Ajker Patrika

পরিযায়ী পাখির কলরবে মুখর নিলুয়া বিল

আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০: ৫২
পরিযায়ী পাখির কলরবে মুখর নিলুয়া বিল

শীত এলেই দেশে পরিযায়ী পাখিরা আসে। প্রতিবছরের মতো এবারও মানিকগঞ্জের ঘিওরের নিলুয়া বিলে পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাখিপ্রেমীরা দল বেঁধে আসছেন পরিযায়ী পাখি দেখতে।

সরেজমিন গত শনিবার দেখা যায়, শান্ত পানির ওপর কচুরিপানার সবুজ গালিচায় বসে আছে পরিযায়ী পাখির দল। মাঝে মাঝে ঝাঁক বেঁধে আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে ডানা মেলে। এসব পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত চারপাশ। মানিকগঞ্জের এই নিলুয়া বিল প্রতিবছর শীত মৌসুমে হয়ে উঠে যেন পাখির আবাসস্থল। এবারও এ বিলে আবাস বেঁধেছে বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন পাখিসহ বহু পরিযায়ী পাখি। তাদের মধ্যে ‘পাতি সরালি’ এর সংখ্যাই বেশি। এবার পাখির সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পিয়াংহাঁস, পাতি সরালি, রাজ সরালি, গ্যাডওয়াল, লেঙজা হাঁস, বালিহাঁস, পাতিকূট, দেশি জাতের শামুকখোলসহ বিভিন্ন প্রজাতির নাম না জানা অসংখ্য পাখি, বিল এলাকা মুখর করে তুলছে। এ বছর তিব্বতীয় মানিকচক, সাইবেরিয়ান ফিদ্দাসহ অনেক নতুন অতিথি পাখি চোখে পড়েছে।

সাভার থেকে সপরিবারে পাখি দেখতে আসা নাসরিন শিকদার বলেন, পাখি দেখতে সপরিবারে এসেছি। এবার পাখির সংখ্যা অনেক।

মানিকগঞ্জ জেলা পরিবেশ রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব লক্ষ্মী চ্যাটার্জি বলেন, পরিযায়ী পাখিদের বিচরণ নিরাপদ করার জন্য শিকার ও বিক্রি বন্ধ করতে হবে।

ঘিওর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মো. ফারুক হোসাইন বলেন, পাখি প্রকৃতির অলংকার। এ অলংকার ধ্বংস করা মানে পরিবেশ ধ্বংস করা।

ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান বলেন, শুধু আইন দিয়েই পাখি শিকার বন্ধ করা যাবে না। এ জন্য প্রয়োজন সবার সচেতনতা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত