Ajker Patrika

টর্চের আলোয় চিকিৎসা

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ৫৩
Thumbnail image

জেনারেটর নেই। তাই বিকল্প হিসেবে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করা হতো। তবে সেটিও নষ্ট। তাই রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে চিকিৎসক ও নার্সরা টর্চের আলো দিয়ে সেবার কাজ চালান। এই অবস্থা নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের।

বিকল্প আলোর ব্যবস্থা নেই। ফলে বিদ্যুৎ না থাকলেই এ কমপ্লেক্সের দুটি ওয়ার্ডই অন্ধকার থাকে। ফলে দীর্ঘদিন থেকেই চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভর্তি রোগীদের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জেনারেটর না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে হাসপাতালে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করা হতো। কিন্তু তিন মাস আগে সেটিও নষ্ট হয়ে যায়। তাই অন্ধকারেই থাকতে হচ্ছে রোগীদের। তবে রোগীর স্বজনেরাসহ চিকিৎসেক ও নার্সরা টর্চের আলো দিয়ে কাজ চালিয়ে নেন। তবে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণে নতুন ভবনের কাজ শেষের দিকে। ভবনটি হস্তান্তর হলে হয়তো এই সমস্যা আর থাকবে না।

চিকিৎসা নিতে আসা পার্শ্ববর্তী উপজেলা লালপুরের ষাটোর্ধ্ব নূর মহাম্মদ বলেন, শ্বাসকষ্টজনিত কারণে তিনি পাঁচ দিন আগে এই হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি হন। রাতে বিদ্যুৎ গেলেই হাসপাতালে আলোর কোনো ব্যবস্থা নেই। অন্ধকারেই থাকতে হয় তাঁদের। এতে খুব সমস্যা। গরমে অতিষ্ঠ হন।

উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের রাজিয়া বেগম বলেন, ছয় দিন ধরে তিনি তাঁর মাকে নিয়ে এই হাসপাতালে আছেন। দিনের বেলা বিদ্যুৎ না থাকলে গরমে অস্থির হয়ে পড়তে হয়। আবার রাতের বেলায় অন্ধকারে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে থাকতে হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একজন কর্মচারী বলেন, হাসপাতালে জেনারেটর না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে বিকল্প হিসেবে সৌরবিদ্যুতের আলো জ্বালানো হতো। তা-ও তিন মাস ধরে নষ্ট হয়ে যায়। তাই এখন অন্ধকারেই থাকতে হয়। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো লাভ হয় না।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রতন কুমার সাহা বলেন, ‘আমি এই হাসপাতালে আসার আগে থেকেই এই অবস্থা ছিল। আর হাসপাতালটির নতুন ভবনের কাজ চলমান থাকায় পুরোনো ভবনে কিছুটা ত্রুটি রয়েছে। নতুন ভবনটি হস্তান্তর হয়ে গেলে হয়তো এই সমস্যা আর থাকবে না।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, ‘আমার জানামতে, বর্তমানে হাসপাতালটিতে জেনারেটরের কোনো বরাদ্দ নাই। তবে নতুন ভবনটির কাজ প্রায় শেষ। অল্পদিনের মধ্যেই হাতে পাওয়া যাবে। আশা করি, তখন এই সংক্রান্ত আর কোনো সমস্যা থাকবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত