Ajker Patrika

রমজানে দান করলে যে সওয়াব

আমজাদ ইউনুস 
রমজানে দান করলে যে সওয়াব

পবিত্র রমজান মাস সংযম ও সহমর্মিতার মাস। এ মাস মানুষকে দানশীলতা ও উদারতার শিক্ষা দেয়। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্পর্ক সুদৃঢ় করার শিক্ষা দেয়।

এ মাসে বিভিন্ন সৎ ও উত্তম কাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের অফুরন্ত সুযোগ পাওয়া যায়। এ মাসে প্রতিটি ভালো কাজের নেকি ৭০ গুণ বৃদ্ধি পায়। রমজান মাসে একটি নফল আমল ফরজের সমতুল্য। সে হিসাবে রমজান মাসে প্রতিটি দান-সদকাতেই ৭০ গুণ নেকি পাওয়া যাবে এবং তা ফরজ হিসেবে আল্লাহর কাছে গণ্য হবে। দান-সদকার এমন অসামান্য ফজিলত অন্য মাসে কখনোই পাওয়া যাবে না।

রাসুল (সা.)-এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল দানশীলতা। তিনি এতটাই দানশীল ছিলেন যে কেউ তাঁর কাছে কিছু চাইলে তিনি তাকে ফিরিয়ে দিতেন না। পবিত্র রমজান এলে রাসুল (সা.)-এর দানের মাত্রা আরও বহুগুণ বেড়ে যেত। রাসুল (সা.) মানুষকে রমজান মাসে বেশি পরিমাণে দান করতে উৎসাহিত করতেন।

সাহাবিগণ রমজান মাসে দুহাত ভরে দান করতেন। ওসমান (রা.) রমজানে প্রতিদিন গরিব-দুঃখী ও অসহায়দের মাসে এক হাজার দিনার বণ্টন করতেন। অন্য সাহাবিগণ দান-সদকার বিষয়ে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা করতেন।

আনাস (রা.) বলেন, রাসুলল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো সবচেয়ে উত্তম সদকা কী? তিনি বলেন, ‘রমজান মাসের সদকা’। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) পবিত্র রমজান মাসে বিপুল পরিমাণে দান করতেন। (সুনানে তিরমিজি: ২৩৫১)

লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাচার করা ৭৮১ কোটি টাকা ফেরত দিতে চেয়েও জামিন পেলেন না নাসার চেয়ারম্যান নজরুল

জীবন বিলিয়ে দিয়ে উত্তরার মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীদের বাঁচালেন, কে এই মাহরীন চৌধুরী

পাইলটের শেষ বার্তা: বিমান ভাসছে না, নিচে পড়ছে

মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীরাই ছিল ৩৭ বছরের মাসুকার ‘সংসার’, যুদ্ধবিমান তছনছ করে দিল

চোখের জলে পাইলট তৌকিরের বিদায়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত