Ajker Patrika

সড়কে মাটি ফেলে টাকা আদায়

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২২, ১১: ১৮
Thumbnail image

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ভাঙা সড়ক সংস্কারের নামে কয়েক ঝুড়ি মাটি ফেলে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলা বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম বাজার-চৌরঙ্গী বাজার সড়কের বানিয়াখড়ি জামে মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা হলেন ওই এলাকার দবির মোল্লার ছেলে জনি ও শিবলী।

সরেজমিন দেখা যায়, বাঁশগ্রাম বাজার-চৌরঙ্গী বাজার সড়কটিতে অসংখ্য খানাখন্দ। বানিয়াখড়ি জামে মসজিদ এলাকার দবির মোল্লার বাড়ির সামনের সড়কে একটি পয়েন্টে কয়েক ঝুড়ি মাটি ফেলা হয়েছে। মাটি ফেলা অংশে শিবলী নামের একজন লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে ৫ টাকা, ১০ টাকা বা ২০ টাকা আদায় করছেন। কেউ দিচ্ছে আবার কেউ না দিয়েই চলে যাচ্ছে। অনেকে আবার বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়াচ্ছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাঁশগ্রাম বাজার হইতে চৌরঙ্গী বাজার পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক। সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই কয়েক হাজার যানবাহন ও মানুষ চলাচল করে। কিন্তু সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য খানাখন্দ। তবুও নিত্য প্রয়োজন মেটাতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। সড়ক সংস্কারের ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তারা উদাসীন। বারবার সমস্যার কথা জানালেও কোনো কাজ হয়নি। কিন্তু দবির মোল্লার বাড়ির সামনে সড়কের একটি পয়েন্ট ভেঙে চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছিল। দুর্ঘটনাও ঘটেছে। তাই জনি ও শিবলী কয়েক ঝুড়ি মাটি ফেলে ৫ টাকা, ১০ টাকা বা ২০ টাকা আদায় করছে। কেউ খুশি হয়ে দিচ্ছে, আবার কেউ বাগ্‌বিতণ্ডা করে চলে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশে একাধিক পথচারী বলেন, সড়কে কয়েক ঝুড়ি মাটি ফেলে টাকা আদায় করছে স্থানীয়রা। যা চাঁদাবাজির আওতায় পড়ে। বিষয়টি প্রশাসনকে দেখা উচিত। তাঁরা আরও বলেন, সড়কটি সংস্কারের জনপ্রতিনিধি ও কর্তাদের দায়িত্ব বাড়াতে হবে।

এ বিষয়ে জনি ও শিবলী বলেন, ‘রাস্তা ভেঙে গেছে। চলাচল করতে পারছে না মানুষ। বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কেউ মেরামত করছে না। জনপ্রতিনিধিদের বারবার বলেও কোনো লাভ হয়নি। তাই আমরা মাটি ফেলে গর্ত বন্ধ করেছি এবং ৫-১০ টাকা আদায় করছি। তবে অনেকে না দিয়েই চলে যাচ্ছেন।’

এ বিষয়ে জানতে বাগুলাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক নবা বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি তা ধরেননি।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, ‘সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে আমাদের সড়ক অন্য কেউ মেরামত করতে পারে না। টাকা আদায় তো দূরের কথা। বিষয়টি বেআইনি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বিষয়টি জানি না। কেউ অভিযোগ করেনি। তবুও দেখছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত