Ajker Patrika

মাঠে মাঠে জিরার হলুদ

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২২, ১০: ৩৬
মাঠে মাঠে জিরার হলুদ

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের প্রথমবারের মতো চরাঞ্চলে জিরা চাষ করছেন এক চাষি। মসলা হিসেবে জিরা বহুল ব্যবহার থেকেই এর চাষে অনুপ্রাণিত হয়েছেন তিনি।

জিরা চাষ করে লাখ টাকা আয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের হাতিঘাটা এলাকার চাষি বারেক আলী। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা এলাকার মৃত মিরাজ উদ্দিনের ছেলে।

বারেক আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০ বছর আগে আজিমনগর ইউনিয়নের হাতিঘাটা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি ঘরে বসবাস শুরু করি। বাবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা এলাকা থেকে এক কেজি জিরার বীজ নিয়ে আসি। চরের ৩৩ শতাংশ জমিতে জেলায় প্রথম জিরা চাষ করি।’

বারেক আলী আরও বলেন, ‘জিরা চাষে একাধিকবার নিড়ানি ও সার দেওয়ার কারণে খরচটা বেশি। ৩৩ শতাংশ জমিতে ২৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। লাখ টাকার মতো বিক্রি করতে পারব বলে আশা রাখি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর ৭০০ মণ ভুট্টা বিক্রি করেছি। কৃষিকাজ করে এক মেয়েকে মানিকগঞ্জ শহরের দেবেন্দ্র কলেজে পড়াশোনা করাচ্ছি। ছেলেকে পড়াচ্ছি ফরিদপুরের সরকারি ইয়াছিন কলেজে।’

জিরা চাষ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হরিরামপুরের চরাঞ্চলে বারেক আলী নামের কৃষকের জিরার ফলন ভালো হয়েছে। জিরাগাছ সাধারণত ২০ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। প্রধান কাণ্ডের ওপর আরও তিন থেকে পাঁচটা প্রধান প্রাথমিক শাখা বের হয়। যেখান থেকে আবার দুই থেকে তিনটা মাধ্যমিক শাখা উৎপন্ন হয়।’

এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে চার ধরনের জিরা উৎপন্ন হয়। সেগুলো হলো লম্বা, খাটো, গোলাপি ও সাদা ফুল। জিরা উষ্ণমণ্ডলীয় ফসল, কিন্তু মধ্যম মানের আবহাওয়া বেশি পছন্দ করে। শীতকালীন ফসল হিসেবে এর আবাদ হয়। সাধারণত নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরে জিরার বীজ বপন করা হয়। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে যখন শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে, তখন ফুল ফোটে ও বীজ গঠন সম্পন্ন হয়। ৮০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে জিরা পরিপক্ব হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত