রুদ্র রুহান, বরগুনা
দখল আর দূষণে আবার নাব্যতা হারিয়েছে বরগুনার খাকদোন নদ। ফলে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে নৌযানগুলো; বিশেষ করে বরগুনা-ঢাকা রুটের লঞ্চগুলোকে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নৌযানচালকেরা বলছেন, প্রতিবছর খাকদোন নদ খনন করলেও আবার ভরাট হয়ে যায়, পরিকল্পিত খনন ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তবে নৌবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা খননে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা কার্যালয়ের তথ্যমতে, বরগুনা সদর উপজেলার বরইতলা বিষখালীর মোহনা থেকে বরগুনা শহরের কোল ঘেঁষে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য খাকদোন নদ। স্থানীয় লোকজন বলছেন, একসময় নদটি প্রায় এক কিলোমিটার প্রশস্ত ছিল। গত দুই দশকে অব্যাহত দখল, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের অবহেলায় বিষখালী-পায়রা নদীর সংযোগ স্থাপনকারী ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ নদের ১৫ কিলোমিটার মরা খালে পরিণত হয়েছে। বাকি ৯ কিলোমিটার নদের অস্তিত্ব থাকলেও এর মধ্যে মাত্র ৬ কিলোমিটার কোনোরকমে নৌ চলাচলের জন্য সচল আছে। ওই ছয় কিলোমিটার নদও দুই পাশ থেকে দখল ও সংকুচিত করে গলাটিপে ধরেছে দখলদারেরা। এই নদেই বরগুনা শহরে বিআইডব্লিউটিএর নৌবন্দর অবস্থিত।
বরগুনার-ঢাকা রুটে প্রতিদিন দুটি লঞ্চ এই নদ দিয়ে আসা-যাওয়া করে। বরগুনা-ঢাকা নৌরুটে চলা এমভি পূবালী-১ লঞ্চের মাস্টার (প্রথম শ্রেণি) হারুন অর রশীদ বলেন, ‘নদের এখন যে অবস্থা, লঞ্চ চলাচলের উপযোগী নেই। আমরা গত শনিবার আসার পথে লঞ্চ আটকে যায়। পরে ঢলুয়া এলাকায় যাত্রীদের নামিয়ে দিতে হয়েছে।’
এমভি রাজহংস-৮ লঞ্চের মাস্টার সগীর হোসেন বলেন, ‘খাকদোন-বিষখালীর মোহনায় পলি জমে এতটাই সংকুচিত হয়ে পড়েছে যে আমাদের রীতিমতো ঝুঁকি নিয়ে সেখান থেকে আসতে হয়। নদটির দুই পাড় এমনভাবে দখল হয়েছে যে আমাদের লঞ্চ ঘোরানোর মতো জায়গাও নেই।’
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, বরগুনা নদীবন্দর সচল রাখতে প্রায় প্রতিবছর সরকার লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে খাকদোন নদের ছয় কিলোমিটার খনন করে। কিন্তু অব্যাহত দখলের কারণে এই অংশের নাব্যতা ধরে রাখা যাচ্ছে না। এ কারণে নাব্যতা ও অস্তিত্বসংকটের মুখে পড়েছে ওই অংশও। নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ২০১০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রায় প্রতিবছর এ নদের ছয় কিলোমিটার নৌপথ খনন করে বিআইডব্লিউটিএ। কিন্তু খননের কয়েক মাস যেতে না যেতে আবার জোয়ারে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যায়। এ ছাড়া নদের দুই পাশ দখলের কারণে নদটি সংকুচিত হয়ে পড়ছে। নদের সঙ্গে শাখা খালগুলোর প্রবেশদ্বারে স্লুইসগেট নির্মাণ করায় জোয়ারের প্রবাহ কমে গিয়ে এসব খালও ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
বরগুনা নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি সোহেল হাফিজ বলেন, শুধুমাত্র খনন কাজ অব্যাহত রেখে নাব্যতা সমস্যার সমাধান সম্ভব না। প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা গচ্চা যায় খননে, আবার ভরাট হয় নদটি। নদটির বিষখালী ও পায়রা মোহনা পর্যন্ত অবাধ স্রোত চলাচল উপযোগী করতে হবে। পায়রার মোহনা খনন ও দখলমুক্ত করতে হবে। তবেই নাব্যতা সংকট দূর হবে।
বরগুনা নৌবন্দরের সহকারী পরিচালক মামুন অর রশিদ বলেন, অব্যাহত দখলে নদটি সংকুচিত হওয়ায় এখানে বড় কোনো লঞ্চ ঘুরতে পারে না। এ জন্য এই বন্দরে বড় ও বিলাসবহুল লঞ্চ আসে না। আর বন্দরের সুফলও পাওয়া যাচ্ছে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়ছার আলম বলেন, খাকদোন নদের উৎসস্থল থেকে পায়রা নদী পর্যন্ত খনন করা হবে। তাঁদের একটি সমীক্ষা কমিটি কাজ করছে। ওই কমিটির প্রতিবেদন দিলেই দু-এক মাসের মধ্যে একটি প্রকল্প প্রণয়ন করে পাউবোর প্রধান কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে।
দখল আর দূষণে আবার নাব্যতা হারিয়েছে বরগুনার খাকদোন নদ। ফলে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে নৌযানগুলো; বিশেষ করে বরগুনা-ঢাকা রুটের লঞ্চগুলোকে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নৌযানচালকেরা বলছেন, প্রতিবছর খাকদোন নদ খনন করলেও আবার ভরাট হয়ে যায়, পরিকল্পিত খনন ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তবে নৌবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা খননে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনা কার্যালয়ের তথ্যমতে, বরগুনা সদর উপজেলার বরইতলা বিষখালীর মোহনা থেকে বরগুনা শহরের কোল ঘেঁষে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য খাকদোন নদ। স্থানীয় লোকজন বলছেন, একসময় নদটি প্রায় এক কিলোমিটার প্রশস্ত ছিল। গত দুই দশকে অব্যাহত দখল, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের অবহেলায় বিষখালী-পায়রা নদীর সংযোগ স্থাপনকারী ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ নদের ১৫ কিলোমিটার মরা খালে পরিণত হয়েছে। বাকি ৯ কিলোমিটার নদের অস্তিত্ব থাকলেও এর মধ্যে মাত্র ৬ কিলোমিটার কোনোরকমে নৌ চলাচলের জন্য সচল আছে। ওই ছয় কিলোমিটার নদও দুই পাশ থেকে দখল ও সংকুচিত করে গলাটিপে ধরেছে দখলদারেরা। এই নদেই বরগুনা শহরে বিআইডব্লিউটিএর নৌবন্দর অবস্থিত।
বরগুনার-ঢাকা রুটে প্রতিদিন দুটি লঞ্চ এই নদ দিয়ে আসা-যাওয়া করে। বরগুনা-ঢাকা নৌরুটে চলা এমভি পূবালী-১ লঞ্চের মাস্টার (প্রথম শ্রেণি) হারুন অর রশীদ বলেন, ‘নদের এখন যে অবস্থা, লঞ্চ চলাচলের উপযোগী নেই। আমরা গত শনিবার আসার পথে লঞ্চ আটকে যায়। পরে ঢলুয়া এলাকায় যাত্রীদের নামিয়ে দিতে হয়েছে।’
এমভি রাজহংস-৮ লঞ্চের মাস্টার সগীর হোসেন বলেন, ‘খাকদোন-বিষখালীর মোহনায় পলি জমে এতটাই সংকুচিত হয়ে পড়েছে যে আমাদের রীতিমতো ঝুঁকি নিয়ে সেখান থেকে আসতে হয়। নদটির দুই পাড় এমনভাবে দখল হয়েছে যে আমাদের লঞ্চ ঘোরানোর মতো জায়গাও নেই।’
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, বরগুনা নদীবন্দর সচল রাখতে প্রায় প্রতিবছর সরকার লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে খাকদোন নদের ছয় কিলোমিটার খনন করে। কিন্তু অব্যাহত দখলের কারণে এই অংশের নাব্যতা ধরে রাখা যাচ্ছে না। এ কারণে নাব্যতা ও অস্তিত্বসংকটের মুখে পড়েছে ওই অংশও। নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ২০১০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রায় প্রতিবছর এ নদের ছয় কিলোমিটার নৌপথ খনন করে বিআইডব্লিউটিএ। কিন্তু খননের কয়েক মাস যেতে না যেতে আবার জোয়ারে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যায়। এ ছাড়া নদের দুই পাশ দখলের কারণে নদটি সংকুচিত হয়ে পড়ছে। নদের সঙ্গে শাখা খালগুলোর প্রবেশদ্বারে স্লুইসগেট নির্মাণ করায় জোয়ারের প্রবাহ কমে গিয়ে এসব খালও ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
বরগুনা নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি সোহেল হাফিজ বলেন, শুধুমাত্র খনন কাজ অব্যাহত রেখে নাব্যতা সমস্যার সমাধান সম্ভব না। প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা গচ্চা যায় খননে, আবার ভরাট হয় নদটি। নদটির বিষখালী ও পায়রা মোহনা পর্যন্ত অবাধ স্রোত চলাচল উপযোগী করতে হবে। পায়রার মোহনা খনন ও দখলমুক্ত করতে হবে। তবেই নাব্যতা সংকট দূর হবে।
বরগুনা নৌবন্দরের সহকারী পরিচালক মামুন অর রশিদ বলেন, অব্যাহত দখলে নদটি সংকুচিত হওয়ায় এখানে বড় কোনো লঞ্চ ঘুরতে পারে না। এ জন্য এই বন্দরে বড় ও বিলাসবহুল লঞ্চ আসে না। আর বন্দরের সুফলও পাওয়া যাচ্ছে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়ছার আলম বলেন, খাকদোন নদের উৎসস্থল থেকে পায়রা নদী পর্যন্ত খনন করা হবে। তাঁদের একটি সমীক্ষা কমিটি কাজ করছে। ওই কমিটির প্রতিবেদন দিলেই দু-এক মাসের মধ্যে একটি প্রকল্প প্রণয়ন করে পাউবোর প্রধান কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪