Ajker Patrika

রস কমছে, বাড়ছে ভেজাল খেজুর গুড়ে

চারঘাট প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ৪৯
রস কমছে, বাড়ছে ভেজাল খেজুর গুড়ে

চারঘাটের খেজুর গুড়ের সুনাম দেশজুড়ে। কিন্তু খেজুর গাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাওয়ায় কমছে রসের পরিমাণ। আর এ সুযোগেই মিশে যাচ্ছে ‘ভেজাল’।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে চারঘাটে ৩২ হাজার ৯৮৫টি খেজুরগাছ ছিল। বর্তমানে রয়েছে ২০ হাজার ৭৩১টি। দিন দিন খেজুর গাছ কমে যাচ্ছে। কিন্তু গুড়ের চাহিদা বেড়েছে। অতিরিক্ত গুড়ের চাহিদা মেটাতে সামান্য রসের সঙ্গে চিনি, আটা ও রং মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে ভেজাল খেজুর গুড়। এতে খেজুরের গুড়ের আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মানুষ।

উপজেলার গাছিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিন যতই যাচ্ছে, কমে যাচ্ছে খেজুর গাছ। যা টিকে আছে, তাতে আগের মতো রস হয় না। রসের পরিমাণ কম হওয়ায় ‘খাঁটি গুড়’ তৈরি করে সরবরাহ করা কষ্টসাধ্য। চাহিদার জোগান দিতে গুড়ের পরিমাণ বাড়াতেই চিনি মেশানো হয়।

নিমপাড়া ইউনিয়নের গুড় তৈরির কারিগর আব্দুল কাদের বলেন, ‘খেজুর গাছ বেশি থাকলে গুড়ে কোনো ভেজালই থাকত না। এখন খেজুরের গুড়ের চাহিদা বেশি কিন্তু রসের সংকট। এতেই ভেজাল মেশানো হচ্ছে গুড়ে।’

শীত মৌসুমে খেজুরের গুড়ের ব্যবসা করেন তরুণ উদ্যোক্তা ওবাইদুর রহমান। তিনি জানান, পার্শ্ববর্তী নাটোর থেকে গুড় সংগ্রহ করেন তিনি। চারঘাট-বাঘায় পর্যাপ্ত খেজুর গাছ নেই। যা আছে তাতে গুড়ের চাহিদা মেটানো যায় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার বলেন, ‘খেজুর গাছ না কাটার জন্য আমরা জনগণকে সচেতন করছি। মাঠ পর্যায়ে আমাদের অভিযানও চলে। ইটভাটায় খেজুর গাছ পোড়ানো নিষিদ্ধ। তা ছাড়া সাধারণ মানুষকে খেজুর গাছ লাগানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত