Ajker Patrika

শীত এলে হাসি ফোটে মমেনার মুখে

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ১৮
শীত এলে হাসি ফোটে মমেনার মুখে

শীত এলেই মমেনা বেওয়ার মুখে হাসি ফোটে। বছরের ৬ মাস বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে কাজ করেন তিনি। নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই নেমে পড়েন পিঠা তৈরির কাজে। এ কাজ করে সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন।

কুড়িগ্রাম শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের কাছে সিঅ্যান্ডবি মোড় এলাকায় প্রতিদিন বিকেল থেকে প্রায় মধ্য রাত পর্যন্ত পিঠা তৈরি করেন মমেনা বেওয়া। একাই দোকান সামলান তিনি। কারণ ছেলেমেয়েরা এখন তার থেকে দূরে থাকেন। তাঁদের সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ নেই মমেনার।

মমেনা বেওয়া জানান, তাঁর একমাত্র ছেলে বিয়ে করে ঢাকায় চলে গেছেন। সেখানে রাজ মিস্ত্রীর কাজ করেন তিনি। মায়ের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। এই ভাপা পিঠা আর চিতই পিঠা বিক্রি করে টাকা জমিয়ে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে শহরের পৌরসভা এলাকার বাণিয়াপাড় গ্রামে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেন মমেনা।

পিঠা তৈরির বিষয়ে মমেনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদিন ৭০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি আতপ চাল কিনে বাড়িতে নিজেই আটা বানিয়ে নেই। এরপর ভাপা পিঠা ১০ টাকা এবং চিতই পিঠা ৫ টাকায় বিক্রি করি। এতে দিন শেষে কখনো ৪০০ কখনোবা ৫০০ টাকা আয় হয়।’ তবে মমেনা জানান, চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় লাভ কম হচ্ছে।

পিঠা খেতে আসা শহরের হাটিরপাড় এলাকার বাসিন্দা জোবায়ের বলেন, ‘ইটপাথরের শহরে পিঠা বানানো সহজ না হওয়ায় এখান থেকে পিঠা কিনে বাড়িতে নিয়ে যাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত