Ajker Patrika

১৩৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৭টিতে নেই প্রধান শিক্ষক

রঞ্জন কুমার দে, শেরপুর
১৩৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৭টিতে নেই প্রধান শিক্ষক

বগুড়ার শেরপুরে শিক্ষক-সংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষাকার্যক্রম। উপজেলার ১৩৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৭টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকেরাই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছেন। কোনো কোনো স্কুল মাত্র দুজন শিক্ষক দুই শিফটে ছয়টি ক্লাস নিয়ে সামলাচ্ছেন পাঠদান। এতে শিক্ষদের ওপর চাপ বাড়ছে।

অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৩৮টি। এর মধ্যে পুরোনো সরকারি বিদ্যালয় ৭৯টি, নতুন করে সরকারি করা হয়েছে ৫৮টিকে। রয়েছে একটি শিশু কল্যাণ বিদ্যালয়। এসব স্কুলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১৯ হাজার ৮৩০ জন। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ৭৫৮টি শিক্ষকের পদ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭টি প্রধান শিক্ষক ও ১৬টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, সরাসরি নিয়োগে ও পদোন্নতির মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণ করার কথা; কিন্তু ২০১২ সাল থেকে সরাসরি নিয়োগ ও পদোন্নতি বন্ধ থাকায় জটিলতা বেড়েছে। এদিকে নতুন করে জাতীয়করণ করা ৫৮টি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদই সৃষ্টি করা হয়নি। ২০১৬ সালে ১৩টি স্কুলে সহকারী শিক্ষককে স্ববেতনে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব দিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই পদে থেকে নিয়মিত ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয় না। কারণ তাঁদের উপবৃত্তি, ইউনিক আইড, জন্মনিবন্ধন করাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। এত চাপ নিয়ে ক্লাসে গেলেও মান বজায় রাখা যায় না। এতে শিক্ষার্থীরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মাগুরের তাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এই বিদ্যালয়ে একজন প্রধান শিক্ষক ও তিনজন সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে। প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ায় গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। এর মধ্যে একজন সহকারী শিক্ষক পিটিআই ট্রেনিংয়ে গেছেন। এখন মাত্র দুজন মিলে দুই শিফটে ছয়টি ক্লাস নিচ্ছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ছাইফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রেষণের বিধান না থাকায় স্কুলগুলোতে কোনো শিক্ষক পাঠানো যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে সহকারী শিক্ষকদের বদলি শুরু হয়েছে। আগামী নভেম্বরে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের পদায়ন শুরু হওয়ার কথা। নতুনদের পদায়ন শুরু হলে শিক্ষকের সংকট থাকবে না। এ ছাড়া দ্রুতই পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত