আব্দুর রাজ্জাক
রাশিয়া যখন দোনবাস ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের একের পর এক গ্রাম দখল করছে, তখন হঠাৎ করে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল আক্রমণ করে প্রায় এক হাজার বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড দখল করে নেয়। প্রথম দিকে ভালোই সাফল্য পাচ্ছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী। বেশ জোরেশোরে হামলা শুরু করছিল কুরস্ক অঞ্চলে। একেবারে পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জোরালো আক্রমণ করছিল, ইউক্রেন তার সামর্থ্যের প্রায় সবটা দিয়েই এই আক্রমণ পরিচালনা করছিল।
রাশিয়ান বাহিনী প্রথমে একটু হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ করে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে কেউ এ রকম আক্রমণ করে এক হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গা দখল করতে পারে—এটা ছিল অভাবনীয়। এমনকি ইউক্রেনীয় বাহিনী ঘোষণা করেছিল, তারা এ রকম করতে করতে হয়তো কোনো একদিন মস্কোর দ্বারপ্রান্তে উপনীত হবে।
রাশিয়ার এই অঞ্চলটি কম জনবসতিপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের গাছপালায় আচ্ছাদিত একটু নিরিবিলি এলাকা। এখানে আবার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। রাশিয়া প্রথম দিকে এখানে আক্রমণ প্রতিহত করতে একটু সময় নিয়েছিল, কেননা হঠাৎ করে এই আক্রমণের ফলে রাশিয়ার নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ভেবেচিন্তে শত্রুপক্ষকে মোকাবিলা করতে হয়েছিল।
এই রকম এক মাস যাওয়ার পরে কিয়েভের মনোভাব বোঝা গেল। রাশিয়ার এই অঞ্চল দখল করার উদ্দেশ্য ছিল মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করা। মস্কো দোনবাস জাপোরিঝিয়া খারসন অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করলে ইউক্রেনীয় বাহিনী কুরস্ক অঞ্চল ছেড়ে চলে যাবে।
আসলে এটা ছিল পশ্চিমাদের বুদ্ধি। আমেরিকাসহ ন্যাটো বুদ্ধি দিয়েছিল, রাশিয়াকে চাপে ফেলতে পারলে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা যাবে, রাশিয়া নিজের ভূখণ্ড রক্ষার জন্য ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হবে।
কিন্তু পুতিন দৃঢ় ইস্পাতের মতো অটল ছিলেন তাঁর পরিকল্পনায়। কোনো রকম কোনো আলোচনা না করে দৃঢ়তার সঙ্গে পুতিন তাঁর যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন, পূর্বাঞ্চলীয় চার শহরে। ইউক্রেনের একটি বড় শহর দ্নেপার, খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই শহর এখন রাশিয়ানদের দখলে। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনী যে সাফল্য পেয়েছিল, সেটা প্রায় ম্লান হয়ে গেছে। ২০ হাজারের ওপরে সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন গত দুই মাসে। এখন ইউক্রেনের যে সেনা আছে কুরস্ক অঞ্চলে, তাদের হয় আত্মসমর্পণ করতে হবে অথবা জীবন দিতে হবে। রাশিয়ান বাহিনী তাদের পালানোর পথ বন্ধ করে দিয়েছে। রাশিয়া ইতিমধ্যেই কুরস্ক অঞ্চলে যে মাইন পোঁতা আছে, সেই মাইন অপসারণ করছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়ি মেরামত আরম্ভ করেছে।
বলে রাখা ভালো, রাশিয়া যখন ক্রিমিয়াকে ইউক্রেন থেকে আলাদা করে রাশিয়ার অঙ্গীভূত করছিল, তখন পুতিন বলেছিলেন, ‘ক্রিমিয়া আমাদের, আমাদের নিজেদের ভূখণ্ড আমরা দখলে নেব, এ সম্পর্কে কোনো আলোচনা কারও সঙ্গে করব না, বা কারও কথা শুনব না।’ এটা ছিল পুতিনের দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা। এই কথার অর্থ দাঁড়ায়, রাশিয়া তাদের নিজস্ব ভূখণ্ড রক্ষার জন্য যত ধরনের ত্যাগ করার আছে, তা করতে প্রস্তুত।
ওপরে যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করলাম এই কারণে যে, রাশিয়াকে মোটামুটি চাপের মধ্যে রেখে ইউক্রেন ও ন্যাটো চায় যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটাতে। জেলেনস্কি আকার-ইঙ্গিতে এ কথা স্পষ্ট করেছেন। পুতিন অবশ্য জেলেনস্কির এইসব চালাকি বুঝতে পেরেছেন, তিনি আমেরিকা ও ন্যাটোর কাছে হার মানার পাত্র নন।
এদিকে ইসরায়েল যখন লেবানন আক্রমণ করল ও হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করল, তখন ইরান ইসরায়েলে মিসাইল আক্রমণ করে এই হামলার ও হত্যার প্রতিশোধ নিল। যেদিন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইরান সফর করলেন, তার পরের দিন ইরান ইসরায়েলে মিসাইল আক্রমণ করল। পুতিন ইরানকে সমর্থন দিলেন। এই সমর্থন দেওয়ার অর্থ হলো, আমেরিকাকে বুঝিয়ে দেওয়া যে তোমাদের নির্দেশে যদি কোনো দেশ, অন্য কোনো দেশে আক্রমণ করে, সেখানে রাশিয়া সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকবে। পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যদি যুদ্ধ লাগে, তাহলে আমেরিকা ইসরায়েলের পক্ষ হয়ে তাদের সাহায্য-সহযোগিতার হাত ইসরায়েলের প্রতি প্রসারিত করবে, অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্যের দিকেই আমেরিকার নজর থাকবে। সেই কারণে পুতিন ইরানকে সমর্থন দিয়েছেন যে আমেরিকা এখানে ব্যস্ত থাকুক।
এখন জেলেনস্কি ন্যাটোসহ আমেরিকার কাছে যে পরিমাণ সাহায্যের আশা করছিল, তার সিকিভাগও মিলছে না। অথচ কিয়েভ পশ্চিমাদের পরামর্শেই তার মোটামুটি ভালো একটি শক্তি নিয়ে কুরস্ক অঞ্চল দখল করতে গিয়ে সেনাসহ অনেক আধুনিক সমরাস্ত্র হারাল।
সবকিছু বিশ্লেষণ করলে ফলাফল দাঁড়ায়, ইউক্রেন যদি রাশিয়ার ভূখণ্ড দখল করতে না গিয়ে, যে চার অঞ্চল দানিয়েস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলে তাদের সব সামর্থ্য দিয়ে রাশিয়াকে প্রতিরোধ করত, তাহলে হয়তো রাশিয়াকে একটি পর্যায়ে আটকে রাখা যেত। এখন মনে হয় ইউক্রেন সব পথই হারাবে, আবার মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হয়, সেখানে যদি আমেরিকা মনোনিবেশ করে, তাহলে এই যুদ্ধের পরিণতি কী হবে, কোন দিকে মোড় নেবে—সেটা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
আমরা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ দেখতে চাই, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধসহ মধ্যপ্রাচ্যেও যেন কোনো রকম যুদ্ধ না থাকে। আমেরিকা এবং রাশিয়া দুই পক্ষই যেন সহনশীল হয় এবং শান্তির পৃথিবীর দিকে অগ্রসর হয়।
লেখক: আব্দুর রাজ্জাক
প্রকৌশলী
রাশিয়া যখন দোনবাস ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের একের পর এক গ্রাম দখল করছে, তখন হঠাৎ করে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল আক্রমণ করে প্রায় এক হাজার বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড দখল করে নেয়। প্রথম দিকে ভালোই সাফল্য পাচ্ছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী। বেশ জোরেশোরে হামলা শুরু করছিল কুরস্ক অঞ্চলে। একেবারে পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জোরালো আক্রমণ করছিল, ইউক্রেন তার সামর্থ্যের প্রায় সবটা দিয়েই এই আক্রমণ পরিচালনা করছিল।
রাশিয়ান বাহিনী প্রথমে একটু হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ করে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে কেউ এ রকম আক্রমণ করে এক হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গা দখল করতে পারে—এটা ছিল অভাবনীয়। এমনকি ইউক্রেনীয় বাহিনী ঘোষণা করেছিল, তারা এ রকম করতে করতে হয়তো কোনো একদিন মস্কোর দ্বারপ্রান্তে উপনীত হবে।
রাশিয়ার এই অঞ্চলটি কম জনবসতিপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের গাছপালায় আচ্ছাদিত একটু নিরিবিলি এলাকা। এখানে আবার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। রাশিয়া প্রথম দিকে এখানে আক্রমণ প্রতিহত করতে একটু সময় নিয়েছিল, কেননা হঠাৎ করে এই আক্রমণের ফলে রাশিয়ার নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ভেবেচিন্তে শত্রুপক্ষকে মোকাবিলা করতে হয়েছিল।
এই রকম এক মাস যাওয়ার পরে কিয়েভের মনোভাব বোঝা গেল। রাশিয়ার এই অঞ্চল দখল করার উদ্দেশ্য ছিল মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করা। মস্কো দোনবাস জাপোরিঝিয়া খারসন অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করলে ইউক্রেনীয় বাহিনী কুরস্ক অঞ্চল ছেড়ে চলে যাবে।
আসলে এটা ছিল পশ্চিমাদের বুদ্ধি। আমেরিকাসহ ন্যাটো বুদ্ধি দিয়েছিল, রাশিয়াকে চাপে ফেলতে পারলে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা যাবে, রাশিয়া নিজের ভূখণ্ড রক্ষার জন্য ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হবে।
কিন্তু পুতিন দৃঢ় ইস্পাতের মতো অটল ছিলেন তাঁর পরিকল্পনায়। কোনো রকম কোনো আলোচনা না করে দৃঢ়তার সঙ্গে পুতিন তাঁর যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন, পূর্বাঞ্চলীয় চার শহরে। ইউক্রেনের একটি বড় শহর দ্নেপার, খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই শহর এখন রাশিয়ানদের দখলে। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনী যে সাফল্য পেয়েছিল, সেটা প্রায় ম্লান হয়ে গেছে। ২০ হাজারের ওপরে সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন গত দুই মাসে। এখন ইউক্রেনের যে সেনা আছে কুরস্ক অঞ্চলে, তাদের হয় আত্মসমর্পণ করতে হবে অথবা জীবন দিতে হবে। রাশিয়ান বাহিনী তাদের পালানোর পথ বন্ধ করে দিয়েছে। রাশিয়া ইতিমধ্যেই কুরস্ক অঞ্চলে যে মাইন পোঁতা আছে, সেই মাইন অপসারণ করছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়ি মেরামত আরম্ভ করেছে।
বলে রাখা ভালো, রাশিয়া যখন ক্রিমিয়াকে ইউক্রেন থেকে আলাদা করে রাশিয়ার অঙ্গীভূত করছিল, তখন পুতিন বলেছিলেন, ‘ক্রিমিয়া আমাদের, আমাদের নিজেদের ভূখণ্ড আমরা দখলে নেব, এ সম্পর্কে কোনো আলোচনা কারও সঙ্গে করব না, বা কারও কথা শুনব না।’ এটা ছিল পুতিনের দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা। এই কথার অর্থ দাঁড়ায়, রাশিয়া তাদের নিজস্ব ভূখণ্ড রক্ষার জন্য যত ধরনের ত্যাগ করার আছে, তা করতে প্রস্তুত।
ওপরে যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করলাম এই কারণে যে, রাশিয়াকে মোটামুটি চাপের মধ্যে রেখে ইউক্রেন ও ন্যাটো চায় যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটাতে। জেলেনস্কি আকার-ইঙ্গিতে এ কথা স্পষ্ট করেছেন। পুতিন অবশ্য জেলেনস্কির এইসব চালাকি বুঝতে পেরেছেন, তিনি আমেরিকা ও ন্যাটোর কাছে হার মানার পাত্র নন।
এদিকে ইসরায়েল যখন লেবানন আক্রমণ করল ও হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করল, তখন ইরান ইসরায়েলে মিসাইল আক্রমণ করে এই হামলার ও হত্যার প্রতিশোধ নিল। যেদিন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইরান সফর করলেন, তার পরের দিন ইরান ইসরায়েলে মিসাইল আক্রমণ করল। পুতিন ইরানকে সমর্থন দিলেন। এই সমর্থন দেওয়ার অর্থ হলো, আমেরিকাকে বুঝিয়ে দেওয়া যে তোমাদের নির্দেশে যদি কোনো দেশ, অন্য কোনো দেশে আক্রমণ করে, সেখানে রাশিয়া সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকবে। পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যদি যুদ্ধ লাগে, তাহলে আমেরিকা ইসরায়েলের পক্ষ হয়ে তাদের সাহায্য-সহযোগিতার হাত ইসরায়েলের প্রতি প্রসারিত করবে, অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্যের দিকেই আমেরিকার নজর থাকবে। সেই কারণে পুতিন ইরানকে সমর্থন দিয়েছেন যে আমেরিকা এখানে ব্যস্ত থাকুক।
এখন জেলেনস্কি ন্যাটোসহ আমেরিকার কাছে যে পরিমাণ সাহায্যের আশা করছিল, তার সিকিভাগও মিলছে না। অথচ কিয়েভ পশ্চিমাদের পরামর্শেই তার মোটামুটি ভালো একটি শক্তি নিয়ে কুরস্ক অঞ্চল দখল করতে গিয়ে সেনাসহ অনেক আধুনিক সমরাস্ত্র হারাল।
সবকিছু বিশ্লেষণ করলে ফলাফল দাঁড়ায়, ইউক্রেন যদি রাশিয়ার ভূখণ্ড দখল করতে না গিয়ে, যে চার অঞ্চল দানিয়েস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলে তাদের সব সামর্থ্য দিয়ে রাশিয়াকে প্রতিরোধ করত, তাহলে হয়তো রাশিয়াকে একটি পর্যায়ে আটকে রাখা যেত। এখন মনে হয় ইউক্রেন সব পথই হারাবে, আবার মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হয়, সেখানে যদি আমেরিকা মনোনিবেশ করে, তাহলে এই যুদ্ধের পরিণতি কী হবে, কোন দিকে মোড় নেবে—সেটা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
আমরা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ দেখতে চাই, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধসহ মধ্যপ্রাচ্যেও যেন কোনো রকম যুদ্ধ না থাকে। আমেরিকা এবং রাশিয়া দুই পক্ষই যেন সহনশীল হয় এবং শান্তির পৃথিবীর দিকে অগ্রসর হয়।
লেখক: আব্দুর রাজ্জাক
প্রকৌশলী
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪