Ajker Patrika

প্রথম কাতারে নামাজ পড়ার ফজিলত

আবদুল আযীয কাসেমি
প্রথম কাতারে নামাজ পড়ার ফজিলত

নামাজ ইসলামের প্রধান ইবাদত। ইসলামে বিভিন্নভাবে নামাজে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। আজানের সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে ছুটে যেতে বারবার প্রেরণা দেওয়া হয়েছে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিন তোমাদের নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ত্যাগ করো।’

আয়াতে বিশেষভাবে জুমার দিনের কথা বলা হলেও এর বিধান সব নামাজের জন্য প্রযোজ্য। বিশেষভাবে জুমার নামাজের আজানের পর নামাজের প্রস্তুতিমূলক কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজ করা বৈধ নয়। মুয়াজ্জিনের ডাক শোনামাত্রই সবার উচিত মসজিদে ছুটে যাওয়া এবং মসজিদে গিয়ে সবার আগে সামনের কাতারে বসার চেষ্টা করা। হাদিস শরিফে এর বিশেষ ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে।

হজরত আবু হুরায়রার এক হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যদি লোকেরা জানত যে, আজান দেওয়া ও প্রথম কাতারে বসা কত মর্যাদাপূর্ণ ও মাহাত্ম্যপূর্ণ সওয়াবের কাজ, তবে তারা প্রথম কাতারে বসার জন্য ও আজান দেওয়ার জন্য লটারি দেওয়ার প্রয়োজন হলে তার জন্যও তারা প্রতিযোগিতা করত।’ (বুখারি)

একবার মহানবী (সা.) বললেন, ‘নামাজে একেবারে প্রথম কাতারে যারা বসে, তাদের আল্লাহ তাআলা রহমতের চাদরে আবৃত করে নেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমত প্রার্থনা করেন।’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘দ্বিতীয় কাতারে যারা বসে, তাদের জন্যও?’ তিনি আগের কথাটি পুনরায় বললেন। আবার দ্বিতীয় কাতারে বসা লোকদের কথা জিজ্ঞেস করলে আবারও একই উত্তর দেন। চতুর্থবারে এসে তিনি বললেন, দ্বিতীয় কাতারের লোকদের জন্যও এ ফজিলত রয়েছে।’ (মুসনাদে আহমাদ) অর্থাৎ, তিনবার এ দোয়া পায় প্রথম কাতারের লোকজন। দ্বিতীয় কাতারের লোকজন পায় মাত্র একবার।

লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত