Ajker Patrika

এলিয়েনের ‘দেশে’ জীবন যেমন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৯: ১২
এলিয়েনের ‘দেশে’ জীবন যেমন

পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজতে মঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রোভার পারসিভারেন্স। লাল এ গ্রহের আকাশে উড়েছে হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি। ‘ঝুরং’ নামের চীনের একটি রোভার ঘুরে বেড়াচ্ছে মঙ্গলের আরেক প্রান্তে। এদিকে শনির আশপাশে কবেই হানা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি পৌঁছে গেছেন সূর্যের কাছাকাছি।

কিন্তু পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমান প্রাণী এখনো অধরাই রয়ে গেছে। শতশত আলোকবর্ষ দূরে কী রয়েছে, তা এখনো অনুমানের বাইরে। হয়তো পৃথিবীর মতোই এমন অনেক গ্রহে থাকছে মানুষের মতো কিংবা মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান প্রাণী। যোগাযোগের জন্য প্রতিনিয়ত তরঙ্গ পাঠাচ্ছে। সেই তরঙ্গ পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে কি না, তা-ও এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তাহলে কবে মিলবে এমন বুদ্ধিমান প্রাণী? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে আরও শত শত বছর লেগে যেতে পারে। তবে উত্তরের সন্ধান পাওয়ার আগে ভিনগ্রহবাসী বুদ্ধিমান প্রাণীর জীবনযাত্রা কিংবা আচরণ নিয়ে কল্পনা করতে তো বাধা নেই। অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী কসমসে সেই ভাবনাটাই জানিয়েছেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ।

ভিনগ্রহের প্রাণী কিংবা এলিয়েনের শারীরিক গঠন নিয়ে কবেই ভেবে রেখেছেন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির লেখকেরা। সেই পথে হেঁটেছেন অনেক চলচ্চিত্র নির্মাতাও। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতিঃপদার্থবিদ জেসন রাইটের পরামর্শ এ পথে আর না হাঁটার। এর চেয়ে এলিয়েনের দক্ষতায় নজর দেওয়া যেতে পারে।

জেসন রাইট বলেন, ‘আমরা যেমন শক্তির উৎস হিসেবে সৌরশক্তি কিংবা অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করে আসছি, এলিয়েনেরও হয়তো তেমন কোনো “পাওয়ার হাউস” রয়েছে। এই শক্তির উৎসের তরঙ্গ কী ধরনের, তা এখনো অজানা। তবে তাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তি নিয়ে ভাবা যেতে পারে। কাছাকাছি কোনো প্রযুক্তি পেলে হয়তো অচিরেই খোঁজ মিলবে এলিয়েনের।’

মানবসভ্যতা যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, এলিয়েনরা ঠিক সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে, এমনটা মানতে নারাজ আরেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী পল ডেভিস। ‘হার্ড প্রবলেম অব লাইফ’ শিরোনামের লেখায় তিনি বলেন, এলিয়েনের জীবনপ্রণালি একদম কল্পনার বাইরে। এমনকি এদের দৈহিক গঠনে কোন ধরনের রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে, তা এখনো বিজ্ঞানীরা কল্পনাও করতে পারছেন না। তবে প্রজননব্যবস্থা হয়তো পৃথিবীবাসীর মতো হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ‘অনুলিপি’ প্রণালি অনুসরণ করা হয় বলে ধারণা তাঁর।

ভিনগ্রহবাসীর ‘পৃথিবী’ মানুষের মতো না হলেও এত বেশি বড় হবে না বলে জানান ‘ডেথ বাই ব্ল্যাক হোল’ (২০০৫) বইয়ের লেখক নিল ডিগ্র্যাস টাইসন। তিনি বলেন, ‘মহাকাশে বুদ্ধিমান প্রাণী না-ও পাওয়া যেতে পারে। পাওয়া গেলেও কোপার্নিকাসের নীতি অনুযায়ী, এলিয়েনের গ্রহ আমাদের চেয়ে অনেক সুগঠিত হবে। তবে ১০ আলোকবর্ষের সমান আয়তন নিয়ে নয়।’

তবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের সাবেক কমান্ডার ক্রিস হ্যাডফিল্ডের মুখে ভিন্ন সুর। কানাডায় খুঁজে পাওয়া ৫০ কোটি বছর আগেকার একটি জীবাশ্মের দিকে ইঙ্গিত তাঁর। পৃথিবীতে বিচরণ করত এমন বিলুপ্ত প্রাণীদের একটা অংশ এখন মহাকাশের অন্য কোনো প্রান্তে বিচরণ করছে বলে অনুমান করছেন তিনি। তবে যে যা-ই বলুক, বুদ্ধিমান প্রাণীর খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত এ রহস্য অধরাই থেকে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রশ্নে যে প্রতিক্রিয়া জানাল যুক্তরাষ্ট্র

২ ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ কীভাবে ৬ কোটি রুপি পাবেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত