরণ তুলনামূলক বেশি অসহনশীল, খিটমিটে এবং রাগান্বিত ছিল। এই হার মার্চে ৩৬ শতাংশ থাকলেও আগস্টে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ শতাংশে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

রাবির অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন নিয়ম ভঙ্গের জন্য ট্রান্স নারী শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার, জানতে চান ১৬২ নাগরিক

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত