অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার চিন্তা করছে—বিশেষ করে মাটির অনেক নিচে অবস্থিত ফোরদো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্ল্যান্ট লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে। এই পদক্ষেপ ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জড়িয়ে ফেলতে পারে, যা গোটা মধ্যপ্রাচ্যে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশ্লেষকেরা।
ইসরায়েল যখন ইরানে ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে, তখন দেশটির নেতারা তাকিয়ে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে—বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপে যাবেন কি না, তা জানতে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কূটনৈতিকভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব থেকে সরে এসে সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে যোগ দেবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে হোয়াইট হাউস সংশ্লিষ্ট দুজন কর্মকর্তা জানান, ট্রাম্প এখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর মার্কিন হামলার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তিনি কূটনৈতিকভাবে ইরান-ইসরায়েল সমস্যা সমাধানে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
তবে আজ বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি হামলা করতে পারি, না-ও করতে পারি। কেউ জানে না, আমি কী করব। তবে এটা নিশ্চিত, ইরান এখন চাপে আছে এবং তারা আলোচনায় আসতে চায়। আমি বলেছি, মৃত্যুযজ্ঞ শুরু হওয়ার আগেই কেন আলোচনা করোনি?’
মার্কিন থিংকট্যাংক কুইন্সি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ত্রিতা পারসি সিএনএনকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি হামলা করে, তবে ইরান নিশ্চিতভাবে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোর ওপর পাল্টা হামলা চালাবে। তাতে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ বাধবে।’ তিনি বলেন, ইরান হয়তো দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে টিকতে পারবে না, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও যুদ্ধটা সহজ হবে না।
ত্রিতা পারসি মনে করেন, ইরান অনেক বড় দেশ। তাই ইরানকে ঘায়েল করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে বিপুলসংখ্যক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে হবে। এর মধ্যে অনেকগুলো হয়তো পাহাড়ের নিচে বা মাটির গভীরে লুকিয়ে রয়েছে। সেখানে পৌঁছানো কঠিন এবং ব্যয়বহুল।
ইউরোপীয় কাউন্সিল অন ফরেইন রিলেশনসের সিনিয়র ফেলো এলি গেরানমায়েহ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা মানে ‘প্যান্ডোরার বাক্স’ খুলে দেওয়া। আর এই ‘প্যান্ডোরার বাক্স’ দিলে কোথায় গিয়ে শেষ হবে কেউ জানে না। এটা ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির পুরোটা গিলে ফেলতে পারে।
তিনি মনে করিয়ে দেন, অতীতে ট্রাম্প যুদ্ধের মুখ থেকে সরে এসেছিলেন—এবারও তাঁর সেই সক্ষমতা রয়েছে।
এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরান কখনো আত্মসমর্পণ করবে না। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। আজ বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তৃতায় ৮৬ বছর বয়সী খামেনি বলেছেন, ‘বুদ্ধিমান লোকেরা যাঁরা ইরান, ইরানি জাতি ও এর ইতিহাস সম্পর্কে জানেন, তাঁরা কখনোই এই জাতিকে হুমকি দিয়ে কথা বলবেন না। কারণ, ইরানিরা কখনোই আত্মসমর্পণ করবে না।’
তিনি আরও বলেন, মার্কিনদের জানা উচিত, যেকোনো মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ নিঃসন্দেহে অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হবে। এ ছাড়া ইরান ইতিমধ্যে বলেছে, তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। দেশটির কিছু নেতার ভাষ্য, তারা ‘সম্পূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদি’ সংঘাতে প্রস্তুত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়, তবে ইরান তার বিভিন্ন প্রক্সি— ইরাক, ইয়েমেন ও সিরিয়ায় সক্রিয় গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত হানতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, ইরান হয়তো সরাসরি জয়লাভ করতে পারবে না, তবে তারা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষয়িষ্ণু যুদ্ধের মাধ্যমে মার্কিন ও ইসরায়েলি শক্তিকে ক্লান্ত করার কৌশল নিতে পারে—যেমনটি তারা ১৯৮০-র দশকে ইরাক যুদ্ধের সময় করেছিল।
নিউ জার্সিতে অবস্থানরত সাবেক ইরানি পারমাণবিক আলোচক হোসেইন মুসাভিয়ান এক্সের এক বার্তায় ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেন, ‘আপনার একটি ভুল সিদ্ধান্ত ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে ঠেলে দিতে পারে। আপনি শুধু পারমাণবিক হামলার জন্য দায়ী হবেন না, আমেরিকানদের জন্য আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারেন।’
ত্রিতা পারসি বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস হলেও দেশটির দক্ষতা রয়েছে পুনরায় তা গড়ে তোলার। এই হামলা কেবল ইরানকে কিছুটা পিছিয়ে দেবে, কিন্তু একই সঙ্গে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রেরণাও জোগাবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্রটি মাটির প্রায় ৯০ মিটার (প্রায় ৩০০ ফিট) গভীরে অবস্থিত এবং ইসরায়েলের কোনো অস্ত্র দিয়ে সেটি ধ্বংস করা সম্ভব নয়। কেবল যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর ‘জিবিইউ-৫৭’ নামক বোমা দিয়ে হয়তো ভেতরে আঘাত হানা সম্ভব। তবে এই বোমাও সফল হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ কারণেই ইসরায়েল চায়, ইরানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুক্ত হোক। তবে এমন একটি অভিযানে একবার বোমা ফেলা যথেষ্ট নয়, বলছেন সামরিক বিশেষজ্ঞ ডেভিড ডেস রোচেস। তাঁর মতে, ‘একাধিক বোমা একই জায়গায় ফেলতে হবে এবং তারপরও নিশ্চিত হওয়া যাবে না স্থাপনাটির কতটা ধ্বংস হয়েছে। হতে পারে, স্থলবাহিনী পাঠিয়ে বিস্ফোরক স্থাপন করে পুরো অবকাঠামো ধ্বংস করতে হবে।’
ইরানের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বুশেহর শহরে অবস্থিত, যেটিকে এখন পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তু করেনি ইসরায়েল। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফোরদোতে হামলা পারমাণবিক চুল্লির মতো ভয়াবহ বিকিরণ ছড়াবে না; কারণ, সেখানে থাকা ইউরেনিয়াম ‘তাজা’ এবং চুল্লির মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত হয়নি।
অলাভজনক সংস্থা নিউক্লিয়ার থ্রেট ইনিশিয়েটিভের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্কট রোকার বলেন, ‘ফোরদোতে বড় ধরনের বিকিরণ ছড়ানোর ঝুঁকি নেই। যেহেতু এটি মাটির নিচে, বিকিরণ ছড়ালেও তা খুব সীমিত থাকবে।’
ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক ইসরায়েলপন্থী থিংকট্যাংক ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসির (এফডিডি) ইরান কর্মসূচির সিনিয়র ডিরেক্টর বেহনম বেন তালেবলু বলেন, ফোরদোতে হামলার ক্ষতি হবে মূলত রাসায়নিক ও কৌশলগত, পারমাণবিক নয়। তবে তা সত্ত্বেও যুদ্ধের সম্ভাব্য বিস্তার ও দীর্ঘমেয়াদি বিপদ নিয়ে এখনই গভীরভাবে ভাবতে হবে। কারণ, একবার সংঘর্ষ শুরু হলে তা কোন পথে যাবে, তা কেউ জানে না।
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার চিন্তা করছে—বিশেষ করে মাটির অনেক নিচে অবস্থিত ফোরদো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্ল্যান্ট লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে। এই পদক্ষেপ ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জড়িয়ে ফেলতে পারে, যা গোটা মধ্যপ্রাচ্যে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশ্লেষকেরা।
ইসরায়েল যখন ইরানে ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে, তখন দেশটির নেতারা তাকিয়ে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে—বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপে যাবেন কি না, তা জানতে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কূটনৈতিকভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব থেকে সরে এসে সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে যোগ দেবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে হোয়াইট হাউস সংশ্লিষ্ট দুজন কর্মকর্তা জানান, ট্রাম্প এখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর মার্কিন হামলার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তিনি কূটনৈতিকভাবে ইরান-ইসরায়েল সমস্যা সমাধানে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
তবে আজ বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি হামলা করতে পারি, না-ও করতে পারি। কেউ জানে না, আমি কী করব। তবে এটা নিশ্চিত, ইরান এখন চাপে আছে এবং তারা আলোচনায় আসতে চায়। আমি বলেছি, মৃত্যুযজ্ঞ শুরু হওয়ার আগেই কেন আলোচনা করোনি?’
মার্কিন থিংকট্যাংক কুইন্সি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ত্রিতা পারসি সিএনএনকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি হামলা করে, তবে ইরান নিশ্চিতভাবে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোর ওপর পাল্টা হামলা চালাবে। তাতে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ বাধবে।’ তিনি বলেন, ইরান হয়তো দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে টিকতে পারবে না, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও যুদ্ধটা সহজ হবে না।
ত্রিতা পারসি মনে করেন, ইরান অনেক বড় দেশ। তাই ইরানকে ঘায়েল করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে বিপুলসংখ্যক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে হবে। এর মধ্যে অনেকগুলো হয়তো পাহাড়ের নিচে বা মাটির গভীরে লুকিয়ে রয়েছে। সেখানে পৌঁছানো কঠিন এবং ব্যয়বহুল।
ইউরোপীয় কাউন্সিল অন ফরেইন রিলেশনসের সিনিয়র ফেলো এলি গেরানমায়েহ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা মানে ‘প্যান্ডোরার বাক্স’ খুলে দেওয়া। আর এই ‘প্যান্ডোরার বাক্স’ দিলে কোথায় গিয়ে শেষ হবে কেউ জানে না। এটা ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির পুরোটা গিলে ফেলতে পারে।
তিনি মনে করিয়ে দেন, অতীতে ট্রাম্প যুদ্ধের মুখ থেকে সরে এসেছিলেন—এবারও তাঁর সেই সক্ষমতা রয়েছে।
এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরান কখনো আত্মসমর্পণ করবে না। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। আজ বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তৃতায় ৮৬ বছর বয়সী খামেনি বলেছেন, ‘বুদ্ধিমান লোকেরা যাঁরা ইরান, ইরানি জাতি ও এর ইতিহাস সম্পর্কে জানেন, তাঁরা কখনোই এই জাতিকে হুমকি দিয়ে কথা বলবেন না। কারণ, ইরানিরা কখনোই আত্মসমর্পণ করবে না।’
তিনি আরও বলেন, মার্কিনদের জানা উচিত, যেকোনো মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ নিঃসন্দেহে অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হবে। এ ছাড়া ইরান ইতিমধ্যে বলেছে, তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। দেশটির কিছু নেতার ভাষ্য, তারা ‘সম্পূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদি’ সংঘাতে প্রস্তুত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়, তবে ইরান তার বিভিন্ন প্রক্সি— ইরাক, ইয়েমেন ও সিরিয়ায় সক্রিয় গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত হানতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, ইরান হয়তো সরাসরি জয়লাভ করতে পারবে না, তবে তারা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষয়িষ্ণু যুদ্ধের মাধ্যমে মার্কিন ও ইসরায়েলি শক্তিকে ক্লান্ত করার কৌশল নিতে পারে—যেমনটি তারা ১৯৮০-র দশকে ইরাক যুদ্ধের সময় করেছিল।
নিউ জার্সিতে অবস্থানরত সাবেক ইরানি পারমাণবিক আলোচক হোসেইন মুসাভিয়ান এক্সের এক বার্তায় ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেন, ‘আপনার একটি ভুল সিদ্ধান্ত ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে ঠেলে দিতে পারে। আপনি শুধু পারমাণবিক হামলার জন্য দায়ী হবেন না, আমেরিকানদের জন্য আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারেন।’
ত্রিতা পারসি বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস হলেও দেশটির দক্ষতা রয়েছে পুনরায় তা গড়ে তোলার। এই হামলা কেবল ইরানকে কিছুটা পিছিয়ে দেবে, কিন্তু একই সঙ্গে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রেরণাও জোগাবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্রটি মাটির প্রায় ৯০ মিটার (প্রায় ৩০০ ফিট) গভীরে অবস্থিত এবং ইসরায়েলের কোনো অস্ত্র দিয়ে সেটি ধ্বংস করা সম্ভব নয়। কেবল যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর ‘জিবিইউ-৫৭’ নামক বোমা দিয়ে হয়তো ভেতরে আঘাত হানা সম্ভব। তবে এই বোমাও সফল হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ কারণেই ইসরায়েল চায়, ইরানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুক্ত হোক। তবে এমন একটি অভিযানে একবার বোমা ফেলা যথেষ্ট নয়, বলছেন সামরিক বিশেষজ্ঞ ডেভিড ডেস রোচেস। তাঁর মতে, ‘একাধিক বোমা একই জায়গায় ফেলতে হবে এবং তারপরও নিশ্চিত হওয়া যাবে না স্থাপনাটির কতটা ধ্বংস হয়েছে। হতে পারে, স্থলবাহিনী পাঠিয়ে বিস্ফোরক স্থাপন করে পুরো অবকাঠামো ধ্বংস করতে হবে।’
ইরানের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বুশেহর শহরে অবস্থিত, যেটিকে এখন পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তু করেনি ইসরায়েল। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফোরদোতে হামলা পারমাণবিক চুল্লির মতো ভয়াবহ বিকিরণ ছড়াবে না; কারণ, সেখানে থাকা ইউরেনিয়াম ‘তাজা’ এবং চুল্লির মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত হয়নি।
অলাভজনক সংস্থা নিউক্লিয়ার থ্রেট ইনিশিয়েটিভের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্কট রোকার বলেন, ‘ফোরদোতে বড় ধরনের বিকিরণ ছড়ানোর ঝুঁকি নেই। যেহেতু এটি মাটির নিচে, বিকিরণ ছড়ালেও তা খুব সীমিত থাকবে।’
ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক ইসরায়েলপন্থী থিংকট্যাংক ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসির (এফডিডি) ইরান কর্মসূচির সিনিয়র ডিরেক্টর বেহনম বেন তালেবলু বলেন, ফোরদোতে হামলার ক্ষতি হবে মূলত রাসায়নিক ও কৌশলগত, পারমাণবিক নয়। তবে তা সত্ত্বেও যুদ্ধের সম্ভাব্য বিস্তার ও দীর্ঘমেয়াদি বিপদ নিয়ে এখনই গভীরভাবে ভাবতে হবে। কারণ, একবার সংঘর্ষ শুরু হলে তা কোন পথে যাবে, তা কেউ জানে না।
ইসরায়েলের আক্রমণে শীর্ষ ইরানি সামরিক কর্মকর্তাদের মৃত্যু, তেহরানে ক্রমাগত বিস্ফোরণ ও যুক্তরাষ্ট্রের অনড় অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, ইরানে ইসলামি শাসনব্যবস্থার পতন কি এবার হতেই চলেছে? অনেক বিশ্লেষক বলছেন, খামেনির পতন এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র।
৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি ইরানে সামরিক হামলার কথা বিবেচনা করছেন বলে এনবিসি নিউজকে জানিয়েছে হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র। ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করার সক্ষমতার কথাও উল্লেখ করেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিকু পাজুম লিখেছেন, আমি জীবনের প্রথম দুই দশক ইরানে কাটিয়েছি। আমি এমন এক ইরান দেখেছি, যেটি মোল্লাতন্ত্রের শাসনে চলছে। আমি এমন এক ইরান দেখেছি, যেখানে নারীদের হত্যা, ধর্ষণ ও অপমান করা হয়, যেখানে ভিন্নমতকে দমন করা হয় নির্মমভাবে।
৫ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত যখন বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। আর এই অনিশ্চয়তা নতুন কিছু নয়—বরং নিজের রাজনৈতিক দর্শনের অংশ হিসেবেই ‘অপ্রত্যাশিত’ বা ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ থেকে যেতে পছন্দ করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে