Ajker Patrika

স্বাস্থ্যকর্মী কম, টিকার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ১২
স্বাস্থ্যকর্মী কম, টিকার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা

নেত্রকোনায় করোনার টিকা নিতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের টিকা নিতে হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ জুড়ে নেত্রকোনা সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুলের ১ হাজারের বেশি ছাত্র-ছাত্রী লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে।

টিকাদানের ধীরগতির কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদেরকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, কেউ কেউ স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে লাইনে না দাঁড়িয়ে টিকা নিয়ে চলে গেছে।

ঠাকুরাকোণা রহিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র আব্দুর রহিম জানায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। টিকাদানের সময় শেষ হয়ে আসছে। টিকা নিতে পারব কি না জানি না।

একই রকম বিরক্তি প্রকাশ করে দক্ষিণ বিশিউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী পিউ, লক্ষীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সোহেল রানা, মারাদিঘী গোলাম হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মিম জান্নাত।

তারা জানায়, সেই সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি। লাইন ফুরাতেই চায় না। কখন টিকা দিতে পারব জানি না। তারা অভিযোগ করে, অনেকেই লাইন ছাড়াই টিকা দিয়ে চলে যায়। এর ছবি তোলার কারণে রেডক্রিসেন্টের এক লোক দু্ই ছাত্রকে মারধর করেছে।

তবে নেত্রকোনা জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে টিকাদানরত চিকিৎসক, নার্স, রেডক্রিসেন্টের কর্মীরা সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। কোনো ধরনের তথ্য দিতেও চাননি। তারা সাংবাদিকতের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করনে।

এদিকে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের সহায়তাদানকারী রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মী দুই ছাত্রকে মারধর করে। এতে বিক্ষুদ্ধ হয় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা।

তবে রেড ক্রিসেন্টের ওই কর্মী ইমরান জানিয়েছেন, আমাকে গালিগালাজ করার কারণে একটু তর্কবিতর্ক হয়েছে। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

মারধরের বিষয়টি অনেকে দেখলেও এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একটি স্কুলের শিক্ষক বলেন, আমার নাম দিয়ে কি করবেন। স্কুলের নাম জানারই বা কি দরকার? দেখতেই পারছেন এখানে কি অবস্থা।

এ বিষয়ে নেত্রকোনার সিভিল সার্জন সেলিম মিয়া বলেন, টিকাদানকারি সেবিকার তুলনায় টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা অনেক বেশি।

যে কারণে শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে এসে একটু কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। মারধরের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। এরকম কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে তা খুবই দুঃখজনক ও অনাকাঙ্খিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা, রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে এবি ব্যাংক

‘বউ আমাকে মিথ্যা ভালোবাসত, টাকা না থাকলে ছেড়ে যাবে, তাই মরে গেলাম’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত