Ajker Patrika

বছরজুড়ে নানা আয়োজনে মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৫৯
Thumbnail image

এ বছর অর্থাৎ ২০২১ সাল ছিল দেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং বিজয়ের ৫০ বছর। বিশেষ এই বছর ঘিরে সরকারের পক্ষ থেকে ছিল বছরব্যাপী নানা আয়োজন। একই সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষও পালন করা হয়েছে। আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ ছিল বছরজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি। এসব কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ অনেকেই।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৭ মার্চ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে বিশেষ কর্মসূচি। গত ১৭ মার্চ মুজিব চিরন্তন নামে শুরু হয় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি। যা চলে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানেরা কর্মসূচিতে যোগ দেন। চীনের প্রেসিডেন্ট, কানাডার প্রধানমন্ত্রীসহ বন্ধুপ্রতিম বিভিন্ন দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান এবং সংস্থার প্রধানেরা ভিডিও বার্তা পাঠান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৬ মার্চ ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দিনের সফরে মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রাণপুরুষ হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পূজা দেন। সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে পূজা দেন। এর সবটাই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা লক্ষ্য করে করা হয়েছিল বলে অভিযোগ আছে।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশেষ কর্মসূচি পালন করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দুই দিনের কর্মসূচি পালন করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত এই শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শপথ অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা অতিথিদের হাতে মুজিব চিরন্তন শ্রদ্ধা স্মারক তুলে দেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সরকারের উদ্যোগে তাঁর জীবন ও কর্ম চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হচ্ছে। ভারতের প্রখ্যাত শ্যাম বেনেগাল বিশাল বাজেটের ‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিক নির্মাণ করছেন। অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবনের একটি বিশেষ সময়ের ঘটনাকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ নামে আরেকটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় আছে। এ ছাড়াও মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নির্মাণ করা তথ্যচিত্র, নাটকসহ বিভিন্ন প্রকাশনা।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১০ জানুয়ারি টুঙ্গিপাড়ায় ‘টুঙ্গিপাড়া: হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। ১১ ও ১২ জানুয়ারি সেখানে মুজিব মেলার আয়োজন করবে জাতীয় কমিটি।

মুজিববর্ষের সময় বাড়ানো প্রসঙ্গে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে সময় বাড়তে পারে। কারণ, করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা সব কাজ শেষ করতে পারিনি। সেটা শেষ করার জন্য সময় বাড়তে পারে।’

সালতামামির অন্যান্য আয়োজন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত