উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
খরচ অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে আট দফা সময় বাড়িয়েও হজযাত্রীর কোটা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। এ অবস্থায় অন্তত পাঁচ হাজার জনের কোটা সৌদি আরবকে ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। শিগগির এ সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) মো. মতিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল রোববার নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, হজের নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশের কোটা পূরণে আরও সাত হাজার বাকি রয়েছে। এর মধ্য থেকে অন্তত পাঁচ হাজার কোটা সৌদি সরকারের কাছে সারেন্ডার করা হবে। সৌদি সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আগামী বছর কোটা নিয়ে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, কোটা ফেরত দেওয়ার সঙ্গে আগামী বছরের কোটার কোনো সম্পর্ক নেই।
সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনকে হজে পাঠানোর প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু এতে বাদ সাধে হজ প্যাকেজের উচ্চমূল্য। হজের খরচ অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে সাড়া মেলেনি হজযাত্রী নিবন্ধনে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। কোটা পূরণে আরও ৭ হাজার ৫০৩ জন হজযাত্রী নিবন্ধনের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আট দফা সময় বাড়িয়েও সাড়া না মেলায় ইতিমধ্যে হজের নিবন্ধন সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, নিবন্ধিত হজযাত্রী ছাড়াও বেশ কিছু মানুষ সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের সঙ্গে সৌদিতে যান। সে হিসাবে সব মিলিয়ে এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২২ হাজার মানুষ হজে যাচ্ছেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। প্যাকেজ মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে কোরবানির খরচ। পরবর্তীকালে সৌদি অংশের খরচ কমানো হলে সরকারি-বেসরকারি উভয় প্যাকেজে ১১ হাজার টাকা কমানো হয়। তারপরও গত বছরের তুলনায় এ বছর হজের খরচ বেড়েছে জনপ্রতি অন্তত দেড় লাখ টাকা। ফলে হজে যাওয়ার খরচ অনেকেরই সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন করেও চূড়ান্ত নিবন্ধনে আগ্রহে ভাটা পড়ে মানুষের।
হজসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেকে করোনার আগে প্রাক্-নিবন্ধন করেছিলেন। তখন হজের প্যাকেজ মূল্য ছিল সাড়ে তিন লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকার মধ্যে।বর্তমানে সেই প্যাকেজ দাঁড়িয়েছে প্রায় সাত লাখ টাকা। বিমানভাড়ার কারণেই মূলত হজের খরচ বেড়েছে। গত বছর যেখানে বিমানভাড়া ধরা হয় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, এ বছর তা বাড়িয়ে করা হয় ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের চেয়ে এ বছর বিমানভাড়া বেড়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা।
বিশ্ববাজারে ডলার ও রিয়ালের মূল্যবৃদ্ধির কারণেও এ বছর হজযাত্রীদের জনপ্রতি বাড়তি গুনতে হবে অন্তত ৬২ হাজার টাকা। উচ্চমূল্যের কারণে অনেকে প্রাক্-নিবন্ধন করেও চূড়ান্ত নিবন্ধন করেননি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্যাকেজের উচ্চমূল্যের কারণে অনেকে প্রাক্-নিবন্ধন করলেও চূড়ান্ত নিবন্ধন করেননি। ফলে কয়েক হাজার হজের কোটা খালি রেখেই নিবন্ধন
কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। খালি কোটাগুলো সৌদি সরকারের কাছে ফেরত পাঠানো হবে। এতে আগামী বছরে হজের কোটা পেতে কোনো সমস্যা হবে না।
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে এবার অনেক দেশেরই হজের কোটা খালি থাকবে বলে দাবি করেন হাব সভাপতি।
খরচ অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে আট দফা সময় বাড়িয়েও হজযাত্রীর কোটা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। এ অবস্থায় অন্তত পাঁচ হাজার জনের কোটা সৌদি আরবকে ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। শিগগির এ সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) মো. মতিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল রোববার নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, হজের নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশের কোটা পূরণে আরও সাত হাজার বাকি রয়েছে। এর মধ্য থেকে অন্তত পাঁচ হাজার কোটা সৌদি সরকারের কাছে সারেন্ডার করা হবে। সৌদি সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আগামী বছর কোটা নিয়ে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, কোটা ফেরত দেওয়ার সঙ্গে আগামী বছরের কোটার কোনো সম্পর্ক নেই।
সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনকে হজে পাঠানোর প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু এতে বাদ সাধে হজ প্যাকেজের উচ্চমূল্য। হজের খরচ অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে সাড়া মেলেনি হজযাত্রী নিবন্ধনে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। কোটা পূরণে আরও ৭ হাজার ৫০৩ জন হজযাত্রী নিবন্ধনের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আট দফা সময় বাড়িয়েও সাড়া না মেলায় ইতিমধ্যে হজের নিবন্ধন সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, নিবন্ধিত হজযাত্রী ছাড়াও বেশ কিছু মানুষ সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের সঙ্গে সৌদিতে যান। সে হিসাবে সব মিলিয়ে এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২২ হাজার মানুষ হজে যাচ্ছেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। প্যাকেজ মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে কোরবানির খরচ। পরবর্তীকালে সৌদি অংশের খরচ কমানো হলে সরকারি-বেসরকারি উভয় প্যাকেজে ১১ হাজার টাকা কমানো হয়। তারপরও গত বছরের তুলনায় এ বছর হজের খরচ বেড়েছে জনপ্রতি অন্তত দেড় লাখ টাকা। ফলে হজে যাওয়ার খরচ অনেকেরই সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন করেও চূড়ান্ত নিবন্ধনে আগ্রহে ভাটা পড়ে মানুষের।
হজসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেকে করোনার আগে প্রাক্-নিবন্ধন করেছিলেন। তখন হজের প্যাকেজ মূল্য ছিল সাড়ে তিন লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকার মধ্যে।বর্তমানে সেই প্যাকেজ দাঁড়িয়েছে প্রায় সাত লাখ টাকা। বিমানভাড়ার কারণেই মূলত হজের খরচ বেড়েছে। গত বছর যেখানে বিমানভাড়া ধরা হয় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, এ বছর তা বাড়িয়ে করা হয় ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের চেয়ে এ বছর বিমানভাড়া বেড়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা।
বিশ্ববাজারে ডলার ও রিয়ালের মূল্যবৃদ্ধির কারণেও এ বছর হজযাত্রীদের জনপ্রতি বাড়তি গুনতে হবে অন্তত ৬২ হাজার টাকা। উচ্চমূল্যের কারণে অনেকে প্রাক্-নিবন্ধন করেও চূড়ান্ত নিবন্ধন করেননি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্যাকেজের উচ্চমূল্যের কারণে অনেকে প্রাক্-নিবন্ধন করলেও চূড়ান্ত নিবন্ধন করেননি। ফলে কয়েক হাজার হজের কোটা খালি রেখেই নিবন্ধন
কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। খালি কোটাগুলো সৌদি সরকারের কাছে ফেরত পাঠানো হবে। এতে আগামী বছরে হজের কোটা পেতে কোনো সমস্যা হবে না।
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে এবার অনেক দেশেরই হজের কোটা খালি থাকবে বলে দাবি করেন হাব সভাপতি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪