মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের চা-বাগানে মাসের প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে ফাগুয়া উৎসব। সবুজ চা-বাগানে বিভিন্ন রং ছিটিয়ে উৎসব উদ্যাপন করেন চা-জনগোষ্ঠীর সদস্যরা। কোথাও এক সপ্তাহ, কোথাও দুই সপ্তাহ হয়ে থাকে এই অনুষ্ঠান।
চা-বাগানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বসন্ত ঋতুর ফাল্গুন মাসের দোলপূর্ণিমা তিথিতে ফাগুয়ার হোলি খেলা নামের উৎসব করেন। ফাল্গুন মাসে এই উৎসবের শুরু হয় বলে একে ফাগুয়া উৎসব নামে অভিহিত করা হয়েছে।
গত রোববার বিকেল চারটা থেকে রাত পর্যন্ত অর্ধশত চা-বাগানের সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব। শ্রীমঙ্গল উপজেলার ফুলছড়া মাঠে নানা বয়সী নারী ও পুরুষ আবির নিয়ে রঙের খেলায় মেতে ওঠে।
উৎসবে কেবল হোলিই নয়, ছিল ভিন্ন সংস্কৃতির অন্তত ২০টি পরিবেশনা। পত্রসওরা, নৃত্যযোগি, চড়াইয়া নৃত্য, ঝুমর নৃত্য, লাঠিনৃত্য, হাঁড়িনৃত্য, পালা নৃত্য, ডং ও নাগরে, ভজনা, মঙ্গলা নৃত্য, হোলিগীত, নিরহা ও করমগীত একসঙ্গে উপভোগ করতে পেরে যেমন আনন্দে ভেসেছেন চা-শ্রমিকেরা, তেমনি অভিভূত হয়েছেন উৎসবে আগতরা।
বাংলাদেশের চা-বাগানগুলোতে নানান জাতিগোষ্ঠীর বাস। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা, বিহার, মাদ্রাজ, তেলেঙ্গানাসহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এসে আবাস গড়া চা-শ্রমিকদের যেমন নিজেদের পৃথক ভাষা, তেমন পৃথক সংস্কৃতিও। তবে ফাল্গুনের ‘ফাগুয়া’ উৎসবে এসে সবাই এক হয়ে যায়। শ্রীমঙ্গলে ফাগুয়া উৎসবের আয়োজন করে ফাগুয়া উৎসব উদ্যাপন পরিষদ। চা-জনগোষ্ঠী থেকে জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রে নেতৃত্বে উঠে আসা ব্যক্তিদের সম্মিলনে শ্রীমঙ্গল শহরের অদূরে ফুলছড়া চা-বাগানের মাঠে আয়োজন করা হয় ফাগুয়া উৎসবের।
ফাগুয়া উৎসব উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক মল্লিকা দে। এ সময় তিনি বলেন, ফাগুয়া উৎসবটি ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান, অংশ নিতে পেরে ভালো লাগছে। এভাবে সব ভাষাভাষী এবং সব সংস্কৃতির মানুষের আন্তরিকতা ও মেলবন্ধন প্রয়োজন।
সিলেট থেকে উৎসবে যোগ দিতে আসা চা-জনগোষ্ঠীর তরুণী কাজল গোয়ালা বলেন, ‘চা-বাগানেই যে এত নৃত্যগীতের সমাহার, এখানে না এলে আমার জানা হতো না। নিরহা, করমগীত আমি প্রথমবার দেখলাম।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল করিম কিম বলেন, চা-বাগানে পৌঁছাতেই কানে বাজল পাহাড়িয়া মাদলের সুর। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী—সবাই নাচছে, গাইছে, আনন্দ করছে।
চা-জনগোষ্ঠীর সদস্য মিন্টো দেশোয়ারা বলেন, অভাব-অনটনের মধ্যেও উৎসবের কয়েকটি দিন চা-জনগোষ্ঠী পরিবার আনন্দে কাটানোর চেষ্টা করে। শ্রমিকেরা এই আনন্দ ভাগাভাগি করেন প্রতিবেশীদের সঙ্গে।
আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব কালিগাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রাণেশ গোয়ালা বলেন, আয়োজনটি জাতির পিতাকে উৎসর্গ করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে চা-শ্রমিকদের এটি একটি বিশেষ আয়োজন। আশা করি পরবর্তী বছর আরও বড় আয়োজনে ফাগুয়া উৎসব করা হবে।
মৌলভীবাজারের চা-বাগানে মাসের প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে ফাগুয়া উৎসব। সবুজ চা-বাগানে বিভিন্ন রং ছিটিয়ে উৎসব উদ্যাপন করেন চা-জনগোষ্ঠীর সদস্যরা। কোথাও এক সপ্তাহ, কোথাও দুই সপ্তাহ হয়ে থাকে এই অনুষ্ঠান।
চা-বাগানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বসন্ত ঋতুর ফাল্গুন মাসের দোলপূর্ণিমা তিথিতে ফাগুয়ার হোলি খেলা নামের উৎসব করেন। ফাল্গুন মাসে এই উৎসবের শুরু হয় বলে একে ফাগুয়া উৎসব নামে অভিহিত করা হয়েছে।
গত রোববার বিকেল চারটা থেকে রাত পর্যন্ত অর্ধশত চা-বাগানের সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব। শ্রীমঙ্গল উপজেলার ফুলছড়া মাঠে নানা বয়সী নারী ও পুরুষ আবির নিয়ে রঙের খেলায় মেতে ওঠে।
উৎসবে কেবল হোলিই নয়, ছিল ভিন্ন সংস্কৃতির অন্তত ২০টি পরিবেশনা। পত্রসওরা, নৃত্যযোগি, চড়াইয়া নৃত্য, ঝুমর নৃত্য, লাঠিনৃত্য, হাঁড়িনৃত্য, পালা নৃত্য, ডং ও নাগরে, ভজনা, মঙ্গলা নৃত্য, হোলিগীত, নিরহা ও করমগীত একসঙ্গে উপভোগ করতে পেরে যেমন আনন্দে ভেসেছেন চা-শ্রমিকেরা, তেমনি অভিভূত হয়েছেন উৎসবে আগতরা।
বাংলাদেশের চা-বাগানগুলোতে নানান জাতিগোষ্ঠীর বাস। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা, বিহার, মাদ্রাজ, তেলেঙ্গানাসহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এসে আবাস গড়া চা-শ্রমিকদের যেমন নিজেদের পৃথক ভাষা, তেমন পৃথক সংস্কৃতিও। তবে ফাল্গুনের ‘ফাগুয়া’ উৎসবে এসে সবাই এক হয়ে যায়। শ্রীমঙ্গলে ফাগুয়া উৎসবের আয়োজন করে ফাগুয়া উৎসব উদ্যাপন পরিষদ। চা-জনগোষ্ঠী থেকে জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রে নেতৃত্বে উঠে আসা ব্যক্তিদের সম্মিলনে শ্রীমঙ্গল শহরের অদূরে ফুলছড়া চা-বাগানের মাঠে আয়োজন করা হয় ফাগুয়া উৎসবের।
ফাগুয়া উৎসব উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক মল্লিকা দে। এ সময় তিনি বলেন, ফাগুয়া উৎসবটি ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান, অংশ নিতে পেরে ভালো লাগছে। এভাবে সব ভাষাভাষী এবং সব সংস্কৃতির মানুষের আন্তরিকতা ও মেলবন্ধন প্রয়োজন।
সিলেট থেকে উৎসবে যোগ দিতে আসা চা-জনগোষ্ঠীর তরুণী কাজল গোয়ালা বলেন, ‘চা-বাগানেই যে এত নৃত্যগীতের সমাহার, এখানে না এলে আমার জানা হতো না। নিরহা, করমগীত আমি প্রথমবার দেখলাম।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল করিম কিম বলেন, চা-বাগানে পৌঁছাতেই কানে বাজল পাহাড়িয়া মাদলের সুর। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী—সবাই নাচছে, গাইছে, আনন্দ করছে।
চা-জনগোষ্ঠীর সদস্য মিন্টো দেশোয়ারা বলেন, অভাব-অনটনের মধ্যেও উৎসবের কয়েকটি দিন চা-জনগোষ্ঠী পরিবার আনন্দে কাটানোর চেষ্টা করে। শ্রমিকেরা এই আনন্দ ভাগাভাগি করেন প্রতিবেশীদের সঙ্গে।
আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব কালিগাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রাণেশ গোয়ালা বলেন, আয়োজনটি জাতির পিতাকে উৎসর্গ করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে চা-শ্রমিকদের এটি একটি বিশেষ আয়োজন। আশা করি পরবর্তী বছর আরও বড় আয়োজনে ফাগুয়া উৎসব করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪