Ajker Patrika

নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই তিন গ্রামের ভরসা

হিজলা প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ মে ২০২২, ১০: ০২
নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই তিন গ্রামের ভরসা

হিজলা উপজেলায় ৩টি গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের ধুলখোলা গ্রামে সাজাহান আকনের দোকান সংলগ্ন ওই সাঁকোটি দিয়ে বাধ্য হয়ে যাতায়াত করছেন তিন গ্রামের মানুষ।

জানা যায়, ধুলখোলা ইউনিয়নের ধুলখোলা, মাটিয়াল এবং সংকরপাশা গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের ভরসা একটি মাত্র সাঁকো। দীর্ঘদিন ধরে সেতুর আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু এখন পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়নি ওই তিন গ্রামের মানুষের ভাগ্য। ১৬০ ফুট দীর্ঘ ওই নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটি তাঁদের বাধ্য হয়ে ব্যবহার করতে হচ্ছে। সাঁকোটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ, নারী এবং অসুস্থ মানুষেরা। তাঁরা সাঁকোর নিচে নৌকা দিয়ে পারাপার করে থাকের।

ধুলখোলা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা রহিম সিকাদার বলেন, ‘দীর্ঘ এই বাঁশের সাঁকোটি পার হতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ধান, সরিষা, পাটসহ বিভিন্ন উৎপাদিত কৃষিপণ্য নৌকা কিংবা ট্রলারে করে বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যেতে হয়। ৩টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষেরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এই সাঁকো। এখানে একটি সেতু না থাকায় গ্রামের মানুষদের যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে।’

রহিম সিকদার আরও বলেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য পংকজ নাথ এই সাঁকোটি বারবার পরিদর্শন করেছেন। তিনি সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু সেই আশ্বাস আজও বাস্তবায়িত হয়নি।’

ধুলখোলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রত্তন রাড়ী বলেন, ‘আমাদের গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই ভাঙা সাঁকোটি। সংসদ সদস্য পংকজ নাথ এখানে সেতু নির্মাণ করে দেবেন বলছে। তবে কবে নাগাদ সেতুটি হবে তা জানা নেই।’

ধুলখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে জসিম উদ্দিন এ বিষয়ে জানান, ধুলখোলা সাঁকোটির খুবই অবস্থা খুবই খারাপ। এ বিষয়ে সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখানে একটি সেতু নির্মাণের বরাদ্দ হয়েছে। কিছুদিন পরেই নির্মাণকাজ শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত