ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষ সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ২৩টি শ্রেণিকক্ষের ১৫টিই পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংস্কার কাজে ধীরগতিরে কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ ১৮ মাস বিদ্যালয় বন্ধের মধ্যেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরোনো ভবনের সংস্কার কাজ শেষ করতে পারেনি। এখন বিদ্যালয় খোলার পর শ্রেণি কক্ষসংকট দেখা দিয়েছে। বেহাল ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান।
১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী ঝালকাঠি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ‘এইচ’ আকৃতির মূল ভবনটি ১৯৭৪ সালে নির্মাণ করা হয়। ভবনটির শ্রেণিকক্ষগুলো অনেক আগেই পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সংকট মেটাতে ১০ বছর আগে মূল ভবনের সামনে ৯টি শ্রেণিকক্ষের ১টি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনার বন্ধের আগে পুরোনো ভবনের ১৫টি ও নতুন ভবনের ৯টিসহ ২৩টি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলত।
২০১৯ সালের শুরুর দিকে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে পুরোনো ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদ বদলে সংস্কারের কাজ শুরু করে। কিন্তু করোনার বন্ধের সময় প্রতিষ্ঠানটি কাজ ফেলে রাখে। সম্প্রতি কাজ শুরু করলেও ধীর গতিতে চলছে। সংস্কারকাজের কম্পনে নিচতলার শ্রেণিকক্ষগুলোর পলেস্তারা খসে পড়ছে।
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রভাতি ও দিবা শাখা মিলে প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয় খোলার পর শ্রেণি কক্ষসংকট দেখা দিয়েছে। নতুন ভবনের ৯টি শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি পুরোনো ভবনের তিন শ্রেণিকক্ষও ব্যবহার করতে হচ্ছে। যদিও ওই তিন কক্ষ ব্যবহারের অনুপযোগী।
সরেজমিনে গত মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, পুরোনো ভবনের অনেক শ্রেণিকক্ষের পলেস্তারা খসে পড়ে আছে। অনেক জায়গাজুড়ে পলেস্তারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে ঝুলে আছে। বিদ্যালয়ের প্রভাতি শাখার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাজ্জাদ ইসলাম বলে, শ্রেণিকক্ষের এমন দশার কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। পলেস্তারা খসে পড়ায় ভয় নিয়ে শ্রেণিকক্ষে বসতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, পুরোনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও সেখানে সংস্কারের জন্য বারবার অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এ ভবনে অর্থ অপচয় না করে নতুন ১০তলা ভবনের কাজ শুরু করলেই সমস্যার সমাধান হবে। বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক নান্টু রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষগুলোর অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতার কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষক মিলনায়তনও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের জন্য একটি ১০ তলা ভবন নির্মাণের জন্য একনেকে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ভবনটি নির্মাণ করা হলে শ্রেণিকক্ষের সংকট থাকবে না। ঠিকাদার সৈয়দ তরিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে এ কাজের বরাদ্দের টাকা নেই। তারপরও যত দ্রুত সম্ভব শ্রেণি কক্ষগুলো পাঠদানের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা করা হবে। জেলা শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শ্রেণিকক্ষগুলো পাঠদানের উপযোগী করে সংস্কারের জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নতুন ভবনের জন্য জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই নতুন ১০ তলা ভবনের কাজ শুরু হবে।
ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষ সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ২৩টি শ্রেণিকক্ষের ১৫টিই পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংস্কার কাজে ধীরগতিরে কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ ১৮ মাস বিদ্যালয় বন্ধের মধ্যেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরোনো ভবনের সংস্কার কাজ শেষ করতে পারেনি। এখন বিদ্যালয় খোলার পর শ্রেণি কক্ষসংকট দেখা দিয়েছে। বেহাল ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান।
১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী ঝালকাঠি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ‘এইচ’ আকৃতির মূল ভবনটি ১৯৭৪ সালে নির্মাণ করা হয়। ভবনটির শ্রেণিকক্ষগুলো অনেক আগেই পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সংকট মেটাতে ১০ বছর আগে মূল ভবনের সামনে ৯টি শ্রেণিকক্ষের ১টি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনার বন্ধের আগে পুরোনো ভবনের ১৫টি ও নতুন ভবনের ৯টিসহ ২৩টি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলত।
২০১৯ সালের শুরুর দিকে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে পুরোনো ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদ বদলে সংস্কারের কাজ শুরু করে। কিন্তু করোনার বন্ধের সময় প্রতিষ্ঠানটি কাজ ফেলে রাখে। সম্প্রতি কাজ শুরু করলেও ধীর গতিতে চলছে। সংস্কারকাজের কম্পনে নিচতলার শ্রেণিকক্ষগুলোর পলেস্তারা খসে পড়ছে।
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রভাতি ও দিবা শাখা মিলে প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয় খোলার পর শ্রেণি কক্ষসংকট দেখা দিয়েছে। নতুন ভবনের ৯টি শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি পুরোনো ভবনের তিন শ্রেণিকক্ষও ব্যবহার করতে হচ্ছে। যদিও ওই তিন কক্ষ ব্যবহারের অনুপযোগী।
সরেজমিনে গত মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, পুরোনো ভবনের অনেক শ্রেণিকক্ষের পলেস্তারা খসে পড়ে আছে। অনেক জায়গাজুড়ে পলেস্তারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে ঝুলে আছে। বিদ্যালয়ের প্রভাতি শাখার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাজ্জাদ ইসলাম বলে, শ্রেণিকক্ষের এমন দশার কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। পলেস্তারা খসে পড়ায় ভয় নিয়ে শ্রেণিকক্ষে বসতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, পুরোনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও সেখানে সংস্কারের জন্য বারবার অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এ ভবনে অর্থ অপচয় না করে নতুন ১০তলা ভবনের কাজ শুরু করলেই সমস্যার সমাধান হবে। বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক নান্টু রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষগুলোর অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতার কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষক মিলনায়তনও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের জন্য একটি ১০ তলা ভবন নির্মাণের জন্য একনেকে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ভবনটি নির্মাণ করা হলে শ্রেণিকক্ষের সংকট থাকবে না। ঠিকাদার সৈয়দ তরিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে এ কাজের বরাদ্দের টাকা নেই। তারপরও যত দ্রুত সম্ভব শ্রেণি কক্ষগুলো পাঠদানের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা করা হবে। জেলা শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শ্রেণিকক্ষগুলো পাঠদানের উপযোগী করে সংস্কারের জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নতুন ভবনের জন্য জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই নতুন ১০ তলা ভবনের কাজ শুরু হবে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৯ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৯ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৯ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫