সাইফুল আরিফ জুয়েল, নেত্রকোনা
নেত্রকোনায় মোরগ পালনের ঘর তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারিভাবে প্রতিটি ঘরের জন্য ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও ঘর তৈরি করা হয়েছে দেড় থেকে ২ হাজার টাকায়। বাকি টাকা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ‘অনিয়মের অসংখ্য অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। উপজেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তৈরি নিম্নমানের ঘর গ্রহণ না করার জন্য।’
সংশ্লষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেকার সমস্যার সমাধান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ‘হাওরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন’ প্রকল্প নিয়েছে সরকার। সেই প্রকল্পের আওতায় নেত্রকোনার ৯ উপজেলায় মোরগ পালন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কাজের প্রথম ধাপে মোরগ পালনের অস্থায়ী ঘর নির্মাণ ও বিতরণকাজ শুরু হয়েছে। পরবর্তী ধাপে মোরগ ও প্রয়োজনীয় ওষুধপ্রত্র দেওয়া হবে। তবে জেলাজুড়ে প্রকল্পের প্রথম ধাপেই অস্থায়ী মোরগের ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ ইকবাল বলেন, প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ৬ হাজার টাকা অথচ যেসব ঘর দেওয়া হচ্ছে এগুলো তৈরিতে ১৫০০-২০০০ টাকা খরচ হয়েছে। বাড়িতে নেওয়ার আগেই ঘর ভেঙে যাচ্ছে। ঘর দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, নেত্রকোনা জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে শুধু পূর্বধলা উপজেলা বাদে সদর, আটপাড়া, কলমাকান্দা, খালিয়াজুরী, মোহনগঞ্জ, মদন, কেন্দুয়া, বারহাট্টা ও দুর্গাপুর ৯টি উপজেলায় এই প্রকল্পের কার্যক্রম চালু হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার ৩০০ জন উপকারভোগীকে প্রথম ধাপে অস্থায়ী মোরগের ঘর দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য জেলার নির্বাচিত উপজেলাগুলোর সবগুলো ইউনিয়ন ও পৌর শহরে উপকারভোগীদের ২৫ জন করে দল গঠন করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে জনপ্রতি তাঁদের ১৩টি মুরগি ও দুটি মোরগ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে দেওয়া হবে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র।
নেত্রকোনা সদর উপজেলার সতরশ্রী এলাকার উপকারভোগী শিরিনা আক্তার বলেন, ‘মোরগের ঘরের কাঠ, টিনসহ আসবাবপত্র আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ধাপে আমাকে ১৩টি মুরগি ও দুটি মোরগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। ঘরের বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না। গরিব মানুষ যা পেয়েছি তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।’
সদরের সতরশ্রী এলাকার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট মাঠকর্মী মো. রুকনুজ্জামান জানান, সদর উপজেলায় ৩০০টি মোরগের ঘর বিতরণ করা হচ্ছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাহিদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মোরগের ঘর নির্মাণের বরাদ্দ আমাদের জানা নেই। কাঠসহ অনান্য আসবাবপত্র ঢাকা থেকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ঘরের কাঠগুলো কিছুটা নিম্নমানের বলে তাঁরা স্বীকার করেন।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহেদুল আলম অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘বিভিন্ন উপজেলা থেকে মোরগের ঘরের অনিয়ম নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ আমার কাছে আসছে। উপজেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের ঘর দিলে তাঁরা যেন গ্রহণ না করেন। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নেত্রকোনায় মোরগ পালনের ঘর তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারিভাবে প্রতিটি ঘরের জন্য ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও ঘর তৈরি করা হয়েছে দেড় থেকে ২ হাজার টাকায়। বাকি টাকা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ‘অনিয়মের অসংখ্য অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। উপজেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তৈরি নিম্নমানের ঘর গ্রহণ না করার জন্য।’
সংশ্লষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেকার সমস্যার সমাধান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ‘হাওরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন’ প্রকল্প নিয়েছে সরকার। সেই প্রকল্পের আওতায় নেত্রকোনার ৯ উপজেলায় মোরগ পালন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কাজের প্রথম ধাপে মোরগ পালনের অস্থায়ী ঘর নির্মাণ ও বিতরণকাজ শুরু হয়েছে। পরবর্তী ধাপে মোরগ ও প্রয়োজনীয় ওষুধপ্রত্র দেওয়া হবে। তবে জেলাজুড়ে প্রকল্পের প্রথম ধাপেই অস্থায়ী মোরগের ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ ইকবাল বলেন, প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ৬ হাজার টাকা অথচ যেসব ঘর দেওয়া হচ্ছে এগুলো তৈরিতে ১৫০০-২০০০ টাকা খরচ হয়েছে। বাড়িতে নেওয়ার আগেই ঘর ভেঙে যাচ্ছে। ঘর দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, নেত্রকোনা জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে শুধু পূর্বধলা উপজেলা বাদে সদর, আটপাড়া, কলমাকান্দা, খালিয়াজুরী, মোহনগঞ্জ, মদন, কেন্দুয়া, বারহাট্টা ও দুর্গাপুর ৯টি উপজেলায় এই প্রকল্পের কার্যক্রম চালু হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার ৩০০ জন উপকারভোগীকে প্রথম ধাপে অস্থায়ী মোরগের ঘর দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য জেলার নির্বাচিত উপজেলাগুলোর সবগুলো ইউনিয়ন ও পৌর শহরে উপকারভোগীদের ২৫ জন করে দল গঠন করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে জনপ্রতি তাঁদের ১৩টি মুরগি ও দুটি মোরগ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে দেওয়া হবে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র।
নেত্রকোনা সদর উপজেলার সতরশ্রী এলাকার উপকারভোগী শিরিনা আক্তার বলেন, ‘মোরগের ঘরের কাঠ, টিনসহ আসবাবপত্র আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ধাপে আমাকে ১৩টি মুরগি ও দুটি মোরগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। ঘরের বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না। গরিব মানুষ যা পেয়েছি তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।’
সদরের সতরশ্রী এলাকার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট মাঠকর্মী মো. রুকনুজ্জামান জানান, সদর উপজেলায় ৩০০টি মোরগের ঘর বিতরণ করা হচ্ছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাহিদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মোরগের ঘর নির্মাণের বরাদ্দ আমাদের জানা নেই। কাঠসহ অনান্য আসবাবপত্র ঢাকা থেকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ঘরের কাঠগুলো কিছুটা নিম্নমানের বলে তাঁরা স্বীকার করেন।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহেদুল আলম অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘বিভিন্ন উপজেলা থেকে মোরগের ঘরের অনিয়ম নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ আমার কাছে আসছে। উপজেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের ঘর দিলে তাঁরা যেন গ্রহণ না করেন। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪