ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
‘সকালে দুইবার আইছি, দেখেন কল আছে, চাপ দেওয়ার ডান্ডি নাই। এখন পানি উঠাবো কী করে? রোগী আনছি সেই বুনাগাতি থেকে গতকাল। গরিব মানুষ কিনে পানি খাওয়ার উপায় নাই। এই শীতে এখন কনে যাব পানি নিয়ে আসতি? এত বড় হাসপাতাল, কত ঝকঝকে আর তকতকে ভেতরে আর তার টিউবওয়েল মাত্র একটি। এটা কিরাম কতা?’
মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল মর্গের পাশে এমন করেই নিজের আক্ষেপের কথা জানান সুরুজ মিয়া। বোনকে নিয়ে এসেছেন হাসপাতালে। সঙ্গে নিজের দুই সন্তান রয়েছে। বোনকে সেবা-যত্ন করতে তাঁকেই হাসপাতালে ঘুরতে হচ্ছে। খাবার পানি নিয়ে পড়েছেন বিপত্তিতে। হাসপাতালে খাবার পানি বলতে পুরোনো রোগীরা তাঁকে এই উত্তর পাশের চাপকলটি দেখিয়ে দিয়েছে। এখন দেখেন কলে চাপ দেওয়ার লম্বা লোহাটি খোলা।
একই চাপকলে জোহরা খাতুন নিয়ে এসেছেন থালাবাসন। জামাই অসুস্থ। মেয়ে ও তাঁর একটি বাচ্চা হাসপাতালে তিন দিন। কিন্তু পানির সমস্যা যায় না। হাসপাতালে কয়েকটি জায়গাতে ফিল্টার পানির ব্যবস্থা থাকলেও তা এত বড় হাসপাতালে শখানেক মানুষেরই জোগান দিতে পারে না।
এ ধরনের ভোগান্তি প্রতিদিনের বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী। তাঁরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোগীর চাপ এখন শীতের সময় কম, তবে যখন বেশি থাকে, তখন তাঁদের পানির সংকট থাকে। সরকারি হাসপাতালে তো গরিব মানুষই বেশি আসেন। তাঁদের সবার পানি কিনে খাওয়ার অবস্থা থাকে না। এ ছাড়া অনেক রোগী আছেন, যাঁরা অনেক দিন হাসপাতালে থাকেন। তাঁদের সঙ্গে স্বজনেরা থাকেন। কাপড় থেকে শুরু করে থালাবাসন ধোয়াটা খুব কঠিন। অনেকে ক্ষোভ দেখান, কিন্তু দেখা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।’
মাগুরা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের পাশেই পুরোনো ভবন। সেই ভবনের পশ্চিম পাশে ছিল আগের জরুরি বিভাগ। এর পেছনে একটি টিউবওয়েলে একজনকে গোসল করতে দেখা যায়। সিয়াম নামে যুবকটি এক রোগীর স্বজন। তিনি জানান, এর পানি খাওয়া যায় না। বিশ্রি গন্ধ আর আয়রনভরা। শুধু গোসল করা যায়। এ ছাড়া হাসপাতালের উত্তর পাশের কর্মচারী কোয়ার্টারে একটি টিউবওয়েল আছে, তার মাথা খুলে রাখে ওখানকার বাসিন্দারা। তাহলে আমরা যাবটা কোথায়, বলেন? চিকিৎসা নিতি এসে আমরা নিজেরাই পানির অভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।
মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. বিকাশ শিকদার বলেন, ‘টিউবওয়েল একটি আছে হাসপাতালের উত্তর পাশে মর্গের দেয়াল ঘেঁষে। ওটা ছাড়াও রোগীদের জন্য একটি আছে পুরোনো জরুরি বিভাগের পেছনে। রোগী প্রচুর, তাই সব বিষয়ে আসলে নজর দেওয়া সম্ভব হয় না। ফিল্টার পানির ব্যবস্থা আছে হাসপাতালের ভেতরে। ইচ্ছা করলে রোগীরা সেটাও ব্যবহার করছে। তবে টিউবওয়েল আরও কয়েকটি দরকার। সেটা আমরা দেখছি।’
‘সকালে দুইবার আইছি, দেখেন কল আছে, চাপ দেওয়ার ডান্ডি নাই। এখন পানি উঠাবো কী করে? রোগী আনছি সেই বুনাগাতি থেকে গতকাল। গরিব মানুষ কিনে পানি খাওয়ার উপায় নাই। এই শীতে এখন কনে যাব পানি নিয়ে আসতি? এত বড় হাসপাতাল, কত ঝকঝকে আর তকতকে ভেতরে আর তার টিউবওয়েল মাত্র একটি। এটা কিরাম কতা?’
মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল মর্গের পাশে এমন করেই নিজের আক্ষেপের কথা জানান সুরুজ মিয়া। বোনকে নিয়ে এসেছেন হাসপাতালে। সঙ্গে নিজের দুই সন্তান রয়েছে। বোনকে সেবা-যত্ন করতে তাঁকেই হাসপাতালে ঘুরতে হচ্ছে। খাবার পানি নিয়ে পড়েছেন বিপত্তিতে। হাসপাতালে খাবার পানি বলতে পুরোনো রোগীরা তাঁকে এই উত্তর পাশের চাপকলটি দেখিয়ে দিয়েছে। এখন দেখেন কলে চাপ দেওয়ার লম্বা লোহাটি খোলা।
একই চাপকলে জোহরা খাতুন নিয়ে এসেছেন থালাবাসন। জামাই অসুস্থ। মেয়ে ও তাঁর একটি বাচ্চা হাসপাতালে তিন দিন। কিন্তু পানির সমস্যা যায় না। হাসপাতালে কয়েকটি জায়গাতে ফিল্টার পানির ব্যবস্থা থাকলেও তা এত বড় হাসপাতালে শখানেক মানুষেরই জোগান দিতে পারে না।
এ ধরনের ভোগান্তি প্রতিদিনের বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী। তাঁরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোগীর চাপ এখন শীতের সময় কম, তবে যখন বেশি থাকে, তখন তাঁদের পানির সংকট থাকে। সরকারি হাসপাতালে তো গরিব মানুষই বেশি আসেন। তাঁদের সবার পানি কিনে খাওয়ার অবস্থা থাকে না। এ ছাড়া অনেক রোগী আছেন, যাঁরা অনেক দিন হাসপাতালে থাকেন। তাঁদের সঙ্গে স্বজনেরা থাকেন। কাপড় থেকে শুরু করে থালাবাসন ধোয়াটা খুব কঠিন। অনেকে ক্ষোভ দেখান, কিন্তু দেখা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।’
মাগুরা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের পাশেই পুরোনো ভবন। সেই ভবনের পশ্চিম পাশে ছিল আগের জরুরি বিভাগ। এর পেছনে একটি টিউবওয়েলে একজনকে গোসল করতে দেখা যায়। সিয়াম নামে যুবকটি এক রোগীর স্বজন। তিনি জানান, এর পানি খাওয়া যায় না। বিশ্রি গন্ধ আর আয়রনভরা। শুধু গোসল করা যায়। এ ছাড়া হাসপাতালের উত্তর পাশের কর্মচারী কোয়ার্টারে একটি টিউবওয়েল আছে, তার মাথা খুলে রাখে ওখানকার বাসিন্দারা। তাহলে আমরা যাবটা কোথায়, বলেন? চিকিৎসা নিতি এসে আমরা নিজেরাই পানির অভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।
মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. বিকাশ শিকদার বলেন, ‘টিউবওয়েল একটি আছে হাসপাতালের উত্তর পাশে মর্গের দেয়াল ঘেঁষে। ওটা ছাড়াও রোগীদের জন্য একটি আছে পুরোনো জরুরি বিভাগের পেছনে। রোগী প্রচুর, তাই সব বিষয়ে আসলে নজর দেওয়া সম্ভব হয় না। ফিল্টার পানির ব্যবস্থা আছে হাসপাতালের ভেতরে। ইচ্ছা করলে রোগীরা সেটাও ব্যবহার করছে। তবে টিউবওয়েল আরও কয়েকটি দরকার। সেটা আমরা দেখছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪