Ajker Patrika

পরশু কি এশিয়া কাপের সমাধান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পরশু কি এশিয়া কাপের সমাধান

এশিয়া কাপ কবে, কোথায় হচ্ছে? এ বছর আদৌ হবে? প্রশ্নগুলোর উত্তর এখনো অজানা। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আশাবাদী, এ মাসেই ‘কিছু একটা’ জানা যাবে।

এশিয়া কাপ নিয়ে গত পরশু বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) নির্বাহী কমিটির সদস্য নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘আমরা তো আশাবাদী। এ মাসেই হতে পারে কিছু একটা।’ নিজাম উদ্দিন আরও যোগ করলেন, ‘সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সব সময় ধারাবাহিক যোগাযোগ হচ্ছে। একেকটা বোর্ড তাদের ভাবনা, পরামর্শ দিচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া।’

এ মাসে এশিয়া কাপ নিয়ে সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে আগামী পরশু আহমেদাবাদে হতে যাওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফাইনালে এশিয়ার শীর্ষ ক্রিকেট বোর্ডগুলোর প্রধানদের অনানুষ্ঠানিক সভার খবর। গতকাল পিটিআই, ক্রিকবাজ, ক্রিকইনফোর মতো ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আইপিএল ফাইনাল দেখতে রোববারে আহমেদাবাদে থাকতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই), বিসিবি, ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা (এসএলসি) ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানেরা। সেখানেই হতে পারে এশিয়া কাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তবে সিদ্ধান্ত নিতে নেওয়া হবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) মতামতও।

বিষয়টি নিয়ে এসিসির সভাপতি ও বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধিরা নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া আগামী ২৮ মের (আগামী রোববার) ফাইনালে থাকবেন। এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে আমরা সেখানে আলোচনা করব।’

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আইপিএল ফাইনাল দেখতে ভারতে যেতে পারেন আগামীকাল।  এবার এশিয়া কাপ আয়োজনের স্বত্ব  পিসিবির। আগামী সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ যদি পাকিস্তানে হয়, সেখানে ভারত খেলবে না বলার পরই জল ঘোলা শুরু। ভারতের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এশিয়া কাপের জন্য ‘হাইব্রিড মডেল’ প্রস্তাব করেছে পিসিবি। জটিল এ মডেলে এসিসির সদস্য বোর্ডগুলো যে এক পায়ে রাজি, সেটিও নয়।

বিসিবি জানিয়েছে, হাইব্রিড মডেল অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের তীব্র গরমে তাদের দুবাইয়ে খেলা সম্ভব নয়। কদিন আগে বিসিবি সভাপতি পাপন বলেছিলেন, দুবাইয়ে না হলে শ্রীলঙ্কা হতে পারে ভালো বিকল্প। তবে ক্রিকেটের পাওয়ার হাউস বিসিসিআই এশিয়া কাপ নিয়ে এখনো সবুজ সংকেত না দেওয়ায় এ বছর ভারতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে না খেলার হুমকি দিয়ে রেখেছে পিসিবি।

জানা গেছে, বিষয়টি শুধুই দুই চির বৈরী দেশের ক্রিকেট বোর্ডের নয়, পুরোপুরি নির্ভর করছে তাদের সরকারের সবুজ সংকেতের ওপর। সরকারকে ‘বাই পাস’ করে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার সুযোগ নেয় বিসিসিআই কিংবা পিসিবির। তবে ক্রিকেট বোর্ডগুলো চাইছে সবার লাভ হয় এমন কোনো উপায় বের করা। সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে বাস্তবায়ন হতেও পারে এশিয়া কাপ।

সূত্র জানিয়েছে, এশিয়া কাপ না হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি পাকিস্তানেরই। পিসিবি শুধু অংশগ্রহণ ফি নয়, আয়োজন সত্ত্ব থেকেও বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত