Ajker Patrika

১৪ ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশ হাইকোর্টের

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৪১
Thumbnail image

ডুমুরিয়ার ভদ্রা ও হরি নদীর জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা ১৪টি ইটভাটাসহ নদীতীরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এসব ইটভাটা ও স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য ৬০ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মঞ্জিল মোরশেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে হরি ও ভদ্রা নদীর জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটা উচ্ছেদে রিট পিটিশন দায়ের করে।

ইটভাটাগুলো হলো- ডুমুরিয়ার কুলবাড়িয়া, বরাতিয়া ও ভদ্রাদিয়া মৌজার ফজলুর রহমানের প্রতিষ্ঠান এসবি ব্রিকস, একই মৌজায় সাংসদ নারায়ণ চন্দ্র চন্দের মালিকানাধীন কেপিবি ব্রিকস, কুলবাড়িয়া বরাতিয়া ও খর্ণিয়া মৌজার এজাজ আহমেদের সেতু-১ ব্রিকস, শাহজাহান জমাদ্দারের নূরজাহান-১ ব্রিকস, হুমায়ুন কবির ভুলুর কেবি-২ ব্রিকস, কুলবাড়িয়া বরাতিয়ায় শাহজাহান জমাদ্দারের শান ব্রিকস, রানাই মৌজার মো. সোবাহান সানার এফএম ব্রিকস, রানাই মৌজার জাহিদুল ইসলামের কেবি ব্রিকস, ইসমাইল হোসেন বিশ্বাসের আল-মদিনা ব্রিকস, মশিউর রহমানের মেরি ব্রিকস, আব্দুল লতিফ জমাদ্দারের জেবি ব্রিকস, আমিনুর রশিদের লুইন ব্রিকস, চহেড়া মৌজার গাজী আব্দুল হকের সেতু-৪ ব্রিকস এবং রুদাঘরা মৌজার গাজী ইমরানুল করিরের টিএমবি ব্রিকস।

এর আগে হাইকোর্টে রুল জারি করে হরি ও ভদ্রা নদীর সীমানায় দখলদারদের তালিকাসহ ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে খুলনা জেলা প্রশাসন চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। জেলা প্রশাসন গত অক্টোবরে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত