জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
আমনের ভরা মৌসুমে যখন বৃষ্টির অভাবে খেতের জমি ফেটে চৌচির, তখন তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কৃষকেরা পাচ্ছেন চাহিদামতো সেচের পানি। অল্প খরচে এই সুবিধা পাচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া এবার ভালো ফলনের পাশাপাশি লাভের আশা করছেন তিন জেলার তিস্তা সেচ প্রকল্পভুক্ত আমন চাষিরা।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ সম্প্রসারণ দপ্তর বলছে, নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুরে এবার আমনে ৪০ কোটি টাকার জ্বালানি সাশ্রয় করেছে তিস্তা সেচ প্রকল্প।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় এবারে যন্ত্রচালিত মেশিনে প্রতি বিঘায় সেচ দিতে খরচ হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু তিস্তা সেচ ক্যানেলের পানি দিয়ে বিঘাপ্রতি খরচ হচ্ছে মাত্র ৮০ টাকা। তবে জ্বালানি তেল, সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ার ফলে বাজারে ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলে আমন আবাদে খরচ উঠবে না বলে মনে করছেন এ অঞ্চলের চাষিরা।
জেলা সদরের কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের তিস্তা ক্যানেলসংলগ্ন তেঁতুলতলার কৃষক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অনাবৃষ্টির সময়ে তিস্তা সেচ প্রকল্পের পানি দিয়ে চার বিঘা
জমিতে আমনের চাষ করেছি। সময়মতো পানি সেচের কারণে চাষাবাদের জন্য ভালো হয়েছে।’
সোনারায় ইউনিয়নের সাতারু পাড়ার কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘তিস্তা প্রকল্পের কারণে পাঁচ বিঘা জমিতে পানির অভাব নাই। প্রকল্পের সেচ সুবিধা নিতে এক বিঘায় ৮০ টাকা লাগছে।’
সোনারায় ইউনিয়নের গ্রাম খেন পাড়ার চাষি অনিল চন্দ্র বলেন, ‘এবার জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায়, সেচযন্ত্রে এক বিঘায় সেচ দিতে খরচ হয় ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। আর তিস্তার পানি দিয়ে বিঘায় খরচ হচ্ছে মাত্র ৮০ টাকা। চারা রোপণ থেকে শুরু করে ছয় থেকে সাতবার পানি দিলেই যথেষ্ট। ক্যানেলে পানিও আছে প্রচুর, আমন আবাদে কোনো সমস্যাই নেই। ধানের চারা সুস্থ আছে। এবারে ভালো ফলনের আশা করছি।’
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র জানায়, খরার কারণে চলতি আমন মৌসুমে ৪০ কোটি টাকার ডিজেল সাশ্রয় করেছে তিস্তা সেচ প্রকল্প। ক্যানেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ সেচের পানি থাকায় প্রকল্প এলাকায় শ্যালো মেশিন, বিদ্যুৎচালিত পাম্প ব্যবহার করতে হচ্ছে না। চলতি মৌসুমে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এর মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ক্যানেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ৪৩ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দিতে সক্ষম হয়েছে। এই সুবিধা পেয়েছেন নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুরের ১২ উপজেলার প্রায় ৬ লাখ কৃষক।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ দৌলা আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও সেচ বাবদ কৃষকদের কাছ থেকে বিঘাপ্রতি ৮০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এবারে আগস্ট পর্যন্ত ৪৩ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া হয়েছে। ধানের চারা তরতাজা ও সবল হয়েছে। এবারে আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি।
আমনের ভরা মৌসুমে যখন বৃষ্টির অভাবে খেতের জমি ফেটে চৌচির, তখন তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কৃষকেরা পাচ্ছেন চাহিদামতো সেচের পানি। অল্প খরচে এই সুবিধা পাচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া এবার ভালো ফলনের পাশাপাশি লাভের আশা করছেন তিন জেলার তিস্তা সেচ প্রকল্পভুক্ত আমন চাষিরা।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ সম্প্রসারণ দপ্তর বলছে, নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুরে এবার আমনে ৪০ কোটি টাকার জ্বালানি সাশ্রয় করেছে তিস্তা সেচ প্রকল্প।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় এবারে যন্ত্রচালিত মেশিনে প্রতি বিঘায় সেচ দিতে খরচ হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু তিস্তা সেচ ক্যানেলের পানি দিয়ে বিঘাপ্রতি খরচ হচ্ছে মাত্র ৮০ টাকা। তবে জ্বালানি তেল, সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ার ফলে বাজারে ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলে আমন আবাদে খরচ উঠবে না বলে মনে করছেন এ অঞ্চলের চাষিরা।
জেলা সদরের কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের তিস্তা ক্যানেলসংলগ্ন তেঁতুলতলার কৃষক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অনাবৃষ্টির সময়ে তিস্তা সেচ প্রকল্পের পানি দিয়ে চার বিঘা
জমিতে আমনের চাষ করেছি। সময়মতো পানি সেচের কারণে চাষাবাদের জন্য ভালো হয়েছে।’
সোনারায় ইউনিয়নের সাতারু পাড়ার কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘তিস্তা প্রকল্পের কারণে পাঁচ বিঘা জমিতে পানির অভাব নাই। প্রকল্পের সেচ সুবিধা নিতে এক বিঘায় ৮০ টাকা লাগছে।’
সোনারায় ইউনিয়নের গ্রাম খেন পাড়ার চাষি অনিল চন্দ্র বলেন, ‘এবার জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায়, সেচযন্ত্রে এক বিঘায় সেচ দিতে খরচ হয় ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। আর তিস্তার পানি দিয়ে বিঘায় খরচ হচ্ছে মাত্র ৮০ টাকা। চারা রোপণ থেকে শুরু করে ছয় থেকে সাতবার পানি দিলেই যথেষ্ট। ক্যানেলে পানিও আছে প্রচুর, আমন আবাদে কোনো সমস্যাই নেই। ধানের চারা সুস্থ আছে। এবারে ভালো ফলনের আশা করছি।’
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র জানায়, খরার কারণে চলতি আমন মৌসুমে ৪০ কোটি টাকার ডিজেল সাশ্রয় করেছে তিস্তা সেচ প্রকল্প। ক্যানেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ সেচের পানি থাকায় প্রকল্প এলাকায় শ্যালো মেশিন, বিদ্যুৎচালিত পাম্প ব্যবহার করতে হচ্ছে না। চলতি মৌসুমে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এর মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ক্যানেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ৪৩ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দিতে সক্ষম হয়েছে। এই সুবিধা পেয়েছেন নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুরের ১২ উপজেলার প্রায় ৬ লাখ কৃষক।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ দৌলা আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও সেচ বাবদ কৃষকদের কাছ থেকে বিঘাপ্রতি ৮০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এবারে আগস্ট পর্যন্ত ৪৩ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া হয়েছে। ধানের চারা তরতাজা ও সবল হয়েছে। এবারে আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪