অনলাইন ডেস্ক
ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে যখন বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে, তখন ভিন্ন সুর শোনা গেল এক ইরানি নারীর কণ্ঠে। নিকু পাজুম নামের এই নারীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইরানে। বর্তমানে কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটিতে আইন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। সম্প্রতি তাঁর একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে ইসরায়েলি সংবাদ টাইমস অব ইসরায়েলে। এতে ইসরায়েলের হামলায় নিজের আশার কথা ব্যক্ত করেছেন নিকু পাজুম। তাঁর মতে, ইসরায়েলের এই সামরিক অভিযান ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার এক সুযোগ তৈরি করেছে।
নিকু পাজুম লিখেছেন, কয়েক দিন ধরে আমার পরিচিত অনেকে, যাঁরা জানেন, আমি ইরানি, উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমি কেমন আছি।’ তাঁদের প্রায় সবাই ধরে নিয়েছেন, ইসরায়েলের হামলায় আমি নিশ্চয়ই ক্ষুব্ধ। তাই যখন আমি তাঁদের বলি, আমি ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে পুরোপুরি সমর্থন করি, তখন তাঁরা বিস্মিত হন—কেউ কেউ কষ্টও পান।
আমি জীবনের প্রথম দুই দশক ইরানে কাটিয়েছি। আমি এমন এক ইরান দেখেছি, যেটি মোল্লাতন্ত্রের শাসনে চলছে। আমি এমন এক ইরান দেখেছি, যেখানে নারীদের হত্যা, ধর্ষণ ও অপমান করা হয়, যেখানে ভিন্নমতকে দমন করা হয় নির্মমভাবে।
আমার জীবদ্দশায় আমি দেখেছি, ১৯৯৯ ও ২০০৩ সালের ছাত্র আন্দোলন, ২০০৯ সালের গ্রিন মুভমেন্ট, ২০১৭-১৮ সালের অর্থনৈতিক বিক্ষোভ, ফ্লাইট-৭৫২ নিয়ে আন্দোলন এবং সর্বশেষ মাহসা আমিনিকে ঘিরে হওয়া গণবিক্ষোভ। এই তালিকা অসম্পূর্ণ, এটি শুধু আমার সময়ের অংশ। ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী গত অর্ধশতকে বহু প্রজন্মের ইরানিকে হত্যা করেছে। বিক্ষোভের সময় তারা গণহত্যা চালায়, আর স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে কঠোর আইনের মাধ্যমে নৃশংসভাবে দমন করে। ইরানের আইনে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক, ব্যভিচারের অভিযোগে পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়, ‘অশালীন’ পোশাক পরলে শাস্তি দেওয়া হয় এবং পরিবার ও দণ্ডবিধির মধ্যযুগীয় বিধিনিষেধে নারীদের করা হয় বন্দী।
খেয়াল করেন, ইসরায়েল যখন ইরানে হামলা চালাচ্ছে, তখনো এই শাসকগোষ্ঠী ইরানি আন্দোলনকারীদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের মুখেও এই রক্তপিপাসু শাসনের রক্তচাপ কমে না।
ইসরায়েল এখন পর্যন্ত যেসব হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সুনির্দিষ্ট ও লক্ষ্যভিত্তিক। এই হামলার লক্ষ্য—ইরানের আগ্রাসী ও জনগণকে জিম্মি করে রাখা শাসনের পারমাণবিক উচ্চাশা থামানো। ইসরায়েল আর আপস নয়, এখন মুখোমুখি হতে চাইছে।
অনেকে ইরানের তেল ও গ্যাস শোধনাগারে চালানো হামলার নিন্দা করছেন। কিন্তু তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন, এই সম্পদ ইরানিদের কাজে আসে না; বরং শাসকেরা এ থেকে প্রাপ্ত আয় নিজেদের পকেটে পুরে নেয় এবং তা দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়। তাই এই সম্পদ ধ্বংস হওয়া আমার দৃষ্টিতে ক্ষতি নয়; বরং উপকারও হতে পারে। ইরানের প্রাকৃতিক সম্পদ আমাদের জন্য আশীর্বাদ নয়, বরং অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইরানে ইসরায়েলের হামলায় বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (IRGC) কিছু কুখ্যাত সদস্য নিহত হয়েছে—এই হামলাকে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের সঙ্গে তুলনা করা অমূলক। গাজায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা যেখানে অসংখ্য, সেখানে ইরানে অভিযান ছিল নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক। যদি এ ধরনের নির্ভুলতা হারিয়ে যায়, আমার সমর্থনও পুনর্বিবেচনার দাবি রাখবে।
ইসরায়েল যেখানে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র এখনো পিছিয়ে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনো এই মোল্লা সরকারের সঙ্গে আলোচনার আশা পোষণ করছেন। বারবার তিনি দেখিয়েছেন, তিনি কেবল দুর্বল অভিবাসীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন করেন। হয়তো এবার তিনি আসল শত্রুর মুখোমুখি হতে পারবেন।
শোনা যাচ্ছে, ইসরায়েল ইরানে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনের (regime change) নীতির কথা ভাবছে। আমি বলব, যুদ্ধকে অর্থবহ করতে হলে এটাই একমাত্র উপায়। মোল্লাতন্ত্রের অর্ধশতক শাসন কীভাবে ইরান ও গোটা অঞ্চলকে ক্ষতবিক্ষত করেছে, তা আমরা জানি। আরেক অর্ধশতক হলে কী হবে, তা অনুমান করতে হয় না।
যদি এই শাসন টিকে যায়, তবে তারা নিজেদের আরও অপরাজেয় ভাববে। সন্ত্রাসবাদ আরও বিস্তৃত হবে। ইরানে যদি প্রকৃত অর্থে সন্ত্রাসবাদের প্রার্থীবিহীন নির্বাচন না হয়, তবে পরিবর্তন আসবে না।
মধ্যপ্রাচ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রায় প্রতিটি দেশের অভিজ্ঞতা। আমি আশাবাদী, ইসরায়েলের সুনির্দিষ্ট অভিযান ও সুশৃঙ্খল ‘regime change’ নীতির মাধ্যমে, ইরানের এই রক্তপিপাসু শাসনব্যবস্থাকে আমরা পরাজিত করতে পারব।
তাই যাঁরা জানতে চান, ইসরায়েলের হামলা সম্পর্কে একজন ইরানির মতামত কী—আমি বলি, আমি আশান্বিত। আমি চাই, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ে এই সুযোগে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের পথে অগ্রসর হোক এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্রকে আরও ৫০ বছর টিকিয়ে রাখার ভুল না করুক।
সন্ত্রাসের সঙ্গে আপস মানেই সন্ত্রাসের পুনর্জন্ম। সময় এসেছে শান্তির পথে হাঁটার।
ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে যখন বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে, তখন ভিন্ন সুর শোনা গেল এক ইরানি নারীর কণ্ঠে। নিকু পাজুম নামের এই নারীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইরানে। বর্তমানে কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটিতে আইন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। সম্প্রতি তাঁর একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে ইসরায়েলি সংবাদ টাইমস অব ইসরায়েলে। এতে ইসরায়েলের হামলায় নিজের আশার কথা ব্যক্ত করেছেন নিকু পাজুম। তাঁর মতে, ইসরায়েলের এই সামরিক অভিযান ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার এক সুযোগ তৈরি করেছে।
নিকু পাজুম লিখেছেন, কয়েক দিন ধরে আমার পরিচিত অনেকে, যাঁরা জানেন, আমি ইরানি, উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমি কেমন আছি।’ তাঁদের প্রায় সবাই ধরে নিয়েছেন, ইসরায়েলের হামলায় আমি নিশ্চয়ই ক্ষুব্ধ। তাই যখন আমি তাঁদের বলি, আমি ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে পুরোপুরি সমর্থন করি, তখন তাঁরা বিস্মিত হন—কেউ কেউ কষ্টও পান।
আমি জীবনের প্রথম দুই দশক ইরানে কাটিয়েছি। আমি এমন এক ইরান দেখেছি, যেটি মোল্লাতন্ত্রের শাসনে চলছে। আমি এমন এক ইরান দেখেছি, যেখানে নারীদের হত্যা, ধর্ষণ ও অপমান করা হয়, যেখানে ভিন্নমতকে দমন করা হয় নির্মমভাবে।
আমার জীবদ্দশায় আমি দেখেছি, ১৯৯৯ ও ২০০৩ সালের ছাত্র আন্দোলন, ২০০৯ সালের গ্রিন মুভমেন্ট, ২০১৭-১৮ সালের অর্থনৈতিক বিক্ষোভ, ফ্লাইট-৭৫২ নিয়ে আন্দোলন এবং সর্বশেষ মাহসা আমিনিকে ঘিরে হওয়া গণবিক্ষোভ। এই তালিকা অসম্পূর্ণ, এটি শুধু আমার সময়ের অংশ। ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী গত অর্ধশতকে বহু প্রজন্মের ইরানিকে হত্যা করেছে। বিক্ষোভের সময় তারা গণহত্যা চালায়, আর স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে কঠোর আইনের মাধ্যমে নৃশংসভাবে দমন করে। ইরানের আইনে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক, ব্যভিচারের অভিযোগে পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়, ‘অশালীন’ পোশাক পরলে শাস্তি দেওয়া হয় এবং পরিবার ও দণ্ডবিধির মধ্যযুগীয় বিধিনিষেধে নারীদের করা হয় বন্দী।
খেয়াল করেন, ইসরায়েল যখন ইরানে হামলা চালাচ্ছে, তখনো এই শাসকগোষ্ঠী ইরানি আন্দোলনকারীদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের মুখেও এই রক্তপিপাসু শাসনের রক্তচাপ কমে না।
ইসরায়েল এখন পর্যন্ত যেসব হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সুনির্দিষ্ট ও লক্ষ্যভিত্তিক। এই হামলার লক্ষ্য—ইরানের আগ্রাসী ও জনগণকে জিম্মি করে রাখা শাসনের পারমাণবিক উচ্চাশা থামানো। ইসরায়েল আর আপস নয়, এখন মুখোমুখি হতে চাইছে।
অনেকে ইরানের তেল ও গ্যাস শোধনাগারে চালানো হামলার নিন্দা করছেন। কিন্তু তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন, এই সম্পদ ইরানিদের কাজে আসে না; বরং শাসকেরা এ থেকে প্রাপ্ত আয় নিজেদের পকেটে পুরে নেয় এবং তা দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়। তাই এই সম্পদ ধ্বংস হওয়া আমার দৃষ্টিতে ক্ষতি নয়; বরং উপকারও হতে পারে। ইরানের প্রাকৃতিক সম্পদ আমাদের জন্য আশীর্বাদ নয়, বরং অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইরানে ইসরায়েলের হামলায় বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (IRGC) কিছু কুখ্যাত সদস্য নিহত হয়েছে—এই হামলাকে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের সঙ্গে তুলনা করা অমূলক। গাজায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা যেখানে অসংখ্য, সেখানে ইরানে অভিযান ছিল নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক। যদি এ ধরনের নির্ভুলতা হারিয়ে যায়, আমার সমর্থনও পুনর্বিবেচনার দাবি রাখবে।
ইসরায়েল যেখানে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র এখনো পিছিয়ে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনো এই মোল্লা সরকারের সঙ্গে আলোচনার আশা পোষণ করছেন। বারবার তিনি দেখিয়েছেন, তিনি কেবল দুর্বল অভিবাসীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন করেন। হয়তো এবার তিনি আসল শত্রুর মুখোমুখি হতে পারবেন।
শোনা যাচ্ছে, ইসরায়েল ইরানে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনের (regime change) নীতির কথা ভাবছে। আমি বলব, যুদ্ধকে অর্থবহ করতে হলে এটাই একমাত্র উপায়। মোল্লাতন্ত্রের অর্ধশতক শাসন কীভাবে ইরান ও গোটা অঞ্চলকে ক্ষতবিক্ষত করেছে, তা আমরা জানি। আরেক অর্ধশতক হলে কী হবে, তা অনুমান করতে হয় না।
যদি এই শাসন টিকে যায়, তবে তারা নিজেদের আরও অপরাজেয় ভাববে। সন্ত্রাসবাদ আরও বিস্তৃত হবে। ইরানে যদি প্রকৃত অর্থে সন্ত্রাসবাদের প্রার্থীবিহীন নির্বাচন না হয়, তবে পরিবর্তন আসবে না।
মধ্যপ্রাচ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রায় প্রতিটি দেশের অভিজ্ঞতা। আমি আশাবাদী, ইসরায়েলের সুনির্দিষ্ট অভিযান ও সুশৃঙ্খল ‘regime change’ নীতির মাধ্যমে, ইরানের এই রক্তপিপাসু শাসনব্যবস্থাকে আমরা পরাজিত করতে পারব।
তাই যাঁরা জানতে চান, ইসরায়েলের হামলা সম্পর্কে একজন ইরানির মতামত কী—আমি বলি, আমি আশান্বিত। আমি চাই, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ে এই সুযোগে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের পথে অগ্রসর হোক এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্রকে আরও ৫০ বছর টিকিয়ে রাখার ভুল না করুক।
সন্ত্রাসের সঙ্গে আপস মানেই সন্ত্রাসের পুনর্জন্ম। সময় এসেছে শান্তির পথে হাঁটার।
ইসরায়েলের আক্রমণে শীর্ষ ইরানি সামরিক কর্মকর্তাদের মৃত্যু, তেহরানে ক্রমাগত বিস্ফোরণ ও যুক্তরাষ্ট্রের অনড় অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, ইরানে ইসলামি শাসনব্যবস্থার পতন কি এবার হতেই চলেছে? অনেক বিশ্লেষক বলছেন, খামেনির পতন এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র।
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কূটনৈতিকভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব থেকে সরে এসে সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে যোগ দেবে।
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি ইরানে সামরিক হামলার কথা বিবেচনা করছেন বলে এনবিসি নিউজকে জানিয়েছে হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র। ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করার সক্ষমতার কথাও উল্লেখ করেন।
৬ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত যখন বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। আর এই অনিশ্চয়তা নতুন কিছু নয়—বরং নিজের রাজনৈতিক দর্শনের অংশ হিসেবেই ‘অপ্রত্যাশিত’ বা ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ থেকে যেতে পছন্দ করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে