Ajker Patrika

পানিবন্দী ৮ গ্রামের মানুষ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
পানিবন্দী ৮ গ্রামের মানুষ

ফারাক্কা থেকে নেমে আসা পানিতে ফেঁপে উঠেছে পদ্মা। ইতিমধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কুষ্টিয়ার চিলমারী ইউনিয়নের অন্তত ৮ গ্রামের মানুষ। ভাঙন ও বন্যার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে দৌলতপুর উপজেলার পদ্মাপাড়ের চার ইউনিয়নের মানুষ।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, প্রতিদিন নদীতে গড়ে ১২ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে। গত সাত দিনে নদীতে পানি বেড়েছে অন্তত ৮২ সেন্টিমিটার। গতকাল রোববার সকালে নদীতে পানির প্রবাহ ছিল ১৩ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এদিকে কুষ্টিয়া হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ২৫ মিটার। এসব তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আবদুল হামিদ। ইতিমধ্যে পানির নিচে তলিয়ে গেছে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, চিলমারী, ফিলিপনগর ও

মরিচা ইউনিয়নের পদ্মার চরের আবাদি জমি। এবার বন্যার আশঙ্কা না থাকায় অনেক চাষি জমি প্রস্তুত করেছিলেন বিভিন্ন মৌসুমি আবাদের জন্য, যা এখন পানির নিচে তলিয়ে আছে। 
এদিকে চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের অন্তত ৮টি গ্রামের মানুষ এখন পানিবন্দী। চলাচলের রাস্তা তলিয়ে গেছে। তবে এখনো বসতঘরে পানি প্রবেশ করেনি।’

এ বিষয়ে ফিলিপনগর ইউপি চেয়ারম্যান নইম উদ্দিন সেন্টু ও রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল জানান, তাঁদের ইউনিয়নের পদ্মার চরের সব আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। এতে মাষকলাই চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল জব্বার বলেন, ‘কয়েকটি গ্রামের মানুষের পানিবন্দী হওয়ার খবর শুনেছি। তবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

রাজধানীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে ইরানের দুই নাগরিককে মারধর

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে পন্টিংয়ের আরেকটি রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত