Ajker Patrika

সাড়া মিলছে সেবাক্যাম্পে

মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২১, ১২: ৩৩
সাড়া মিলছে সেবাক্যাম্পে

খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম জোরদার করতে ক্যাম্প করছে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। চলতি অর্থবছরে পরিবার পরিকল্পনার স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতির ২টি ক্যাম্প পরিচালনা করেছে। এতে সাড়া মিলেছে সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে। গত দেড় বছরে এখানে মোট ৩৩৮ জন সেবা নিয়েছেন।

এদিকে মানিকছড়িতে ৪টি ইউনিয়নে প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ হাজার জনবসতি। তবে উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের নিজস্ব ভবন নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি ফ্লোর ব্যবহার করে চলছে কার্যক্রম। তবে এখানে অনুমোদিত ২৬টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ১৫ জন। ফলে সেবা বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলা নারী ও শিশুরা।

প্রতিষ্ঠান সূত্র জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ওষুধ স্টোর রুম থাকলেও তা জরাজীর্ণ। এ ছাড়া উপজেলার ৮ ইউনিয়ন পরিষদের কোনটিতে আজও গড়ে ওঠেনি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। ফলে মা ও শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি সেবা, কিশোর-কিশোরী সেবা এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিতে হলে একমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনে ভিড় করতে হয়।

এদিকে চলতি অর্থবছরে পরিবার পরিকল্পনার স্থায়ী ও দীর্ঘ মেয়াদি পদ্ধতিতে সেবা কার্যক্রমে দুইটি ক্যাম্পে সেবাদান হয়েছে। গত জুনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে প্রথম ক্যাম্প হয়। সর্বশেষ গত ২৬ অক্টোবর একই স্থানে দ্বিতীয় ক্যাম্প হয়। এতে স্থায়ী এনএসবি (পুরুষ) ২ জন, টিউবেকটমি (নারী) ৮ জন, ইমপ্লান্ট ৮৪ জন, আইইউডি ৫ জন সেবা নিয়েছেন। এ আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে সেবা নিয়েছেন টিউবেকটমি (নারী) ৫ জন, ইমপ্লান্ট ২০৬ জন, আইইউডি ২৮ জন।

ক্যাম্পের পরিচালক সূত্রে জানা যায়, টিউবেকটমি ও এনএসবিতে জনপ্রতি ব্যয় ৫ হাজার ৩২৫ টাকা। আইইউডিতে ব্যয় ১ হাজার ২৩০ টাকা ও ইমপ্লান্টে ব্যয় মাত্র ৯২০ টাকা।

পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হাফিজ উদ্দিন বলেন, জনবল ও অবকাঠামো সংকটে পরিবার পরিকল্পনা সেবা কার্যক্রমে প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা কার্যক্রমে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। আমি দায়িত্ব নিয়েছি গত ২২ সেপ্টেম্বর। এর পর থেকে তৃণমূলে সেবা কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে ক্যাম্প পরিচালনা শুরু করেছি। এখন থেকে প্রতি মাসেই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত