মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরা জেলার ৩৬টি ইউনিয়নে করোনার গণটিকাদান কার্যক্রম চলছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সব ইউনিয়নে একযোগে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এদিকে স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, জেলায় করোনার সংক্রমণ বাড়লেও গণটিকা কার্যক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নেই টিকা গ্রহীতার সংখ্যা ছিল খুবই কম।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার জেলায় সোমবার ৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এক সপ্তাহে ১০৮ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন মাগুরা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিট ভর্তি রয়েছেন। ১০৫ জন বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তা ছাড়া গত রোববার করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন ক্যানসারের এক রোগী মারা গেছেন।
জেলায় করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা দেওয়ায় গতকাল পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
গতকাল সদর উপজেলার আঠারখাদা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) টিকাকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকর্মী, ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্যরা ছাড়া তেমন কেউ নেই। সেখানে দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, বেলা ১২টা পর্যন্ত এ টিকাকেন্দ্রে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৩৭ জন। লোকজন টিকা নিতে আসছেন না বললেই চলে।
একই অবস্থা কছুন্দি ইউনিয়ন পরিষদ টিকাকেন্দ্রে। সেখানে বেলা ১টা পর্যন্ত মাত্র ২৯ জন টিকা নিয়েছেন। টিকা গ্রহীতার সংখ্যা কম উল্লেখ করে এ কেন্দ্রে দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেন, ‘এর আগে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে কয়েকবার গণটিকার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সময় অনেকেই টিকা নিয়ে নিয়েছেন। সে সময় টিকা নেওয়ার বিষয়ে সবার মধ্যে আগ্রহ কাজ করেছে। অনেকেই টিকার বাইরে ছিলেন। এবার টিকার বাইরে থাকা মানুষদের মধ্যে টিকা নেওয়ার বিষয়ে তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
আঠারখাদা ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা রাহিমনা খাতুন বলেন, ‘গণটিকার কথা শুনে তিন মেয়েকে নিয়ে এসেছি। তিন মেয়ের বয়স ১২ বছরের বেশি। ওরা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। মাদ্রাসা থেকে টিকা সবাইকে দেওয়া হয়নি। মাগুরা সদর হাসপাতালে গিয়েছিলাম পরশু। বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে আসতে হবে। তাই এখানে আসলাম। এখানে এসে শুনি শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকা দেওয়া হচ্ছে তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি।’
টিকা গ্রহীতা মনসুর মিয়া বলেন, ‘টিকা নেব নেব বলে নেওয়া হয়নি। পরিবারের সবাই টিকা নিয়েছে এমনকি আমার মেয়ে ক্লাস সেভেনে পড়ে, সেও টিকা নিয়েছে। এখন শুনছি জেলায় আবার করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। তাই আর দেরি না করে টিকা নিতে চলে আসলাম। তিনি আরও বলেন, ‘টিকার বাইরে আমার মতো অনেকেই আছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় সবার টিকা নিয়ে নেওয়া উচিত।’
চাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান বলেন, ‘গণটিকায় লোক টিকা নিতে আসছেন না। সবাই মাগুরা সদর হাসপাতালে গিয়ে আগেই টিকা নিয়ে নিয়েছেন। তাই, এখন হাতে গোনা কয়েকজন টিকা নিতে আসছেন।’
এদিকে ভিন্ন দৃশ্য চোখে পড়েছে হাজরাপুর ইউনিয়ন। সেখানকার ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন বলেন, তাঁর কেন্দ্রে গতকাল বেলা ২টা পর্যন্ত ২৪৫ জন টিকা নিয়েছেন। ইতিপূর্বে এ ইউনিয়নে কয়েকবার গণটিকা সফল হওয়ায় ইউনিয়নের অল্পসংখ্যক মানুষ টিকার বাইরে রয়েছেন। আশা করি যাঁরা টিকা নেননি তাঁরা এবার টিকা নিয়ে নেবেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মোট জনসংখ্যার ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৯২ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৬ লাখ ৮০ হাজার ৫৯৩ জন, যা উদ্দিষ্ট মোট জনগোষ্ঠীর ৬২.৬৮ ভাগ। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৩৮ হাজার ১৫০ জন, যা জেলার মোট জনসংখ্যার ৪০.৩৫ শতাংশ। বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৯ হাজার ৫৪৯ জন।
সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, ‘জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষ টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন। ১২ বছর থেকে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ৮৩ হাজার মানুষ এখনো টিকার বাইরে রয়েছেন। তাঁদের টিকার আওতায় আনতে আমরা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। গণটিকা তারই একটি অংশ।’
মাগুরা জেলার ৩৬টি ইউনিয়নে করোনার গণটিকাদান কার্যক্রম চলছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সব ইউনিয়নে একযোগে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এদিকে স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, জেলায় করোনার সংক্রমণ বাড়লেও গণটিকা কার্যক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নেই টিকা গ্রহীতার সংখ্যা ছিল খুবই কম।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার জেলায় সোমবার ৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এক সপ্তাহে ১০৮ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন মাগুরা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিট ভর্তি রয়েছেন। ১০৫ জন বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তা ছাড়া গত রোববার করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন ক্যানসারের এক রোগী মারা গেছেন।
জেলায় করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা দেওয়ায় গতকাল পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
গতকাল সদর উপজেলার আঠারখাদা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) টিকাকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যকর্মী, ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্যরা ছাড়া তেমন কেউ নেই। সেখানে দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, বেলা ১২টা পর্যন্ত এ টিকাকেন্দ্রে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৩৭ জন। লোকজন টিকা নিতে আসছেন না বললেই চলে।
একই অবস্থা কছুন্দি ইউনিয়ন পরিষদ টিকাকেন্দ্রে। সেখানে বেলা ১টা পর্যন্ত মাত্র ২৯ জন টিকা নিয়েছেন। টিকা গ্রহীতার সংখ্যা কম উল্লেখ করে এ কেন্দ্রে দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেন, ‘এর আগে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে কয়েকবার গণটিকার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সময় অনেকেই টিকা নিয়ে নিয়েছেন। সে সময় টিকা নেওয়ার বিষয়ে সবার মধ্যে আগ্রহ কাজ করেছে। অনেকেই টিকার বাইরে ছিলেন। এবার টিকার বাইরে থাকা মানুষদের মধ্যে টিকা নেওয়ার বিষয়ে তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
আঠারখাদা ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা রাহিমনা খাতুন বলেন, ‘গণটিকার কথা শুনে তিন মেয়েকে নিয়ে এসেছি। তিন মেয়ের বয়স ১২ বছরের বেশি। ওরা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। মাদ্রাসা থেকে টিকা সবাইকে দেওয়া হয়নি। মাগুরা সদর হাসপাতালে গিয়েছিলাম পরশু। বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে আসতে হবে। তাই এখানে আসলাম। এখানে এসে শুনি শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকা দেওয়া হচ্ছে তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি।’
টিকা গ্রহীতা মনসুর মিয়া বলেন, ‘টিকা নেব নেব বলে নেওয়া হয়নি। পরিবারের সবাই টিকা নিয়েছে এমনকি আমার মেয়ে ক্লাস সেভেনে পড়ে, সেও টিকা নিয়েছে। এখন শুনছি জেলায় আবার করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। তাই আর দেরি না করে টিকা নিতে চলে আসলাম। তিনি আরও বলেন, ‘টিকার বাইরে আমার মতো অনেকেই আছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় সবার টিকা নিয়ে নেওয়া উচিত।’
চাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান বলেন, ‘গণটিকায় লোক টিকা নিতে আসছেন না। সবাই মাগুরা সদর হাসপাতালে গিয়ে আগেই টিকা নিয়ে নিয়েছেন। তাই, এখন হাতে গোনা কয়েকজন টিকা নিতে আসছেন।’
এদিকে ভিন্ন দৃশ্য চোখে পড়েছে হাজরাপুর ইউনিয়ন। সেখানকার ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন বলেন, তাঁর কেন্দ্রে গতকাল বেলা ২টা পর্যন্ত ২৪৫ জন টিকা নিয়েছেন। ইতিপূর্বে এ ইউনিয়নে কয়েকবার গণটিকা সফল হওয়ায় ইউনিয়নের অল্পসংখ্যক মানুষ টিকার বাইরে রয়েছেন। আশা করি যাঁরা টিকা নেননি তাঁরা এবার টিকা নিয়ে নেবেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মোট জনসংখ্যার ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৯২ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৬ লাখ ৮০ হাজার ৫৯৩ জন, যা উদ্দিষ্ট মোট জনগোষ্ঠীর ৬২.৬৮ ভাগ। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৩৮ হাজার ১৫০ জন, যা জেলার মোট জনসংখ্যার ৪০.৩৫ শতাংশ। বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৯ হাজার ৫৪৯ জন।
সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, ‘জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষ টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন। ১২ বছর থেকে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ৮৩ হাজার মানুষ এখনো টিকার বাইরে রয়েছেন। তাঁদের টিকার আওতায় আনতে আমরা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। গণটিকা তারই একটি অংশ।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪