Ajker Patrika

সোনারগাঁয়ে নৌকা ও লাঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি

আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১২: ১৩
সোনারগাঁয়ে নৌকা ও লাঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি

সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা ও লাঙ্গলের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি ও দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার বস্তল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী জানান, গতকাল বিকেলে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের সাইদুর চৌধুরী মার্কেট এলাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হুমায়ুন কবির ভূঁইয়ার প্রচারণায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এক যুবক। এ ঘটনার জেরে বস্তল এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে জাতীয় পার্টির সমর্থিত লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া মাকসুদের গাড়ির পথ রোধ করেন নৌকার সমর্থকেরা। তাঁরা মাকসুদের নেতা-কর্মীদের আহত করে দুটি গাড়ি ভাঙচুর চালান। পরে লাঙ্গলের সমর্থকেরা নৌকার নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে ফের গুলি ছোড়ে। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন।

খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মুস্তাফা মুন্না ও সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৮-১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। পরে অস্ত্রধারী যুবক পারভেজকে এলাকাবাসী আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

অপরদিকে খবর পেয়ে মাকসুদ আলমের লোকজন পাকুন্দা এলাকায় নৌকার কয়েকটি ক্যাম্প ভাঙচুর করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

নৌকার প্রার্থী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘গণসংযোগকালে একজন অস্ত্রধারী আমাকে লক্ষ্য করে পিস্তল দিয়ে গুলি করার সময় সমর্থকেরা দেখে ফেলে। পরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।’

সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৮-১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অস্ত্রধারী পারভেজকে মুমূর্ষু অবস্থায় আটক করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, দুই প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অন্যদিকে পিরোজপুর ইউপিতে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছেন। গত বুধবার রাতে ঝাউচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় চারজনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত