২ চেয়ারম্যানের বিরোধে একজনকে কুপিয়ে হত্যা

পাবনার সাঁথিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাঁর চাচাতো ভাই আহত হয়েছেন।

পৌর সদরের আউলাঘাটা ঘোনারচরে ইছামতি নদীর পাড়ে গত শনিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।নিহত আব্দুল মতিন (৪২) উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের সোনাতলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের চাচাতো ভাই। তিনি কৃষিকাজ করতেন এবং আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন।আহত জুয়েল রানা (৪০) সাবেক চেয়ারম্যান হারুনের ছোট ভাই। তিনিও আওয়ামী লীগ কর্মী।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের সঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান হারুনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মাঝেমধ্যে দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বজনেরা জানান, রাতে সাঁথিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন জুয়েল ও মতিন। পথে ইছামতি নদীর পাড়ে বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজের পক্ষের সন্ত্রাসীরা তাঁদের ওপর হামলা করে এলোপাতাড়ি কোপায়। এ সময় মতিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর জুয়েল নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যান। পরে স্বজনদের মাধ্যমে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মতিনের মরদেহ উদ্ধার করে।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের মধ্যে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। জড়িতদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ।

এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান হারুন বলেন, ‘হাফিজ চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসীরা আমার চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে। মতিন আওয়ামী লীগের কর্মী ছিল। আমি হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

তবে বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজ বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমার নাম জড়ানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। ঘটনা ঘটেছে পৌর সদরের মধ্যে। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই। অভিযোগ ভিত্তিহীন। হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।’