লাইসা আহমদ লিসা
যদি একটু অতীত থেকে শুরু করি, তাহলে তো দেখতে পাব, ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকীতে সামাজিকভাবে বিরূপতার মধ্যেই কিছু মানুষ রবীন্দ্রনাথকে আশ্রয় করে এগিয়ে গেল স্বাধিকার আন্দোলন, স্বাধীনতার দিকে। রবীন্দ্রনাথ সব সময়ই আমাদের বড় আশ্রয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় রবীন্দ্রনাথের গান, স্বদেশপর্যায়ের গানগুলো ভীষণভাবে উজ্জীবিত করেছে মানুষকে।
আরেকটু বলি। আমাদের বাঙালি জীবনে এমন কোনো দিন কি আছে, যার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কোনো কবিতা বা গানকে একাত্ম করে দেখা যায় না? এটা অবশ্য বলছি তাঁদের কথা, যাঁরা রবীন্দ্রনাথকে চর্চা করেন।
এখন নতুন প্রজন্ম কীভাবে রবীন্দ্রনাথকে জানে, চেনে, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। তখন তো ছিল সংগ্রামী জীবন। স্বাধীন বাংলাদেশ সেটা না হলেও যারা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, যেমন ছায়ানট, রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদসহ আরও অনেক সংগঠন রয়েছে, তাদের ছাড়া রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কাজ কতটা হচ্ছে, সেটা একটা প্রশ্ন। এই করোনাকালেও আমরা দেখি, রবীন্দ্রনাথের ‘সভ্যতার সংকট’-এর লেখাগুলো কিন্তু আমাদের প্রচণ্ডভাবে আলোড়িত করেছে। কারণ, আমরা দেখছি যে রবীন্দ্রনাথ বলছেন, একমাত্র মানুষই পারে ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়াতে। এই যে বিপর্যয়, তাতেও কিন্তু রবীন্দ্রনাথকেই আমরা আশ্রয় করে চলি।
তরুণ প্রজন্মের দিক থেকে যদি বলি, তবে প্রশ্ন আসবে, তারা রবীন্দ্রনাথকে কতটুকু জানে? পাঠ্যপুস্তকে রবীন্দ্রনাথ কতটা আছেন? সেদিক থেকে একটা দায়বদ্ধতা তো আমাদের সবারই আছে। যারা রবীন্দ্রনাথ চর্চা করে, তাদের এই দায়বদ্ধতা বেশি। রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা কিন্তু অনেক ছড়িয়ে কাজটা করার চেষ্টা করি। সেখানে শুধু রবীন্দ্রনাথ নয়, দেশভাবনা, দেশপ্রেম জাগ্রত করার কাজগুলো আরও বেশি করা দরকার। কারণ, সবাই জানে, এখন একটা সংকটময় সময় আমরা পার করছি। আমাদের একটা ধর্ম পরিচয় আছে, একটা বাঙালি পরিচয় আছে, তার মধ্যে একটা সংঘাত এবং টানাপোড়েনের সৃষ্টি করা হয়েছে, সে বিষয়টা তো এখনকার ছেলেমেয়েরা বুঝে উঠতে পারে না। চেতনাটা সদাজাগ্রত রাখার যে প্রয়াস, এটা আরও প্রবলভাবে আমাদের করা দরকার। তাহলে একটা অন্য রকম দেশের চেহারা দেখতে পাওয়ার কথা। সরকার বা প্রশাসনের দিক থেকে সেই চেষ্টা একেবারে নেই, সে কথা তো বলা যায় না, আরও কীভাবে সেটা করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। মানুষকে এভাবে বিভ্রান্ত করে দেওয়া যে একটা সুদূরপ্রসারী অপচিন্তার ফল, সেটা না বললেও চলে।
ধর্মান্ধতা তো ভালো কিছু দিতে পারে না। ধর্মান্ধ কারও সঙ্গে যখন আমি কথা বলি, তখন বুঝতে পারি, এরা আসলে কিছুই জানে না, কিছুই ভাবে না। যেন ওদের চোখ বেঁধে দেওয়া হয়েছে, ওরা কিছুই দেখতে পায় না। ওরা একটা বিশেষ পথে চলছে, মনে করছে ওই পথটাই ঠিক পথ। খুব কঠিন তাদের ফিরিয়ে আনা। তারপরও আমি আশা হারাই না। আমরা যদি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করি, তাহলে নিশ্চয়ই অন্ধকার দূর হবে। কিন্তু কীভাবে সেটা হবে, সে পথ খুঁজে বের করতে হবে। এখন টিপ পরা নিয়েই কত কাণ্ড হচ্ছে, যা ভাবাই যায় না। রাস্তাঘাটে চলাফেরায়ও এখন মনে হয়, কী ঘটতে যাচ্ছে সামনে কে জানে! সেখানে রবীন্দ্রনাথ কীভাবে আমাদের সহায় হবেন, সেটা একটা প্রশ্ন। আমাদের কাজগুলো একটু গুছিয়ে করলে, দায়িত্বের সঙ্গে করলে হয়তো সম্মিলিতভাবে কিছুটা হলেও এটা রোধ করা যাবে।
আমাদের নিজেদের কী পরিচয়, সেটাই তো আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। সেটা যদি স্পষ্ট হতো, বলা হতো আমি বাঙালি, তবে তার সঙ্গে তো ধর্মের কোনো বিরোধ হতে পারে না। সেই ব্যাপারটা পরিষ্কার করতেই তো রবীন্দ্রনাথের আশ্রয় আমাদের বিশেষভাবে দরকার। আমি কিসে বাঙালি, আমার সংস্কৃতি, আমার চলা, আমার কথা, আমার চিন্তা, আমার স্বপ্ন—সবটাই মিলে আমি যদি তাকে ধারণ করি এবং আমার ধারণ থেকে সেটা যদি আর কেউ গ্রহণ করতে পারে, মানে আমি কীভাবে ধারণ করছি, সেটা অন্যের কাছে কীভাবে পৌঁছাচ্ছে, তার ওপর আসলে সব নির্ভর করে। অতীতে যে মানুষেরা রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কাজ করেছেন, তাঁদের মেধা, শক্তি, দায়বদ্ধতা ছিল, তার সঙ্গে এখনকার সময়ের প্রচণ্ড একটা গ্যাপ হয়ে গেছে। জ্ঞানের দিক থেকে বলেন, মেধার দিক থেকে বলেন এবং আমরা একটু বিচ্ছিন্নও হয়ে গিয়েছি। কিসের জন্য বিচ্ছিন্ন? সেই প্রশ্নটি কিন্তু অদ্ভুত। তখন একটা চিহ্নিত শত্রু ছিল, তার জন্য সেই শত্রুর বিরুদ্ধে সবাই এক হতে পেরেছিল। কিন্তু অপশক্তি সব সময়ই ছিল, এখনো আছে। এই অপশক্তির হাতে অন্য ধরনের অস্ত্র আছে। সেটা হলো ধর্ম। বঙ্গভঙ্গ বলেন, দেশভাগ বলেন—ধর্মকেই কিন্তু বারে বারে আনা হচ্ছে। জাতি, ধর্মের ভেদাভেদ করে তা লালন করা হচ্ছে। এখন এটা প্রকট হতে পারছে এ জন্য যে আমরা বোধ হয় আমাদের ওপর দেওয়া দায়িত্ব থেকে সরে গেছি।
এখন কিন্তু নারীমুক্তির বিষয়টিও প্রশ্নবোধক হয়ে গেছে। সাইকেল চালিয়ে মেয়েরা স্কুলে যেত, পোশাক কারখানায় স্বাধীনভাবে যেত মেয়েরা, এখন কিন্তু তাদের সবাইকে বোরকা পরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা মেয়েরা মনেপ্রাণে করছে, তা তো নয়। এটা তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনভাবে বোঝানো হয়েছে যে মেয়েরাও ভাবছে, এটা না করলে কেমন হয়। এই যে একটা সামাজিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে পরিস্থিতিটা ঘোলাটে। আমরা যে যেখানে থাকি না কেন, যদি একটু গ্রামগঞ্জে সর্বত্র মানুষের সঙ্গে মিলে কাজ করতাম, তাহলে পরিস্থিতিটা একটু পাল্টে যেত।
রবীন্দ্রনাথ কীভাবে আমাদের সঙ্গে থাকেন, তা নিয়ে একটু বলি। আমাদের মনের অবস্থা ভালো বা মন্দ হোক, যখনই আমি তা নিয়ে ভাবি, দেখা যায় রবীন্দ্রনাথের একটা গান কিংবা কবিতা তাতে এসে যায়। আমার আনন্দ, বেদনা সবকিছুতেই আমি রবীন্দ্রনাথকে পাই। খুব আনন্দ হলেও রবীন্দ্রনাথের গান মনে হয়, আর বেদনার সময় বিশেষ কোনো গান আমাকে সঙ্গ দেয়। জীবনে আমি এ রকমভাবেই রবীন্দ্রনাথকে পাই।
যদি একটু অতীত থেকে শুরু করি, তাহলে তো দেখতে পাব, ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকীতে সামাজিকভাবে বিরূপতার মধ্যেই কিছু মানুষ রবীন্দ্রনাথকে আশ্রয় করে এগিয়ে গেল স্বাধিকার আন্দোলন, স্বাধীনতার দিকে। রবীন্দ্রনাথ সব সময়ই আমাদের বড় আশ্রয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় রবীন্দ্রনাথের গান, স্বদেশপর্যায়ের গানগুলো ভীষণভাবে উজ্জীবিত করেছে মানুষকে।
আরেকটু বলি। আমাদের বাঙালি জীবনে এমন কোনো দিন কি আছে, যার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কোনো কবিতা বা গানকে একাত্ম করে দেখা যায় না? এটা অবশ্য বলছি তাঁদের কথা, যাঁরা রবীন্দ্রনাথকে চর্চা করেন।
এখন নতুন প্রজন্ম কীভাবে রবীন্দ্রনাথকে জানে, চেনে, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। তখন তো ছিল সংগ্রামী জীবন। স্বাধীন বাংলাদেশ সেটা না হলেও যারা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, যেমন ছায়ানট, রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদসহ আরও অনেক সংগঠন রয়েছে, তাদের ছাড়া রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কাজ কতটা হচ্ছে, সেটা একটা প্রশ্ন। এই করোনাকালেও আমরা দেখি, রবীন্দ্রনাথের ‘সভ্যতার সংকট’-এর লেখাগুলো কিন্তু আমাদের প্রচণ্ডভাবে আলোড়িত করেছে। কারণ, আমরা দেখছি যে রবীন্দ্রনাথ বলছেন, একমাত্র মানুষই পারে ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়াতে। এই যে বিপর্যয়, তাতেও কিন্তু রবীন্দ্রনাথকেই আমরা আশ্রয় করে চলি।
তরুণ প্রজন্মের দিক থেকে যদি বলি, তবে প্রশ্ন আসবে, তারা রবীন্দ্রনাথকে কতটুকু জানে? পাঠ্যপুস্তকে রবীন্দ্রনাথ কতটা আছেন? সেদিক থেকে একটা দায়বদ্ধতা তো আমাদের সবারই আছে। যারা রবীন্দ্রনাথ চর্চা করে, তাদের এই দায়বদ্ধতা বেশি। রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা কিন্তু অনেক ছড়িয়ে কাজটা করার চেষ্টা করি। সেখানে শুধু রবীন্দ্রনাথ নয়, দেশভাবনা, দেশপ্রেম জাগ্রত করার কাজগুলো আরও বেশি করা দরকার। কারণ, সবাই জানে, এখন একটা সংকটময় সময় আমরা পার করছি। আমাদের একটা ধর্ম পরিচয় আছে, একটা বাঙালি পরিচয় আছে, তার মধ্যে একটা সংঘাত এবং টানাপোড়েনের সৃষ্টি করা হয়েছে, সে বিষয়টা তো এখনকার ছেলেমেয়েরা বুঝে উঠতে পারে না। চেতনাটা সদাজাগ্রত রাখার যে প্রয়াস, এটা আরও প্রবলভাবে আমাদের করা দরকার। তাহলে একটা অন্য রকম দেশের চেহারা দেখতে পাওয়ার কথা। সরকার বা প্রশাসনের দিক থেকে সেই চেষ্টা একেবারে নেই, সে কথা তো বলা যায় না, আরও কীভাবে সেটা করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। মানুষকে এভাবে বিভ্রান্ত করে দেওয়া যে একটা সুদূরপ্রসারী অপচিন্তার ফল, সেটা না বললেও চলে।
ধর্মান্ধতা তো ভালো কিছু দিতে পারে না। ধর্মান্ধ কারও সঙ্গে যখন আমি কথা বলি, তখন বুঝতে পারি, এরা আসলে কিছুই জানে না, কিছুই ভাবে না। যেন ওদের চোখ বেঁধে দেওয়া হয়েছে, ওরা কিছুই দেখতে পায় না। ওরা একটা বিশেষ পথে চলছে, মনে করছে ওই পথটাই ঠিক পথ। খুব কঠিন তাদের ফিরিয়ে আনা। তারপরও আমি আশা হারাই না। আমরা যদি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করি, তাহলে নিশ্চয়ই অন্ধকার দূর হবে। কিন্তু কীভাবে সেটা হবে, সে পথ খুঁজে বের করতে হবে। এখন টিপ পরা নিয়েই কত কাণ্ড হচ্ছে, যা ভাবাই যায় না। রাস্তাঘাটে চলাফেরায়ও এখন মনে হয়, কী ঘটতে যাচ্ছে সামনে কে জানে! সেখানে রবীন্দ্রনাথ কীভাবে আমাদের সহায় হবেন, সেটা একটা প্রশ্ন। আমাদের কাজগুলো একটু গুছিয়ে করলে, দায়িত্বের সঙ্গে করলে হয়তো সম্মিলিতভাবে কিছুটা হলেও এটা রোধ করা যাবে।
আমাদের নিজেদের কী পরিচয়, সেটাই তো আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। সেটা যদি স্পষ্ট হতো, বলা হতো আমি বাঙালি, তবে তার সঙ্গে তো ধর্মের কোনো বিরোধ হতে পারে না। সেই ব্যাপারটা পরিষ্কার করতেই তো রবীন্দ্রনাথের আশ্রয় আমাদের বিশেষভাবে দরকার। আমি কিসে বাঙালি, আমার সংস্কৃতি, আমার চলা, আমার কথা, আমার চিন্তা, আমার স্বপ্ন—সবটাই মিলে আমি যদি তাকে ধারণ করি এবং আমার ধারণ থেকে সেটা যদি আর কেউ গ্রহণ করতে পারে, মানে আমি কীভাবে ধারণ করছি, সেটা অন্যের কাছে কীভাবে পৌঁছাচ্ছে, তার ওপর আসলে সব নির্ভর করে। অতীতে যে মানুষেরা রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কাজ করেছেন, তাঁদের মেধা, শক্তি, দায়বদ্ধতা ছিল, তার সঙ্গে এখনকার সময়ের প্রচণ্ড একটা গ্যাপ হয়ে গেছে। জ্ঞানের দিক থেকে বলেন, মেধার দিক থেকে বলেন এবং আমরা একটু বিচ্ছিন্নও হয়ে গিয়েছি। কিসের জন্য বিচ্ছিন্ন? সেই প্রশ্নটি কিন্তু অদ্ভুত। তখন একটা চিহ্নিত শত্রু ছিল, তার জন্য সেই শত্রুর বিরুদ্ধে সবাই এক হতে পেরেছিল। কিন্তু অপশক্তি সব সময়ই ছিল, এখনো আছে। এই অপশক্তির হাতে অন্য ধরনের অস্ত্র আছে। সেটা হলো ধর্ম। বঙ্গভঙ্গ বলেন, দেশভাগ বলেন—ধর্মকেই কিন্তু বারে বারে আনা হচ্ছে। জাতি, ধর্মের ভেদাভেদ করে তা লালন করা হচ্ছে। এখন এটা প্রকট হতে পারছে এ জন্য যে আমরা বোধ হয় আমাদের ওপর দেওয়া দায়িত্ব থেকে সরে গেছি।
এখন কিন্তু নারীমুক্তির বিষয়টিও প্রশ্নবোধক হয়ে গেছে। সাইকেল চালিয়ে মেয়েরা স্কুলে যেত, পোশাক কারখানায় স্বাধীনভাবে যেত মেয়েরা, এখন কিন্তু তাদের সবাইকে বোরকা পরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা মেয়েরা মনেপ্রাণে করছে, তা তো নয়। এটা তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনভাবে বোঝানো হয়েছে যে মেয়েরাও ভাবছে, এটা না করলে কেমন হয়। এই যে একটা সামাজিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে পরিস্থিতিটা ঘোলাটে। আমরা যে যেখানে থাকি না কেন, যদি একটু গ্রামগঞ্জে সর্বত্র মানুষের সঙ্গে মিলে কাজ করতাম, তাহলে পরিস্থিতিটা একটু পাল্টে যেত।
রবীন্দ্রনাথ কীভাবে আমাদের সঙ্গে থাকেন, তা নিয়ে একটু বলি। আমাদের মনের অবস্থা ভালো বা মন্দ হোক, যখনই আমি তা নিয়ে ভাবি, দেখা যায় রবীন্দ্রনাথের একটা গান কিংবা কবিতা তাতে এসে যায়। আমার আনন্দ, বেদনা সবকিছুতেই আমি রবীন্দ্রনাথকে পাই। খুব আনন্দ হলেও রবীন্দ্রনাথের গান মনে হয়, আর বেদনার সময় বিশেষ কোনো গান আমাকে সঙ্গ দেয়। জীবনে আমি এ রকমভাবেই রবীন্দ্রনাথকে পাই।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫